সাংখ্যপরিচয়—গ্রহীরেন্দ্রনাথ দত্ত, এম-এ বি-এল, বেদান্তরত্ন । মূল্য ১০ টাকা। পৃ. ৩৬২ । গ্রন্থখানি বঙ্গীয়-সাহিতা-পরিষদের আহবানে পরিষদ-মন্দিরে সংখ্য সম্পর্কে কয়েকটি ধারাবাহিক বক্তৃত অবলম্বনে ব্রহ্মবিদ্যায় প্রকাশিত বারটি প্রবন্ধের পরিবর্তিত ও পরিবদ্ধিত আকার । ইহাতে উপক্ৰম ভাগে ছয়টি প্রবন্ধ, প্রথম খণ্ড–পুরুষ নামক ভাগে আটটি প্রবন্ধ দ্বিতীয় খণ্ড—প্রকৃতি নামক ভাগে ছয়টি প্রবন্ধ এবং উপসংহার ভাগে তিনটি প্রবন্ধ সন্নিবিষ্ট করা হইয়াছে। প্রবন্ধগুলির নামকরণ হইতেই বুঝা যায় গ্রন্থপনি কত দূর সারগর্ত হইয়াছে। উহাদের মধ্যে কয়েকটির। নাম, বথ৮–১ । সাংখ পামের নিরুক্তি, ২ । সাংখ্য মতের প্রাচীনত, ৩। সাংথীয় দুঃথবাদ, ৪ । সাংখ্যের পুরুষ, ৫ । প্রকৃতিলয়, ৬ । সাংখ্যের পুরুষবহুত্ব, ৭ । পুরুষবিশেষ বা ঈশ্বর, ৮। প্রকৃতির স্বরূপ, ৯ । ত্রৈগুপা, ১৭ । প্রকৃতির পরিণাম, ১১ । সংগ্যের স্বতঃপরিণাম, ১২ । দ্বৈতে অদ্বৈত ইত্যাদি । গ্রন্থখানি পড়িয়া মনে হইবে গ্রন্থের নাম যে "সাংখ্য পরিচয়' রাখা হইয়াছে, তাহ সম্পূর্ণ সার্ধকই হইয়াছে । সাংখ্য সম্বন্ধে এক স্থলে এত BBBBS BBSBBS BB BB BBB BBB BBB BBB BBS বেদান্তরত্ন মহাশয়ের বিষয়-বিষ্ঠাদের অসাধারণ নিপুণতা এবং নানা দিগ ধর্শন ইহার প্রতি ছত্রে প্রকটিত হইয়াছে । ইহা সাধারণ শে{৬ - পণ্ডি ত অপণ্ডিত সকলেরই যে বোধগম্য হইবে, তাহাতে সন্দেহ নাই । BKSK KBBDD KBB BBBB BBBS DDB BBBB BBBBB বর্ণনা করায় বর্তমান শিক্ষিত সমাজের ইহ। যেমন প্রভূত উপকার সাধন করিবে, তদ্রুপ বঙ্গভাষার ইহা যে একটি অমূল্য সম্পদমধ্যে গণ্য হইবে তাহাতেও সন্দেহ নাই। প্রত্যেক শাস্ত্রানুশীলনকারীর ইহা অবশ্ব vità) i কিন্তু তাহ হইলেও আমাদের মনে হয়, এ গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণ শীঘ্র হওয়া আবখ্যক । কারণ তাহাতে-১ । সাংখ্য মতের অমুকুলে কত দূর বলা যাইতে পারে, ২ । বেদের শব্দরূপেই নিত্যত্ব এবং ৩ । সাংখ্যের বৈদিকত্ব ও অবৈদিকত্ব প্রভৃতি বিষয়গুলি বেদাগুরত্ব মহাশয় পুনরায় যদি বিবেচনা করেন, তাহা হইলে আমাদের সমাজ fনশ্চিতই অধিকতর লাভবান হুইবে । অারও মনে হয়--"দ্বৈতে অদ্বৈত" এই প্রসঙ্গটি গ্রন্থাস্তরে থাকিলে সাংখ্যপরিচয়ের মধ্যাদা বৃদ্ধি পাইবে । ‘সাংখ্যপরিচয় পড়িয় যদি সাংখ্য-মতে অনাস্থ উৎপন্ন হয়, তাহা হইলে সাংথ্যপরিচয় গ্রন্থ দ্বার সাংখ্য-মতের উপর বিচার করা হইল না বলিয়া বোধ হয় । বস্তুতঃ যে ভূমিকার উপর দণ্ডায়মান হইলে সাংখ্য-মতের উৎপত্তির আবিস্তকত। অনুভূত হয়, সেই ভূমিকা সাধারণ বুদ্ধির অনেক উপরে অবস্থিত। সাংখ্য-মার্গ অনুসরণ করিলে শেষে বেদান্তের সহিত ইহার পার্থক্য আছে কি না ইহা চিন্তার বিষয় হইয়া পড়ে। এই চিন্তায় সাংথ্যপরিচয় সহায়তা করিবে ইহাই বাঞ্ছনীয় । প্ৰেমধৰ্ম্ম—গ্রহীরেন্দ্রনাথ দত্ত, এম-এ, বি-এল, বেদন্তিরত্ন। পৃ. ৪৪২ ; মূল্য ২i• টাকা । ইহাতে উপক্রম ও উপসংহার ভিন্ন তিনটি খণ্ড আছে। তাহাতে
১। ভক্তির শ্রেষ্ঠতা, ২। সগুণ নিগু৭, ৩। ঐশ্বর্যা মাধুর্য, ৪ । উহাদের সমন্বয়, ও । খ্ৰীকৃষ্ণতত্ত্ব, ৬ । দীর্শনিক ভিত্তি, ৭ । বৈষ্ণবদর্শন, ৮ । ভক্তি ও প্রেম বৈধ ৯ । ভক্তি ও প্রেম রাগামুগা, ১০ । রতির তারতম্য, ১১ । স্বকীয়া ও পরকীয়া তত্ত্ব, ১২ । পুর্বরাগ, ১৩ । অভিসার ও সঙ্গম, ১৪ । মান ও মানান্ত, ১৫ । মাথুর, ১৬ । মাথুরের পর মিলন, ১৭ ৷ মহা মিলন, ১৮ । গোপীপ্রেম, প্রভৃতি প্রসঙ্গ আলোচিত হইয়াছে। গ্রন্থকার বলিয়াছেন, “যাহার রাসলীলার অস্বিদন করিতে চান, এই প্রেমধৰ্ম্মের সহিত র্তাহীদের পরিচয় প্রার্থনীয় ।” এই প্ৰেমধৰ্ম্ম গ্ৰন্থখানি বস্তুতঃ প্রেমমাগী বৈষ্ণবের প্রেমকথায় পৰ্য্যবসিত নহে। ইহাতে গ্রন্থকারের প্রেম সম্বন্ধে নিজত্ব প্রকটিত হইয়াছে। হিন্দু খৃষ্টান মুসলমান, বৈষ্ণব অবৈষ্ণব--সকলের নিকট হইতে এই প্রেমধৰ্ম্মে কুসুমরাজি চয়ন করা হইয়াছে। এই জন্তু ইহতে গ্রন্থকারের নিজস্ব যথেষ্ট স্থান . পাইয়াছে। যে সকলের হয়, সে যেমন কাহারও নিজস্ব হয় না, অথচ তাহায় নিজত্ব থাকে, ইহাও ত দ্রুপ হইয়াছে । জ্ঞানী কৰ্ম্মী ভক্ত সকলেই দেখিবেনইহাতে আমারই কথা রহিয়াছে, কিন্তু কেহই ইহার সর্বাংশে একমত হইতে পরিবেন না । কেহই উহাদের নিজ নিজ নিঃার পরাকাষ্ঠ ইহাতে পাইবেন না, কিন্তু তথাপি ইহাতে “সকলের মধ্যে সত্যদর্শননিষ্ঠ।" সুস্পষ্ট পরিস্ফুট । র্যাহার। সাম্প্রদায়িকত মাত্রই গোড়ামি বলিয়) বুঝেন, তঁtহাদের নিকট ইহা পরম উপাদেয় বলিয়া বোধ হইবে । তত্ত্ববিদ্যাসম্প্রদায়ের লক্ষ্য ইহাতে অভিব্যক্ত হইয়াছে । “সগুণ নিগুৰ্ণ ও বৈষ্ণবদর্শন" প্রসঙ্গে বিরোধতত্ত্ব অস্বীকৃত হইয়াছে, একের বৈচিত্রা স্বীকৃত হইয়াছে কিন্তু বিরোধ-অস্বীকারে অবাধিত বিশেষজ্ঞান কি করিয়া সম্ভব হয় — এই জাতীয় অtশঙ্কা লিপিকৌশলের গুণে মনে উদিত হইবার অবকাশই পায় না। কত শাস্ত্ৰ কত মত-মস্তাস্তুর মন্থন করিয়া যে এই গ্ৰন্থখানি রচিত, তাহ দেখিলে চমৎকৃত হইতে হয়। চূড়ান্ত দার্শনিকতার সঙ্গে অগাধ প্রেমভক্তির অপুৰ্ব্ব মিলন এই গ্রন্থে দেখিবর বিষয় । ধৰ্ম্মপ্রাণ ব্যক্তিমাত্রেরই ইহা পাঠা । শ্রীরাজেন্দ্রনাথ ঘোষ প্রাচীন ভারতে হিন্দুদের রাজ্যশাসন-প্রণালী— শ্রশিশিরকুমার বসাক সাহিত্যভূষণ। গ্রন্থকার কর্তৃক প্রকাশিত । প্রাচীন হিন্দু রাজ্যশাসন-প্রণালী সম্বন্ধে বিভিন্ন বিষয়ের স:ক্ষিপ্ত বিবরণ এই পুস্তকে সংকলিত হইয়াছে। সাধারণ পাঠক ইহা পাঠ করিয়া অনেক নূতন কথা জানিতে পারবেন । পুস্তকের ভাষা সরল হইলেও স্থানে স্থানে তেমন সুস্পষ্ট ব; মুসঙ্গত নয় । দৃষ্টাস্তস্বরূপ একটি অংশ এখানে উদ্ধত হইতেছে —“বৈদিক সাহিত্যে এরূপ উল্লেখ আছে যে প্রাচীন ভারতে রাজতন্ত্র বা একাধিপত্য সাম্রাজ্য একচেটিয়া ছিল ন! ৷ মহাভারতেওঁ রাজা . ছাড়া ‘ষ্ট্রেটের উল্লেখ আছে ।” (পু. ৬ )। عمر ."
