পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডমড়মড়মড়মল্লিনাবিডgমৰ্বয়ং চকার চণ্ডতাওবং তনোতু ন: শিবং শিবঃ । জটাকটাহসন্ত্রমভ্রমল্লিলিস্পনিঝরী বিলোলবীচিবল্লর বিরাজমানমূদ্বনি। ধগন্ধগন্ধগজ্জ্বলল্ললাটপটপাবকে কিশোরচন্দ্রশেখরে রতিঃ প্রতিক্ষণং মম | এই স্তোত্রের ভাব ও ভাষায় আমাদের প্রাচীন কবি ভারতচন্দ্র রায়-গুণাকরের একটি অতি চমৎকার কবিতা আছে । বাংলার প্রাচীন রাজা বল্লাল সেনের নৈহাটি তাম্রশাসনের গোড়াতেই অৰ্দ্ধনার ,রের বন্দনায় সন্ধ্যাতাগুবের যে-শ্লোক আছে তাহ সাহিত্য গুণসম্পন্ন সন্ধ্য"-তাগুব-সম্বিধানবিলসম্লানী-নিনাদোৰ্ম্মিভিরিমর্যাদ রসার্ণবে দিশতৃ ব: শ্ৰেযোদ্ধনারীশ্বর: । যস্যান্ধে ললিতাঙ্গঙ্গারুবল্পনৈরদ্ধৈ চ ভীমোদ্ভtটম্ন ট্যাবস্তৃরয়ৈ ফেঁয়তাভিনয়দ্বৈধাতুবোধশম: | দক্ষিণাত্যে প্রচলিত আগমের বচনে বা ধ্যানে শিব যে বিরাট্র বিশ্ব-নাট্যের কেন্দ্রস্থল চিদম্বরমের নর্টন-সভায় জীবের মুক্তিরঙ্গ প্রদর্শন করেন তাহাই কীর্তিত হয়। এইরূপ একটি ধ্যান ডাঃ সতীশচন্দ্র বিদ্যাভূষণ প্রকাশ করেন— লোকানাহয় সৰ্ব্বান ডমরুকনিনাদৈর্ঘ্যেবসংসারময়ান । দত্ত্বাভাfতং দয়ালু প্ৰণতভয়ঙ্গরং কুঞ্চিতং পাদপদ্মম্। উদ্ধ তোদং বিমুক্তে বয়নমিতি করাদ্ধশয়ন প্রত্যয়ৰ্থম। বিশুদৃ বছি সভায়াং কলয়তি নটনং য: স পায়াল্পটেশঃ ॥ ডাঃ কুমারস্বামী কতকগুলি তামিল শ্লোকের অম্বুবাদ করিয়াছেন, সেগুলির ভাব এইরূপ ১ । সব জায়গায় ।ঙ্গর রূপ : শিব-শক্তি সৰ্ব্ব্যাপী ; সব জায়গায়ষ্ট চিদম্বৰম, সব জায়গায় তাহার নৃত্য । ২ । তিনি জলে, স্থলে, অগ্নিতে, বায়ুতে ও বোমে নুত্য করেন, এইরূপেই নটেশ চিরদিন তার সভায় নৃত্য করেন । ৩। আকাশ স্টার শরীর, আকাশের কৃষ্ণ মেঘকে তিনি পায়ে দলন করেন, श्वाः कूि ऊँीद्र वज्रिं शश्,ि তিনটি আলো তার ত্রিনয়ন, এইরূপে তিনি আমাদের দেহ-সভায় নৃত্য করেন। ৪ । যখন নটেশ তাহার ডমরু বাজান, সবাই সে নাট দেখিতে আসে ; যখন তিনি নাট সম্বরণ করেন তখন তিনি শাস্ত হন ও একাকী অবস্থান করেন । تايلا دلصحراج শিবের বৃত্যমূৰ্ত্তি و ۱ আধুনিক সাহিত্যে নটরাজের মৃত্যের মত কাব্যের উপযোগী ভাব আমাদের কবিদের প্রেরণা জোগায় নাই। শুধু রবীন্দ্রনাথে ইহার ব্যতিক্রম দেখা যায়। তিনি হিন্দুর পৌরাণিক রূপক ও কল্পনাগুলি অনেক স্থলে কাজে লাগাইয়াছেন, বিশেষ করিয়া নটরাজের ভাবে ভাবিত হইয়। কয়েকটি অনুপম কবিতা ও সঙ্গীত আমাদিগকে দিয়াছেন । র্তাহার বহুকাল আগে লেখা “হে রুদ্র বৈশাখ" ও পরে “আজ মেঘের জটা উড়িয়ে দিয়ে নৃত্য কে করে” ইত্যাদিতে প্রাচীন ঝড়ের দেবতার রূপ-বর্ণনা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করিয়াছে। তার পর “প্রলয় নাচন নাচলে যবে, নটরাজ, হে নটরাজ” গানটি তাহার একটি অপূৰ্ব্ব দান স্বষ্টির বিচিত্র লীলা যে এক নটরাজের নৃত্যতালের সঙ্গে তাল রাখিয়া চলে তাহা তিনি র্তাহার “নটরাজ-ঋতু-রঙ্গশালা’র গানে ফুটাইয়া তুলিয়াছেন ।

এইবার আমরা শিল্পের দিক্ হইতে শিবের মৃত্যমূৰ্ত্তিগুলির মোটামুটি আলোচনা করিব । অনেক দিন পর্য্যস্ত যে-সব মূৰ্ত্তি লইয়া আলোচনা চলিয়াছে সেগুলি সবই দক্ষিণ দেশের । ডাঃ কুমারস্বামী বা গোপীনাথ রাও শুধু ঐ অঞ্চলের মূৰ্ত্তির বিশেষ বিবরণ দিয়াছেন ও ব্যাখ্যা করিয়াছেন। গোপীনাথ রাও র্তাহার বিরাট গ্রন্থে বাংলার যুক্তির কোন উল্লেখ করেন নাই বা চিত্র প্রকাশ করেন নাই । বাংলা দেশের মূৰ্ত্তিগুলি সম্বন্ধে নানা সাময়িক পত্রে প্রবন্ধ বাহির হইয়াছে বটে, কিন্তু কোন গ্রন্থ লিথিত হয় নাই । সুথের বিষয় কয়েক বৎসর হইল ডাঃ নলিনীকান্ত ভট্টশালী ঢাকা চিত্রশালায় রক্ষিত মূর্তিগুলির সম্বন্ধে যে গ্রন্থ লিখিয়াছেন তাহাতে বাংলার নটরাজ মূর্তিগুলির আলোচনা করিয়াছেন ও চিত্র প্রকাশ করিয়াছেন। এই গ্রন্থ ইংরেজীতে লিথিত হওয়ায় বাংলার বাহিরে বাংলার নৃত্যমূৰ্ত্তিগুলির প্রতি দৃষ্টি আকৃষ্ট झुङ्गेरु ! মৃত্যশিল্প যে ভারতবর্ষে অতি প্রাচীনকালে আবৃত হুইত তাহ আমরা ঐতরেয় ব্রাঙ্গণে দেখিতে পাই । পরবর্তী যুগে যখন এ বিষয়ে স্বত্র ইত্যাদি রচিত হইয়াছিল .