পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

δυ শ্বশুরমহাশয় শ্ৰীহেমলতা দেবী পূজ্যপাদ শ্বশুরমহাশয় কি ধাতের মাতুয ছিলেন এক কথায় তার সম্যক চিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে পার সহজসাধ্য নয়। তার অসাধারণত্ব, গুণ ও শক্তির খণ্ড পরিচয় চারি দিকে ছড়িয়ে আছে এত বেশী যে সেগুলিকে একত্র শ্রেণীবদ্ধভাবে সজ্জিত করে তোলা এক জনের পক্ষে অসাধ্য কাজ । যিনি যে ভাবে যখন তাকে দেখেছেন নিজের নিজের মনের দৃষ্টিতে র্তার যে রূপ যখন তাদের কাছে যেমনটি প্রতিফলিত হয়েছে সেইটুকু যদি তারা নিজের ভাবে ফুটিয়ে লেখেন তবে সেই খণ্ড পরিচয়গুলি একত্র হয়ে একটি সমগ্রতার রূপ নিতে পারে । শ্বশুর মহাশয় যে ধাতের মাতুযই হোন না কেন তিনি যে সকল দিকে যোলো আনা থাটি মাতুস ছিলেন এতে কোনো ভূল নাই । তার ঈশ্বর ভক্তি ছিল খাটি, পিতৃভক্তি ছিল থাটি, ভাইদের ও সস্তানদের প্রতি স্নেহ ছিল থাটি । স্বদেশপ্রীতি, বন্ধুপ্রীতি ও জীবপ্রীতি ছিল তার খাটি । দার্শনিক তত্ত্বের বিচার ও বিশ্লেষণে অতুরাগ ছিল খাটি । কাব্যে পতি ও বাংলা ভাষার প্রতি দরদ ছিল থাটি । ভাযার এলোমেলো আলগা ব্যবহার সইতে পারতেন না একটুও । তিনি সেজেগুজে বসে বাইরের ঠাট বজায় রাখতে জানতেন না আদেী । সাজিয়ে কথা বলতে পারতেন না একটিও, তাই ঠকত না কেউ তার কথায় ও কাজে কখনো | র্তার প্রকৃতির একটি বৈশিষ্টা ছিল ধ্যানপরায়ণতা। ষেন সহজাত সংস্কারের মতে ধ্যানের অভ্যাসটি ছিল তার আয়ত্তীভূত—এটি অনন্যসাধারণ । অতি সহজে তিনি ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন। অন্তরে তিনি ধ্যানী মানুষ কিন্তু বাহিরের কথা কাজ ও ভাব ছিল ছেলেমামুযের বাড়া । আবদারে ছেলেমানুষের প্রতিমূৰ্ত্তি, অসহিষ্ণুতার অবতার বললে তাকে অত্যুক্তি হয় না। যখন যে জিনিস চাই সেই মুহূর্তে সেটি না পেলে বাড়ীর কারে রথ ছিল না, হুলুস্থল বাধিয়ে তুলতেন তদণ্ডে। শিশুপ্রকৃতি শ্বশুর B لا حسـ جهة দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর به دسوا মহাশয়ের শখ ছিল সামান্য, তাই চাওয়াও ছিল তার যংসামান্য। খাতা-কাগজ, কলম-পেন্সিল, খানকতক তত্ত্বজ্ঞানের গ্রন্থ, কাগজের বাক্স তৈরীর জন্য রশিখানেক ব্রাউন পেপার । এই ছিল তার চাওয়ার মধ্যে সৰ্ব্বপ্রধান। তার দিনযাত্রার এরাই ছিল সঙ্গী । জ্যামিতির অনুশীলন ছিল তার মস্তিষ্ক খাটানোর একটি দৈনন্দিন কাজ । জ্যামিতির মাপ ও হিসাব অতুসারেই তিনি বাক্স তৈরীর কাগজগুলি ভাজ করতেন। সুতরাং বাক্স তৈরীর সঙ্গে সঙ্গে তার জ্যামিতির অমুশীলন করাও হ’ত। জ্যামিতির হিসাব জড়িত থাকত ব’লেই সহজে কেউ বাক্স তৈরী শিখে উঠতে পারত না । জিওমেটির নামানুসারে তিনি বাক্স তৈরী কাজের নাম রেখেছিলেন “বক্সোমেট্রি” এই ছিল তার শখের একটা ব্যাপার। আর একটি শখ ছিল বাংলায় সাঙ্কৃেতিক অক্ষর ( শর্টহাণ্ড ) স্বষ্টি করা। এই কাজের সূত্রে তিনি