পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ಸತ আমাদের প্রভু ও রক্ষক হইয়া বসিয়া আছেন। তাহার এক শত বৎসরের অধিক কাল হইতে বলিয়া আদিতেছেন যে আমাদিগকে স্বাধীন হইতে দেওয়া হইবে। তাহাদের এখনকার কথা হইতে বুঝিতেছি, আমরা আত্মরক্ষায় সমর্থ ন হইলে তাহারা আমাদিগকে স্বাধীন হইতে দিবেন না। কাজে কাজেই আমাদিগকে দেখিতে হইতেছে, আমরা ইংরেজদের শাসনকালে উত্তরোত্তর আত্মরক্ষায় অধিকতর সমর্থ হইতেছি কি না । যখন ইংরেজরা প্রথম প্রথম আমাদের দেশ অল্প অল্প করিয়া দখল করিতে আরম্ভ করেন, তখন আমরা ভারতীয়েরা তাঙ্গাদের সহিত যুদ্ধে কখন জিতিয়াছি, কখনও বা হারিয়াছি । শেষে, অবশ্ব, ছলবল ও কৌশলের প্রতিযোগিতায় আমরা পরাজিত হই । তাহার একটা প্রধান কারণ, ভারতবর্ষের ভিন্ন ভিন্ন অংশে পরম্পর অ-মিলন ও বিরোধিত ( যাহা রাজকীয় ব্যবস্থার পুনরাবিভূতি ও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইতেছে )। মোট কথা, {{ ইংরেজ-অমিলের আগে এবং তাহার প্রথম অবস্থfয় ভারতীয় কোন কোন রাজশক্তি কোন বিদেশী শক্তির সাহা, ন-লইয়াও ইংরেজদের সমকক্ষতা রতে পারিয়াছিল । তখন ইংরেজরা পৃথিবীর প্রবলতম জাতি না হক্টলেও অন্যতম প্রবল জাতি ছিল । এবং তখন তাহাদের রণসজ্জা অস্ত্রশস্ত্ৰ কাহারও চেয়ে নিকৃষ্ট ছিল না । ভারতীয়েরা এরূপ একটা জাতির সহিত সমকক্ষতা করিয়া কখন কখন জিতিয়াছিল। আর এখন ? এখন ৪ ইংরেজদের রণসজ্জা ও অস্ত্রশস্ত্র অন্ত কোন জাতির চেয়ে নিকুণ্ঠ নহে, ভারতবর্যের গোরা সৈন্যদের সজ্জ ও অস্ত্রশস্থ ৪ তদ্রুপ ; কিন্তু সিপাহীদের সজ্জা ও অস্ত্রশস্ত্র গোরাদের সমান নহে, এবং উচ্চপদস্থ সেনানায়কেরা সবাই ইংরেজ, ভারতীয় নায়কেরা নিম্নপদস্থ, এবং শুধু অল্পসংখ্যক সিপাহীদেরই নেতা। সিপাহীযুদ্ধের সময় পৰ্য্যস্ত কিন্তু দেশী নায়কের অনেকে গোরা ও সিপাহী উভয়েরই নেতৃত্ব করিতেন । ভারতবর্ষের নিজের শক্তিতে আত্মরক্ষার সামর্থ্যের মানে সিপাহীদের ও দেশ অফিসারদের ভারত-রক্ষার সামৰ্থ । কিন্তু জহার পদমর্যাদা সঙ্গী অংশ এবং অঙ্গিত বিবিধ প্রসঙ্গ-স্বাধীনতার দাবী সম্বন্ধে ভারত-সচিব bペ> গোরা ও ইংরেজ অফিসারদের সমান নহেন। ইংরেজরাজত্বে ভারতবর্ষের সৈন্যদলে কেবল সিপাহী এবং কেবল ভারতীয় অফিসার থাকিবে, এরূপ অবস্থা কখনও হইবে বলিয়া মনে হয় না। মোটের উপর ইংরেজআমলের আগে ও গোড়ার দিকে ভারতীয় যুদ্ধবল তখনকার বিদেশী জাতিদের তুলনায় যেরূপ ছিল, এখন সিপাহী ও দেশী অফিসারদের আপেক্ষিক যুদ্ধবল তাহা অপেক্ষা কম। বিদেশী যুদ্ধবল এবং ভারতীয় এই যুদ্ধবলের আপেক্ষিক অসাম্য কমিতেছে না। ইংরেজরাজত্ব থাকিতে ইহা কমিবে না। সুতরাং ইংরেজ-প্রভুত্ব থাকিতে আমরা যখনই স্বাধীনতা চাহিব, তখনই ইংরেজরা বলিবে, “তোমরা আত্মরক্ষায় অসমর্থ।” অতএব, তাহাদের বিবেচনায় আমাদিগকে তাহণদের রাজত্বে চিরকাল অসমর্থ ও তাহদের মুখাপেক্ষী থাকিতে হইবে। তাঙ্গদের বিবেচনায় আপনাদিগকে অক্ষম জানিয়াও আমাদিগকে তাহাদের রাজত্বকালে কখন-না-কখন স্বাধীনতা-লিপ্ত, হইতে হইবে। যখনই স্বাধীনতা-লিপ্ত হইব, তখনই যখন এই কথা উঠিবে, তখন এখন এই স্বাধীনতা লাভের আকাঙ্ক্ষা ও প্রচেষ্টাকে অসাময়িক বলা চলে না । ভারতবর্ষে সৈনিক হইবার লোকের অভাব নাই । তাহার প্রাকৃতিক সম্পদও প্রচুর । স্বতরাং যুদ্ধে যে-কোন জাতির সমকক্ষতা করিতে ভারতবর্ষ সমর্থ । যুদ্ধই যে স্বাধীনতারক্ষার এক মাত্র উপায় তাহা নহে । বিদেশী অনেক ক্ষুদ্র দেশ ও জাতি স্বাধীন আছে, যুদ্ধ না-করিয়াও স্বাধীন আছে । সুতরাং বিশ্বাসে ও সাহসে ভর করিয়া আমাদের স্বাধীন হওয়াই উচিত। ব্রিটেনের অনিচ্ছা সত্ত্বেও স্বাধীন হইবার শক্তি যদি ভারতবর্ষের থাকে, তাহ হইলে তাহ রক্ষণ করিবার শক্তিও তাঁহার থাকিবে । স্বাধীনতার দাবী সম্বন্ধে ভারত-সচিব গত ১১ই ফেব্রুয়ারী বিলাতী সাণ্ডে টাইমসের প্রতিনিধিকে, অবহু পূৰ্ব্ব বন্দোবস্ত অনুসারে, দর্শন দিয়া ভারত-সচিব লর্ড জেটল্যাণ্ড ভারতবর্ষের দাবী সম্বন্ধে কতকগুলি কথা বলেন । তাহার কিয়দংশের তাৎপৰ্য্য يا हे