পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਾਂ কথা বলেন তাহার মধ্যে অন্য কয়েকটি মন্তব্য সময়েও কিছু বলিতে চাই । তিনি বলেন, ( তাৎপর্যা ) । ভারতবর্ষ ও ব্রিটেনের লোকদের মধ্যে কেবল বাণিজ্যিক জড়পদার্থ সম্বন্ধীয় যোগসূত্র নহে, মানসিক যোগসূত্র বা বন্ধন আছে। তাছ। রূঢ়তা ও কঠোরত সহকারে নষ্ট করিলে উভয় জাতিরই গুরুতর ক্ষতি হইবে । যাহারা আজ কংগ্রেসের নেতৃত্ব করিতেছেন, তাহার। অনুপ্রাণনার জষ্ঠ ইংরেজী সাহিত্যের ও ইংলণ্ডীর রাষ্ট্রনৈতিক চিন্তার নিকট পৃষ্ণু । ব্রিটেন ও ভারতের শাসক ও শাসিত বা প্রন্থ ও দাসের সম্পর্ক লুপ্ত হইলেও বাণিজ্যিক আদান-প্রদানের যোগসূত্র থাকিতে পারে। পৃথিবীর যে-সকল দেশ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্গত নহে, ৩হাদের সহিতও ব্রিটেনের ঐরূপ আদান-প্রদান আছে। সাংস্কৃতিক সম্পর্কও ব্রিটেন এবং ব্রিটিশ-সাম্রাজ্য-বহির্ভূত বহু দেশের মধ্যে আছে। এখন যে উপনিবেশগুলি আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র, সেগুলি এক সময় ব্রিটেনের অধীন ছিল । তাহাদের ভাযl, সাহিত্য, সংস্কৃতি, সভ্যতা ব্রিটেন ও ইয়োরোপ হইতে প্রাপ্ত | তথাপি তাহারা স্বাধীন হইয়াছে। তাহাতে তাহাদের ও ব্রিটেনের বাণিজ্য বা সংস্কৃতির কোন ক্ষতি হয় নাই। ভারতবর্যের ভাষা ও সাহিত্যসমূহ এবং ংস্কৃতি ও সভ্যতা ব্রিটেন বা ইয়োরোপ হইতে প্রাপ্ত নহে । আমেরিকার যাহাদের সহিত ব্রিটেনের ও ইয়োরোপের খুব ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল, তাহারা তাহার খাতিরে স্বাধীনতা-লা ভ-চেষ্টা হইতে নিবৃত্ত হয় নাই, পরস্তু স্বাধীনতা লাভ করিয়াছিল । আমাদের সহিত পাশ্চাত্যের যোগ ঘনিষ্ঠ নহে এবং আমাদের পাশ্চাত্যের নিকট ঋণও মজ্জাগত নহে। স্বতরাং আমাদিগকে ঐ “যোগ” ও "ঋণে"র খাতিরে স্বাধীনতা-লাভ-প্রয়াস হইতে নিবৃত্ত থাকিতে বলা অসঙ্গত ও হাস্যকর । আয়াল্যাণ্ডের সহিত ব্রিটেনের সর্ববিধ সম্পর্ক বহুশতাব্দীব্যাপী ; তথাপি আয়াল্যাণ্ড প্রায় স্বাধীন হইয়াছে। ংগ্রেস-নেতারা এবং অন্য শিক্ষিত ভারতীয়ের ইংরেজী সাহিত্য ও ব্রিটিশ রাষ্ট্রনৈতিক চিস্ত হইতে কিছু অস্থপ্রাণনা লাভ করিয়াছেন বটে ; কিন্তু জাপান, চীন, ইরান, তুরস্ক প্রভৃতির লোকেরাও কিয়ং পরিমাণে তাহা করিয়াছে। তাই বলিয়া কি তাহাদিগকে ব্রিটেনের প্রভুত্ব স্বীকার করিতে হইবে ? বিবিধ প্রসঙ্গ-কুশিয়ার ফিনল্যাণ্ড আক্রমণ ৮২৩ “মহত্তম ঐক্যবিধায়ক প্রভাব” লর্ড জেটল্যাও আর একটা অদ্ভুত কথা বলিয়াছেন। র্তাহার মতে ইংরেজী ভাষা ভারতবর্ষে “মহত্তম ঐক্যfooto risia” (“the greatest unifying influence") । ঐ ভাষার অতি সামান্য জ্ঞানও ভারতবর্ষে যাহাঁদের আছে, তাহাদিগকেও গণনার মধ্যে আনিলেও ভারতের অধিবাসীদের মধ্যে মোটামুটি শতকরা তিন জন ইংরেজী জানে, এবং ফিরিঙ্গীরা ও ভারত প্রবাসী ইংরেজরা তাহাদের অন্তর্গত। বাকী ভারতীয়েরা কি পরস্পরের সহিত কোন প্রকার ঐক্য অনুভব করে না ? বস্তুত: ইংরেজদের ভারতবর্ষে আসিবার বহু বহু শতাব্দী আগে হইতে ভারতবর্ষের লোকদের একটি মজ্জাগত ঐক্যবোধ ছিল ও আছে। ভারতবর্ষের কেদার বদরী হইতে কন্যাকুমারী পর্য্যস্ত, জালামুখী নাথদ্বার দ্বারকা হইতে গঙ্গাসাগর কামাখ্যা পর্য্যন্ত তীর্থনিচয়ে এবং ধর্মানুষ্ঠানের জলে গঙ্গা যমুনা গোদাবরী সরস্বতী নৰ্ম্মদ সিন্ধু ও কাবেরীকে সন্নিহিত হইবার আহবানে তাহার বাহ পরিচয় রঙ্গিয়াছে। রুশিয়ার ফিনল্যাণ্ড আক্রমণ আমেরিকার শিকাগো শহরের “য়ুনিটি” কাগজের Hoffwo sit on Czfū (John Haynes Holmes) তিনিই প্রথমে মহাত্মা গান্ধীকে জগতের মহত্তম পুরুষ বলেন। তিনি গণতান্ত্রিকতার পূর্ণ সমর্থক, এবং রুশিয়ারও খুব বন্ধু ছিলেন তৎকর্তৃক ফিনল্যাও আক্রমণের পূর্ব পৰ্য্যন্ত । তিনি তাহার “য়ুনিটি’ কাগজে ফিনল্যাণ্ড সম্বন্ধে লেনিনের নিম্নলিখিত কথাগুলি উদ্ধৃত করিয়াছেন । ভারতবর্ষে এখনও যাহারা রুশিয়ার ফিনল্যাণ্ড আক্রমণের সমর্থক, তাহারা এগুলি পড়িবেন । অমুরাদ দিলাম | || “The class-conscious proletariat, true to their program, are for the freedom of Finland, as well as of other non-sovereign nationalities, to separate from Russia ...The bourgeoise are earrying on the same tsarist policy of subjection, of annexation. For Finland was annexed by the Russian Tsars as the result of a deal with Napoleon, the strangler of the