পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

والاجسا প্রবাসী రిgఆ কংগ্রেসের লক্ষ্য এমন এক শাসনতন্ত্র প্রবর্তন করা, যেখানে প্রতি দলের ও প্রত্যেক ব্যক্তির পক্ষে উন্নতির পুর্ণ স্বাধীনতা এবং সুযোগ স্ববিধ সম্বন্ধে খ্যারাটি থাকিবে এবং সামাজিক অদ্যায়-অবিচারের উচ্ছেদ সাধনে স্যায়ামুগত সমাজ-ব্যবস্থা প্রবৰ্ত্তিত হইবে । দেশীয় রাজ্যের শাসনকৰ্ত্তাদিগের এবং বিদেশী সংরক্ষিত স্বার্থের ভারতের স্বাধীনতার পক্ষে বাধা সৃষ্টির অধিকার কংগ্রেস স্বীকার করে না । ভারতের দেশীয় রাজেই হউক অথবা প্রদেশসমূহেই হউক, সাৰ্ব্বভৌম ক্ষমতা জনসাধারণের হতেই থাকিবে । অস্তান্ত স্বর্থ জনসাধারণের মূল স্বার্থের অধীন হইবে । দেশীয় রাজ সম্বন্ধে যে সমস্তার স্বষ্টি হইয়াছে, কংগ্রেসের মতে ড়হ ব্রিটিশেরই স্বষ্টি। সুতরাং ভারতের বিদেশশাসনমুক্ত স্বাধীনতা ঘোষণা ভিন্ন সে সমস্তার সন্তোষজনক মীমাংসাও হইতে পারবে না। তারতের জনসাধারণের স্বার্থবিরোধী নহে, এমন সকল বিদেশী স্বার্থ সংরক্ষিত থাকিবে । যুদ্ধের সহিত ভারতকে সম্পর্কশূন্ত করিবার উদ্দেঙ্গে এবং বৈদেশিক প্রভুত্ব হইতে ভারতকে মুক্ত করার সঙ্কল্প দৃঢ়ভাবে প্রকাশের জঙ্গ, যে সকল প্রদেশে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেই সকল প্রদেশ হইতে কংগ্রেস মগ্নিগণকে সরাইয়া লইয়া আসিয়াছে । এই ব্যবস্থার স্বাভাবিক পরিণতিই হইবে আইন-আমাঙ্গ আন্দোলন । কংগ্রেস প্রতিষ্ঠানসমূহ এ সম্বন্ধে প্রস্তুত হইয়াছে বুঝিতে পারিলে অথবা অবস্থt-পরম্পরার বাধা হইয়া সঙ্কট-উপস্থাপন দ্রুততর করার প্রয়োজন হইলে, কংগ্রেস দ্বিধাশুষ্ঠভাবে আন্দোলন আরম্ভ করিবে । কংগ্রেস গান্ধীজীর এই ঘোষণার প্রতি কংগ্রেসকন্মিদিগের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছে । কংগ্ৰেসিগণ নিয়মশৃঙ্খল কঠোরভাবে পালন করিতেছেন এব স্বাধীনতার সঙ্কল্পবাকনির্দিষ্ট গঠনমূলক কার্য যথাযথ সম্পন্ন করিতেছেন, এই সকল বিষয় চূড়ান্তভাযে জানিতে পরিলে, গান্ধীজী আইন-অমান্ত আন্দোলন পরিচালনার নেতৃত্ব গ্রহণ করিতে পারেন । কংগ্রেস জাতিধৰ্ম্মনির্বিশেষে সকল শ্রেণী ও সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব ও সেবা করে । সমগ্র জাতিকে বন্ধনমুক্ত করাই কংগ্রেসের মুক্তিসংগ্রামের উদ্দেন্ত । সুতরাং কংগ্রেস এই আশা পোষণ করে যে, সকল শ্রেণী ও সম্প্রদায় কংগ্রেসের এই স্বাধীনতা-সংগ্রামে যোগ দিবে। এ, পি গণপরিষদের আহবান, গঠন, ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায় ও শ্রেণীর আপেক্ষিক প্রতিনিধি-সংখ্যা, তাহার কার্য্যপ্রণালী, তাহার সিদ্ধান্ত সমগ্র জাতিকে বিন আপত্তিতে গ্রহণ করাইয়। কার্যকর করিবার শক্তি তাহার থাকিবে বা হইবে কি না, ইত্যাদি বিবয়ে আমাদের কোন স্পষ্ট ধারণা কংগ্রেসী প্রস্তাবটি হইতে জন্মে নাই । কংগ্রেসীরা গান্ধীজীর আদশ অনুসারে নিয়মনিষ্ঠ ও গঠনমূলককার্যা-নিরত হইয়াছেন, ইহা তাহাকে বিশ্বাস করাইতে পারিবেন কি না, অন্ততঃ অদূর ভবিষ্যতে পরিবেন কি না, সে বিষয়ে আমাদের সন্দেহ আছে। স্বতরাং র্তাহার নেতৃত্বে কংগ্রেসের আইন-অমান্য আন্দোলন আরম্ভ অনির্দিষ্ট ভবিষ্যতের ব্যাপার বলিয়া মনে হর। প্রস্তাবটির অন্যান্য অংশের, প্রায় সমস্ত অংশের, আমরা সমর্থন করি । আমরা খাদি অনাবশ্বক বা মূল্যহীন মনে করি না ; কিন্তু চরখায় স্বতা ও হাতের তাতে থাদি উৎপাদনরূপ গঠনমূলক কাৰ্য্য স্বরাজসংগ্রামের নিমিত্ত কেন অপরিহার্য্য প্রস্তুতি বিবেচিত হইয়াছে, তাহা বুঝিতে পারি নাই । কিন্তু দক্ষিণপন্থী বামপন্থী ও অন্যবিধ সকল কংগ্রেসীদের অহিংস হওয়া, নিয়মাম্ববর্তী হওয়া এবং শৃঙ্খলা রক্ষা করা যে অহিংস-স্বরাজ-সংগ্রামের জন্য একাস্ত আবশ্যক, তাহা আমরা উপলব্ধি করিতে পারি। এই গুণগুলি কংগ্রেসীদের মধ্যে এখন যথেষ্ট পরিমাণে নাই, তাহা ও দেখিতেছি । স্বরাজ-সংগ্রাম আরম্ভ করিলেই তাহাদের মধ্যে এগুলির স্বতঃ-আবির্ভাব হইবে, এ বিশ্বাস আমাদের নাই । সুভাষবাবুর দলের লোকের এবং অন্য কেহ কেহ মনে করেন, প্রস্তাবটিতে যে কংগ্রেসের পক্ষ হইতে স্পষ্ট চরম ও চূড়ান্ত কথা বলা হইয়াছে তাহ স্বভাষবাবুর রফাবিরোধী আন্দোলনের ফল। তাহা অসম্ভব নহে— অন্ততঃ আংশিক ভাবে । কিন্তু তাহাই যে আংশিক ভাবেও কংগ্রেস ওআর্কিং কমীটির দৃঢ়তার কারণ, ইহাও নি:সংশয়ে বলা যায় না। বাংলার জেলাসমূহে লিখনপঠনক্ষম লোকের হার গত ২৯শে ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বঙ্গীয় ব্যবস্থা পরিষদে মিঃ ইঞ্জিম আমেদ মিঞা প্রশ্ন করেন, মালনীয় শিক্ষামী জীণাইবেন কি— ( ক ) বাংলার ভিন্ন ভিন্ন জেলায় লেখাপড়া-জাল লোকের হার কত ? এবং (খ) অপেক্ষণকৃত অনগ্রসর জেলাসমূহে লেখাপড়া-জান লোকের ংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য গবৰ্ণমেণ্ট যদি কোন ব্যবস্থা অবলম্বন করিতে মনস্থ করিয়া থাকেন, তবে তাহা কি ? মালনীয় মিঃ এ কে ফজলুল হক ( থ ) তিনটি জেলায় অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রবৰ্ত্তিত হইয়াছে । বৰ্ত্তমাণ বৎসর হইতে আরও ৫টি জেলায় এই শিক্ষা প্রবর্তনের ব্যবস্থা হইতেছে এবং যথাসম্ভব শীঘ্র সমগ্র প্রদেশে এই ব্যবস্থা প্রবর্তনের চেষ্ট হইতেছে। ( ক ) বাংলার প্রত্যেক জেলায় লেখাপড়া-জান লোকের শতকরা হীর সম্বলিত একটি বিবৃতি দাখিল করা হইয়াছে। বিবৃতিটি নিম্নরূপ : - বৰ্দ্ধমান ১২৩, বীরভূম ৮১, বাকুড়। ৯৯, মেদিনীপুর ১৭ ৫, হুগলী ১৬•, হাওড়া ২-’৭, চব্বিশ-পরগণ। ১২৭, কলিকাতা ৪৩২, মীয়। ৬ ৯, মুর্শিদাবাদ ৪৩, যশোহর ৭৬, খুলন। ১-১, রাজশাহী ৭ ৭, দিনাজপুর ৭:৪, জলপাইগুড়ি ৫-৬, দাজিলিং ১২৬, রংপুর ৬৯, বগুড় ১১ ৩, পাবনা 7 , মালদহ ৩৮, ঢাকা ১• ৯, ময়মনসিংহ ৭৭, ফরিদপুর ৯ ১,