পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ੋਗ বাখরগঞ্জ ১৪:৪, ত্রিপুর। ৯৩. নোয়াখালী ১৩২, চট্টগ্রাম 8" ه لا, পাৰ্ব্বত্য চট্টগ্রাম ৫’ । যে-যে জেলায় লিখনপঠনক্ষমদের শতকরা হার সকলের চেয়ে কম, সেই সেই জেলাতেই সর্বাগ্রে অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রবতিত হওয়া উচিত। তাহা হইয়৷ থাকিলে ভাল, নতুবা অচিরে তাহার ব্যবস্থা কর। কৰ্ত্তব্য। সকল জেলার জন্যই অবশ্ব এইরূপ ব্যবস্থা হওয়া আবখ্যক । নিরক্ষর প্রাপ্তবয়স্কদের শিক্ষা বালকবালিকাদের নিমিত্ত অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিরক্ষর প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়মিত শিক্ষার ব্যবস্থা হওয়া উচিত। শুধু সমুদয় বালকবালিকাদিগকে লিখনপঠনক্ষম করিয়া দেশের নিরক্ষরত দূর করিতে চাহিলে তাহাতে ৭০৮০ বৎসর লাগিবে । তাহার পূৰ্ব্বে এখনকার নিরক্ষর প্রাপ্তবয়স্কদের মৃত্যু হইবে না । অনেক ছাত্রছাত্রীর সম্মুখে কয়েক মাস অবকাশ । র্তাহারা নিরক্ষর পুরুষ ও নারীদের শিক্ষণ দিলে নিজেদের ও শিক্ষার্থীদের প্রভূত উপকার হইবে। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ইন্সটিটিউটের এই বিষয়ে উদ্যম প্রশংসনীয়। বাঁকুড়ায় নিরক্ষরত লিখনপঠনক্ষমতা সম্বন্ধে কোন জেলারই কৃতিত্ব প্রশংসনীয় নহে । সর্বত্রই শিক্ষাবিস্তারের প্রবল, নিয়মিত, ও সাগ্রহ চেষ্ট আবখ্যক । বাকুড়ায় নিরক্ষরতার উল্লেখ করিবার কারণ, ইহা এ বিষয়ে সর্বাপেক্ষা নিন্দনীয় না হইলেও নিন্দনীয় বটে এবং ইহা প্রবাসী-সম্পাদকের নিজের জেলা । কিন্তু অন্য একটি কারণে ইহার উল্লেখ করিতেছি । সম্প্রতি রবীন্দ্রনাথের বাকুড়ায় তিন দিন যাপন উপলক্ষ্যে দেখিয়াছি, বাঁকুড়ার ছাত্র ও ছাত্রীগণ অসাধারণ ভিড়ের মধ্যে পূর্ণ শৃঙ্খলা রক্ষা করিয়াছে, পুলিসের সাহায্য বিন্দুমাত্রও আযগুক হয় নাই, লওয়াও হয় নাই । আমরা কোথাও এক জন পাহারাওআল। দেখি নাই । যাহার এরূপ কাজ করিতে পারিয়াছিল, তাহদের মধ্যে বিবিধ প্রসঙ্গ-বাকুড়ায় রবীন্দ্রনাথ

  • ్న

বস্তু আছে, তাহারা অপদার্থ নহে । আমরা তাহাদিগকে এবং তাহাদের শিক্ষক ও শিক্ষয়িত্রীদিগকে বাঁকুড়ার ( শহরের ও গ্রামসমূহের ) নিরক্ষরতার অপবাদ দূর করিতে আশার সহিত অতুরোধ করিতেছি। লোকশিক্ষা সম্বন্ধে বিশেষজ্ঞ ষিশ্বভারতীর অধ্যাপক ডক্টর ধীরেন্দ্রমোহন সেনের সহিত বাকুড়ায় কাহারও কাহারও এ বিষয়ে আলোচনা হইয়াছে ; রবীন্দ্রনাথ স্বয়ংও এ বিষয়ে কাহাকেও কাহাকেও কিছু বলিয়াছেন। এ বিষয়ে যিনি যাহা কিছু জানেন, সেই পুজি লইয়াই কাজে প্রবৃত্ত হউন, এবং অধিকতর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করিতে ও তাহা কাজে লাগাইতে থাকুন। বাকুড়া জেলার ডিষ্ট্রিক্ট বোর্ড ও অন্য বোর্ডগুলি এবং মিউনিসিপালিটি কয়টি হয়ত এ-বিষয়ে কিছু করিতেছেন। আরও কিছু কিন্তু দরকার । বাঁকুড়া জেলা ইস্কুলের শতবার্ষিক উৎসব বাকুড়া জেলা ইস্কুল ১৮৪০ খ্ৰীষ্টাব্দে স্থাপিত হয় । বর্তমান ১৯৪০ সালে ইহার শতবার্ষিক উৎসব হইবে স্থির হইয়াছে । তাহার নিমিত্ত সাধারণ কর্মীটি ও কাৰ্য্যনিৰ্বাহক কমীটি নিবর্ণচিত হইয়াছে। শ্ৰীযুক্ত রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় ও শ্ৰীযুক্ত প্রমথনাথ চট্টোপাধ্যায় যথাক্রমে ইহাদের সভাপতি মনোনীত হইয়াছেন। ইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মহাশয় সম্পাদক । এই ইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যিনি যেখানে আছেন, অনুগ্রহপূর্বক নিজ নিজ নাম ও ঠিকানা সম্পাদক মহাশয়কে জানাইবেন । বাঁকুড়ায় রবীন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথ ইতিপূৰ্ব্বে কখনও বাঁকুড়া যান নাই ; সম্প্রতি গিয়াছিলেন। তিনি অন্যান্ত স্থানে গেলে, কোন কোন স্থানে—যেমন মেদিনীপুরে-তাহার বক্তৃতাদি কায্যকলাপের যেরূপ বিস্তারিত বৃত্তাস্ত অনেক বাংলা দৈনিক কাগজে বাহির হইয়া থাকে, তাহার বাকুড়া গমন দর্শন ও সেখানে তিন দিন অবস্থিতির সেরূপ বিবরণ কোন দৈনিকে দেখি নাই। এই জন্য প্রবাসীতে সামান্ত ।