পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

قضوotگ مي؟ তাহার এ উক্তিও ঠিক নহে যে, বাংলা দেশ সিদ্ধাস্তটাকে যতটা গ্রহণ ও অ-গ্রহণ করিয়াছে, ওআর্কিং কমৗটিও ততটা করিয়াছে—যদিও তিনি স্বীকার করিয়াছেন যে, কর্মীটি সিদ্ধাস্তটার বিরুদ্ধে বঙ্গের মত আন্দোলন করেন নাই। কৰ্মীটির পক্ষে একটা কথা বলা যাইত যাহা গান্ধীজী বলেন নাই,—কমীটি জাতীয় কারণ crofoil (“on national grounds") forgès: বিরুদ্ধে আন্দোলন করিতে বঙ্গের কংগ্রেসৗদিগকে অমুমতি দিয়াছিলেন। তাহারা কংগ্রেস জাতীয় দল গঠন করিয়া বঙ্গে এমন আন্দোলন করিয়াছিলেন ষে কেবলমাত্র র্তাহাদেরই মনোনীত প্রার্থীরা ব্যবস্থাপক সভায় ঢুকিতে পারিয়াছিল। বঙ্গের বক্তব্য এই যে, বঙ্গের কংগ্রেসীরা সিদ্ধাস্তটার বিরুদ্ধে যেরূপ আন্দোলন করিয়াছিলেন, অন্যান্য প্রদেশের কংগ্রেসীদেরও তাতা করা উচিত ছিল, তাহা না করা গর্হিত হইয়াছে । যে-ষে-উপায়ে সিদ্ধাস্তটা নাকচ হইতে পারে, তাহার মধ্যে গান্ধীজীর মতে বিদ্রোহ একটি । এ সম্বন্ধে কংগ্রেস জাতীয় দলের বিবৃতিতে লেখা হইয়াছে যে, যদি পূর্ণ স্বরাজ বিনা বিদ্রোহে পাওয়া যাইতে পারে ( যেমন গান্ধীজী এখনও আশা করেন ), তাহা হইলে সাম্প্রদায়িক সিদ্ধান্তটাও বিনা বিদ্রোহে নাকচ হইতে পারে। ইহা সত্য কথা । সাম্প্রদায়িক সিদ্ধান্তটা সম্বন্ধে আমরা অনেক বৎসর ধরিয়া এত কথা লিথিয়াছি যে আর ও বিষয়ে লিখিতে ইচ্ছা হয় ন!—বাধ্য হইয়া কিছু লিখিতে হইল । “নোয়াখালির হিন্দুদের প্রতি উপদেশ” নোয়াখালিতে হিন্দুদের প্রতি অত্যাচারের যে-সকল অভিযোগ হইয়াছে তাহা গান্ধীজীর গোচর করা হইয়াছে। সে বিষয়ে তিনি "হরিজন” পত্রিকায় একটি প্রবন্ধে যাহ লিথিয়াছেন তাহার কিয়দংশ এই : নোয়।খালিতে ব্যাপকভাবে গুণ্ডামি করা হইয়াছে বলিয়া যে অভিযোগ করা হইয়াছে, তৎসম্পর্কে আমি নিঃসক্ষেতে বলিতে পারি যে, জনসাধারণ কর্তৃক নিৰ্ব্বাচিত কোন গবষ্মেন্ট এরূপ গুণ্ডামি দমনের ব্যবস্থা করিতে পারে না । প্রত্যেক নর-নারীর নিজেরই তাহা করিতে হইবে । গবন্মেণ্ট বড়জোর অপরাধ অনুষ্ঠিত হইবার পর অপরাধীর দগুবিধান করিতে পারেন। দণ্ডবিধানের ফলে সে অপরাধ হইতে লোকে বিরত হইতে পারে, কিন্তু তাহা স্থার অপরাধ নিবারণ করিবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া গবর্ণমেণ্টের পক্ষে সম্ভবপর নহে। আত্মরক্ষা হিংসাও নছে, অহিংসাও নহে । আমি বরাবরই অহিংস উপায়ে আত্মরক্ষা • করিবার উপদেশ দিয়া থাকি ; কিন্তু আমি স্বীকার করি যে, - হিংসার সাহায্যে আত্মরক্ষার স্তায় অহিংস আত্মরক্ষাও শিক্ষণীয় દ્વસંજ્ઞાન తీgశ్రీ বিষয়। অহিংস উপায়ে আত্মরক্ষা করিবার ক্ষমতা যদি না থাকে তাহা হইলে হিংসাত্মক উপায় অবলম্বনে ইতস্তত কং অনাবশ্বক । “জনসাধারণ কতৃক নির্বাচিত কোন গবন্মেণ্ট এরূপ [ ব্যাপকভাবে অমুষ্ঠিত ] গুগুমি দমনের ব্যবস্থা করিতে পারে না, ইহা আমরা সম্পূর্ণ অস্বীকার করি। প্রত্যেক ব্যক্তিকে আলাদা আলাদা ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন দুবৃত্তের অত্যাচার হইতে রক্ষা করা বা করিবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া কোন গবন্মেন্টেরই সাধ্যায়ত্ত না হইতে পারে ( সে বিষয়ে আমরা নিঃসংশয় নহি ), কিন্তু ব্যাপকভাবে আচরিত সংঘবদ্ধ গুণ্ডামি দমনের ব্যবস্থা নিশ্চয়ই জনসাধারণ কতৃক নির্বাচিত গবন্মেস্ট করিতে পারে, অন্য রকমের গবন্মেণ্টও পারে এবং তাহ করা সববিধ গবন্মেন্টের একান্ত কতব্য। আমাদের দেশেই গুণ্ডা আছে, অন্যত্র নাই, এমন নয়। অথচ "জনসাধারণ কতৃক নির্বাচিত” গবন্মেণ্ট আমেরিকায়, কানাডায়, ব্রিটেনে, ফ্রান্সে, হল্যাণ্ডে, সুইডেনে,... থাকিলেও, সে-সব দেশে নোয়াখালিতে যেরূপ গুণ্ডামির অভিযোগ হইয়াছে তাহার মত ব্যাপকভাবে গুণ্ডামি লাগিয়াই আছে বা ছিল, বৰ্ত্তমান বা অতীত ইতিহাসে এরূপ দেখা যায় না । তাহার কারণ, সেই সব দেশে ওরূপ গুণ্ডামি দমনের ব্যবস্থা দরকার মত হইতে পারে ও হয় । বাংলা দেশের গবন্মেণ্টকে "জনসাধারণ কর্তৃক নির্বাচিত গবন্মেণ্ট” মনে করা ও বলা মহা ভ্ৰম । এই গবন্মেণ্ট বাস্তবিক ব্রিটিশ গবন্মেণ্ট । তাহার ‘পরামর্শদাতা’ কোন মন্ত্রীই জাতিধমনির্বিশেষে “জনসাধারণ” কতৃক নিবর্ণচিত নহেন, কোন কোন সম্প্রদায়ের নিবাচকদিগের দ্বারা নিবাচিত। যদি কোথাও কোন ধম সম্প্রদায়কে ও তাহার পৃষ্ঠপোষক বিদেশীদিগকে ব্যবস্থাপক সভার অধিকাংশ আসন কায়েমি ভাবে দেওয়া হয়, এবং যদি ঐ সকল আসনে উপবিষ্ট সদস্যেরা মনোযোগী না হন, তাহা হইলে সংখ্যালঘু ধৰ্ম সম্প্রদায়ের উপর ব্যাপকভাবে আচরিত গুগুমির অভিযোগের তদন্ত না হইতে পারে, এবং তদ্রুপ গুগুমি যদি প্রমাণিত হয়, তাহা হইলেও তাহ দমনের ব্যবস্থা না হইতে পারে ; মহাত্মাজী যদি এইরূপ কথা লিখিতেন তাহা হইলে সমালোচনার কারণ থাকিত না । আমাদের আশঙ্কা হয়, মহাত্মাজী যে-প্রকার মত যে-ভাষায় ব্যক্ত করিয়াছেন, তাহা ব্যাপকভাবে আচরিত গুওমির অভিযোগ সম্বন্ধে তদন্ত না করিবার বা তাহা প্রমাণিত হইলেও দমন না করিবার একটা অজুহাতের কাজ করিতে পারে।