পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুরস্কের অভু্যদয় ঐকেদারনাথ চট্টোপাধ্যায় চার মোটরযুক্ত বিরাটু এরোপ্লেনে ইস্তানবুল হইতে আঙ্কারা মাত্র দুই ঘণ্টার পথ । আকাশ-পথের রৌদ্রের ঝলকের মধ্যে চলিতে চলিতে আনাটোলিয়া চোথের সম্মুখে আসিয়া পড়িল। স্বপূৰ্বব্যাপী অধিত্যকার’ এই দেখা দিল । ক্ষেতগুলি পীতবর্ণ খড়ের আঁটিতে ভরা, তখন ফসল-কাটা শেষ হইয়া গিয়াছে। ক্রমেই ক্ষেতের সারি বাড়িতে লাগিল ও তাহার পর এই সমস্ত উর্বর উপত্যকার মাঝে ঠিক যেন চক্ষের নিমেষে একটি অতি প্রশস্ত, অতি প্রাচীন আংকারা—মসজিদ জনমানববিরল বৃক্ষগুল্মঙ্গীন ঝঞ্জাবাত-তাড়িত প্রাস্তর দেখিয়া মনে হইল ইঙ্গই কষ্টসহিষ্ণু দৃঢ়কায় কৃষিজীবী তুর্ক জাতির উপযুক্ত বিচরণভূমি। পৰ্ব্বতময় মরুমালার মধ্যে মধ্যে কে যেন অস্বাঘাত করিয়া ছোট ছোট উপত্যকার স্বষ্টি করিয়াছে, সেগুলি শস্যশ্যামল এবং সেচ-নালীর জামিতিক নক্সায় সুশোভিত। ক্ষেতের সীমানা চেনার ও দেবদারুর সারিতে সজ্জিত এবং তাহার শেষ প্রান্তে প্রস্তর ও কাষ্ঠ নিৰ্ম্মিত ঘরবাড়ীতে ভরা ছোট ছোট গ্রাম রহিয়াছে । ক্রমেই এই গিরিমালা পাৰ্ব্বত্য নদীর গভীর খাদে খুঃখগু হইয়া পৃথক হইয়া শুড়ি.......ই-চারিটি গ্রাম &- : দেখা দিল - পর দুর - রা মালভমি আধুনিক আংকার—স্বরাষ্ট্রসচিব-ভবন স্বন্দর জনপদ দেখা দিল। মনে হইল যেন বহুদূরব্যাপী মরুপথের শেষে এক বিশাল ওয়েসিসে আসিয়াছি । এরোপ্লেন নীচে নামিতে আরম্ভ করিল, বৃক্ষমালার মধ্যে অসংখ্য নুতন সৌধপ্রাসাদ দেখা গেল, সমস্তষ্ট অৰ্দ্ধবৃত্তাকারে সাজান, তাহার কেন্দ্রে দুইটি খঙ্গাকার পর্বতশিখর। এক প্রাচীন দুর্গের দ্বার, প্রাকার, প্রাচীর ও মীনারে পাহাড় ছাইয়া আছে। তাহার আশেপাশে আতি পুরাতন ঘরবাড়ীর ভিড়। নীল আকাশে মেঘের টুকরা রৌদ্রে উজ্জ্বল, তাহার সামনে এই পাৰ্ব্বতা দুর্গের কঠোর রেখাবলী এক মায়াপুরীর আলেথ্যের মত দেখাইতেছিল। এরোপ্লেনের গতি মন্দ হইল । নীচের ময়দানের ংসE_oলীরুষ্ট্রেক রাকা রেখা, তাহার মধ্য দিয়া সরল