পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

السياg بسيb প্ৰেৰাষ্ট্ৰী `ඵ8ම් এবং অশেষ পরিশ্রম ও অনেক অর্থব্যয়ের ফলে নবীন তুর্ক জাতি এখানে অসম্ভবকে সম্ভব করিয়াছে। , এখানে ষোল বৎসরের অধ্যবসায়ের ফলে কেবল যে রাজপথের দুই ধার স্বন্দর বৃক্ষমালায়, শোভিত, শুধু যে নগ্নরের চতুর্দিক ফলে ফুলে তৃণভন্সে হামল হইয়াছে তাহা নখে, এই সমস্ত অঞ্চলে উর্বর ভূঞ্ছি ঞ্জমেই প্রসারিত হইতেছে এবং জলবায়ুরও এজ" পরিবর্তন হইয়াছে যে আগেকার অধিবাসিগণ এই আঙ্কারা যে সেই অস্কার তাহ স্বীকার কবিতেও ইতস্তুত করে। ইহার সবই যে নুতন তাহার প্রমাণ প্রত্যেকটি উদ্যান, প্রত্যেকটি বৃক্ষকুঞ্জ একই ভাবে বিষ্ণুষ্ট এবং চারিদিকেই মরোপিত চের্নার ও একেলিয়া বৃক্ষের ছড়াছড়ি। ক্ষেত-খামার সেচনাক্টর প্রায় সকলই নূতন ধরণের, চাষের প্রথাও আধুনিক। এক কথায় নুতন রাষ্ট্র এ-দেশে কৃষির ও বৃক্ষগুল্মরোপণের ক্ষেত্রে এক & অভিনব বিপ্লব আনিয়াছে। - “ سامانه প্রশস্ত রাজপথ, বৃক্ষমালা, স্মারক-মূৰ্ত্তি, সৌধমালা, পুষ্পোদ্যান, মোটর-বাস, এরোপ্লেন ইত্যাদিতে দেশ সাজাইরা দেওয়া নবীন তুর্কের শ্লাঘার কারণ সন্দেহ নাই। সঙ্কীর্ণ গলিখুঁজির দুই ধারে কাঠের ঘরবাড়ী, পথে গাধা ও উটের দলের সারি চালাইয়া চলিয়াছে চাষীর জল, তাহাদের মলিন বস্ত্র শুষ্ক মুখ,–পীয়ের লোটির ভ্রমণবৃত্তাস্তের এই প্রাচীন ছবির কোনও নিদর্শন আজ আস্কারায় পাওয়া যায় না। কিন্তু সেই দরিদ্র মলিন বস্তধারী চাষীর বদলে এখন যাহারা রহিয়াছে তাঙ্কার আগেকার মতই পরিশ্রমী, নিৰ্ভীক, বলিষ্ঠ এবং নম্রস্বভাব। লক্ষ লক্ষ তুর্ক সৈন্যদল দশ বৎসর ব্যাপী অবিরাম পরাজয়, যুদ্ধবিগ্রহের প্রকোপ ও শত্রুর অত্যাচারঅপমান সহ করার পর আতাতুর্ক ( “তুর্ক-পিতা” ) গাজী মুস্তাফ কেমালের নেতৃত্বে জাতীয় স্বাধীনতা স্থাপনের পর অস্ত্র ছাড়িয়া নিদারুণ পরিশ্রম ও অদ্ভুত ধৈৰ্য্যের সহিত নূতন রাষ্ট্ৰ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছে। আজিকার সৌধ সেতু-প্রাসাদমালা, আজিকার মোটর রেল এরোপ্লেন যানবাহন সকলই ঐ অতি দরিদ্র, অতি পরিশ্রমী ধীরস্থির বলিষ্ঠ চাষী সৈন্যের অসীম ধৈর্য্য ও প্রচণ্ড শৌর্য্যের ফল। এই অঞ্চলে যে কোন ইয়োরোপীয় যায় সে-ই শোনে ও দেখে যে এই আনাটোলীয় চাষীদিগের মত সরল বিশ্বস্ত ও সৎ লোক পৃথিবীর অন্য কোথাও এক স্থানে এত বেশী দেখা যায় না। আজ ধীরে ধীরে এই কৃষকদিগের অবস্থা উন্নত হইতেছে, কিন্তু তাহার পূর্বের পচিশ বৎসর ইহারা দারিদ্র্য ও কষ্ট্রের অস্তিম সীমায় ছিল বৃলিলেও হর । - * - "م خ: স্বাধীনতার সংগ্রামে জয়ী হইবার পর মুস্তাফ কেমালের ভবিষ্যৎ-কল্পনায় কি কৰ্ম্মসুচী আছে তাহার এক বিশেষ বন্ধু এই প্রশ্ন করায় তিনি বলেন, “আমার আপ্তরিক ও একান্ত ইচ্ছা যে আমি দেশের শিক্ষামন্ত্রী হইয়া জাতীয় সংস্কৃতির উন্নতি সাধন করি।” তখন দেশের শতকরা আশী জন লোক নিরক্ষর, অজ্ঞান ও কুসংস্কারে পরিপূর্ণ। তুর্ক জাতির অধিকাংশ তখন ৩২,০০০ হাজার ছোট-বড় গ্রামে বাস করিত এবং গ্রামে প্রায় সকলেই কঠোর পরিশ্রমের ফলে অতি কষ্ট্রে পরিবারের গ্রাসাচ্ছাদনের ব্যবস্থা করিত । সুতরাং এই জাতিকে শিক্ষাদানের সমস্যা ছিল অসম্ভব জটিল । তুর্ক-পিতা কেমাল নিজেদের অবস্থা ও শক্তি বুঝিয়াই সেই সমস্ত পূরণ করিয়াছিলেন। তাহার অমুগত সৈন্যদলের মধ্যে অল্পবয়স্ক ও বুদ্ধিমান যত সৈনিক ছিল তিনি তাহাদের রাষ্ট্রের খরচে শিক্ষাদান করিলেন। লেখাপড়, সাধারণ আধুনিক কৃষি-বিজ্ঞান এবং জাতীয় রাষ্ট্রনৈতিক আদশ ইহাদিগকে শিখানো হইল । সামরিক শিক্ষার শৃঙ্খলা ও কঠোর কষ্টসহিষ্ণুতা তাহাদের তো ছিলই । তাহার পর ইহাদের আদেশ করা হইল, নিজ নিজ গ্রামে গিয়া সামরিক অভিযানের মত এই শিক্ষার অভিযান করিতে। এই সকল তরুণ সৈনিক নিদারুণ দারিদ্র্য ও বিযম পরিশ্রম বরণ করিয়া ঐ কার্য্যে প্রবৃত্ত হয় । তাহার ফলে এই দেশ, যাহা কত শত শত বৎসর যাবং অন্ধকারে ডুবিয়া ছিল, অবশেষে সভ্যতার পথে বহুদূর অগ্রসর হয়, স্বাধীনতার আদর্শে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় । তুর্ক জাতির অভু্যদয়ের পথ যে অপরিসীম সমস্যাঙ্গালে আবৃত ছিল আধুনিক শিক্ষাদানের দ্বারা মুস্তাফ কেমাল তাহা মোচন করিয়া দিলেন । সমস্ত দেশের যে কি উন্নতি এই ষোল বৎসরে হইয়াছে তাহার পরিমাণ নিৰ্দ্ধারণ করাও প্রায় অসম্ভব । পূৰ্ব্বেকার দাসত্বমূলক রাজ্যশাসনতন্ত্র, তাহার পর দেশে অরাজকতা এবং যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে অশেষ দুৰ্গতি—এই তিন কারণে বিশ বৎসরের মধ্যে তুর্কদেশ অসীম দুৰ্দ্দশাগ্রস্ত হইয়াছিল । দেশ যে কখনও স্বাধীন হুইবে সে আশাও লোপ পাইয়াছিল । বহু লক্ষ সৈন্য নিহত, শত সহস্র সৈন্য বন্দী, দেশের উৰ্ব্বর ও সমৃদ্ধিসম্পন্ন অঞ্চলের অধিকাংশ মিত্রশক্তিদলের সেনার অধিকারে, কেবলমাত্র মুষ্টিমেয় যোদ্ধা পাৰ্ব্বত্য দেশে লুকাইয়া স্বাধীনতার ক্ষীণ আলোক জালাইয়া রাখিয়াছে—এই ছিল ১৯১৯ খৃষ্টাব্দের শেষের সুস্থ চার বৎসর প্রাণপণ যুদ্ধের পর, মুস্তাফা