পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

`එ8මිං তুরস্কে ভূমিকম্প প্রথার প্রবর্তনে শাস্তির পথই লওয়া হইয়াছিল ; কিন্তু পুরাতনের প্রতি মায়াবশতঃ বা অন্ধবিশ্বাসের প্রভাবে প্রগতির পথে কোন বাধা উপস্থিত হইলে দেশের নেতারা কিছুমাত্র বিচলিত না হইয়া দৃঢ়তার সহিত সে বাধা দূর করিয়াছিলেন, মিথ্যা দয়ামমতা দেখান নাই । তুর্ক জাতির পতনের সময় দেশের জনতার মধ্যে জাতীয়তাবাদ, ভাষা, কুষ্টি বা রাষ্ট্রনৈতিক কোন ও সাধারণ বন্ধন ছিল না, ছিল কেবলমাত্র ইসলাম ধর্মের বন্ধন, যাহার প্রভাবে সাম্রাজ্যে মেকী একতা দেখা যাইত । সেই সাম্রাজ্য ধ্বংস হুইবার পর নূতন রাষ্ট্র গঠনের আন্তরায় গুলির মধ্যে প্রধানতম দাড়াইল সেই দল যাহারা ধৰ্ম্মের নামে সমাজ ও দেশের সকল ক্ষেত্রে অনধিকার প্রবেশ করিয়া জাতিকে অধঃপাতে প্রবৃত্ত করিয়া নিজেদের ঐশ্বৰ্য্য ও ক্ষমতার বৃদ্ধি করিতেছিল । ইহাদের ক্ষমতা চূর্ণ হওয়ায় ও ধৰ্ম্ম ও রাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্র স্বম্পষ্টরূপে পৃথক করায় তুর্ক জাতির অভু্যদয়ের পথ সরল হইয়া গেল। মুস্তাফ কেমাল এই সকল ব্যবস্থা করার পূৰ্ব্বে সমস্ত দেশ ঘুরিয়া, বিশেষজ্ঞদিগের পরামর্শ লষ্টয়া, প্রত্যেকটি প্রশ্ন পুথক ভাবে ও বিশদ রূপে বিচার করিতেন, তাহার পর রাষ্ট্রসভায় কার্যাপস্থা স্থিলু করা হইত। কোন বিষয়ে এক বার সিদ্ধান্ত *হইলে কোনও বাধাবিঘ্ন, বা সংস্কার তাহার খতি রোধ করিতে পারিত না । ។ পূৰ্ব্বেকার ইসলাম-জগতে ধৰ্ম্মবিশ্বাসের স্থান ও অধিকার জানেন, র্তাহারাই বুঝিতে পারিবেন, ষে-জাতি পূৰ্ব্বকালে পঞ্চশতাব্দী যাবৎ ইসলামের প্রবলতম রক্ষী ছিল তাহার পক্ষে ধৰ্ম্ম ও রাষ্ট্রের অধিকার ছিন্ন করিয়া পৃথক করা কত বড় দুঃসাধ্য সাধন, মোয়; দরবেশদিগের অধিকার বিলোপ কিরূপ প্রচণ্ড বাধার অতিক্রমণ । আশ্চর্য্যের বিষয়, এইরূপে ধৰ্ম্ম ও রাষ্ট্র পৃথক করায় স্বাধীন ইসলাম-জগতে তুর্কদিগের গৌরবের কোন হানি হইল না । বরঞ্চ সা’দাবাদ সন্ধিপত্র স্বাক্ষরের পরে প্রতিবেশী ইসলাম-রাজগণ ক্রমেই তুর্কজাতির পথই অবলম্বন করিতেছেন । ইরাণে ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় ব্যবস্থা প্রায় তুরস্কের মতই হইয়াছে, আফগানিস্থান দ্রুত সেই পথে চলিয়াছে এবং অন্যান্য মুসলিম দেশও ধীরে ধীরে ঐ দিকেই যাইবে ব! যাইতেছে বলিয়া মনে হয় । সা'দা বাদ সন্ধির পর তুর্ক জাতি যে পুনরায় ইসলাম-জগতের শীর্ষস্থানে আসিতেছে সে বিষয়ে সন্দেহ নাই । নূতন ব্যবস্থা প্রবর্তনের পূৰ্ব্বে তুরস্ক দেশের রেলপথ সবই বিদেশীর হস্তগত ছিল । বিদেশীর রেলপথ দেশের উপকারের জন্য ব{ দেশের অধিবাসীদিগের উন্নতির জন্য প্রডিষ্ঠিত হয় নাই, বলা বাহুল্য। বিদেশীগণ রেলপথ নিৰ্ম্মাণের জন্য প্রথমতঃ অত্যধিক খরচপত্র করিয়া তাহার চড়া হারের স্বদের জন্য ও মূল টাকার কিস্তিবন্দী ব্যবস্থার سف