পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র তুরস্কের অভু্যদয় জন্য তুর্ক-সাম্রাজ্যের নিকট নানা প্রকার স্ববিধাজনক অধিকার ও রাজকোষ হইতে গ্যারাটি আদায় করেন। তাহার পর ঐ রেল চালানোও বিদেশী বণিকের সুবিধার জন্যই করা হয়। এইরূপ ব্যবস্থায় দেশরক্ষা বা দেশবাসীর জীবনপথ সরল করার কোনও কার্য্যে ঐ রেলপথগুলি আসে নাই, কেবল দরিদ্র দেশবাসীদিগের ও দেশস্থ রাজকীয় অধিকারের থনিজ, কৃষি, অরণ্য ইত্যাদি সম্পদ সহজে ও অল্পমূল্যে বিদেশে লইবার পথ পরিষ্কার করা হয়। যে যে স্থানে বিদেশীর প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পাওয়া যায় সে-সকল স্থান হইতে নিকটতম নৌ-বন্দর পয্যন্ত রেলপথের শাখা-প্রশাখা বিস্তার করা হয়। দেশের অন্যান্য অঞ্চ পূৰ্ব্বেকারই মত দুর্গম রাখা হয়। জাৰ্ম্মান-নিৰ্ম্মিত বাগদাদ ও মক্কাভিমুখী রেলপথদ্বয়ের যেটুকু পূৰ্ব্বে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল সেই দুইটিতেই এই ব্যবস্থার ব্যতিক্রম হইয়াছিল। Ն(չծ নূতন ব্যবস্থায় ইয়োরোপীয় কর্তৃক তুর্ক দেশের সম্পদ গ্রাস করার উপায় সকল বন্ধ করা হইল । সুতরাং দেশে বহুদুরব্যাপী নূতন রেলপথ ও মোটর-পথ নিৰ্ম্মাণে বিদেশীর সাহায্য লওয়া অসম্ভব হইল ; কিন্তু দরিদ্র স্বাবলম্বী তুর্ক অধিকতর দারিদ্র্য স্বীকার করিয়া রেল ও রাজপথ নিৰ্ম্মাণ আরম্ভ করিল । এই উদ্যমের ফলে এই ষোল বৎসরে নূতন তুরস্কের সকল প্রদেশ এখন রেলপথদ্বারা যুক্ত হইয়াছে এবং সেই সকল রেলপথ ক্রমে প্রতিবেশী রাজ্যের সহিত তুর্ক রাষ্ট্রের যোগ স্থাপন করিতেছে। রেলপথ বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, যন্ত্রশিল্প ইত্যাদির ও প্রসার বাড়িতেছে, যাহার ফলে তুর্ক জাতি এখন বর্ধিষ্ণু এবং উন্নতশীল জাতি বলিয়া পরিচিত । [ পেয়ের ইসাকের ফরাসী হইতে ] + ইন্দুমতীর স্বয়ংবর চন্দননগর কৃষ্ণভাfবনী নারীশিক্ষামন্দিরের উৎসবে ছাত্রীদের মূকাভিনয়ের একটি দৃশ্ব . বিবিধ প্রসঙ্গ ভ্রষ্টব্য ]