পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

స్చిJు উদ্ভুদ শৃঙ্গে আরোহণ করে অথবা তুষার-স্রোতের ভয়াবহু গভীর ফাটলের উপর দিয়া হামাগুড়ি দিয়া যায়। অভ্ৰভেদী গিরিশৃঙ্গকুে প্ৰদ্ধা এবং পুজা নিবেদনে নারী ও পুরুষের সমান উৎসাহ । আল্পস পর্বতমালা ইউরোপের যে যে প্রদেশে অবস্থিত সেই সেই প্রদেশের भांtफेब्रह* প্রসিদ্ধ গিরিশৃঙ্গসমূহের পাদদেশে যখন দলে দলে অগণিত স্ত্রীপুরুষ পৰ্ব্বতারোহণের উপযোগী সরঞ্জামপূর্ণ 'কিট' বা থলি পিঠে বাধিয়া অভিযানের জন্য যাত্রা করে তখন উত্তেজনায় মন ভরিয়া যায়। ম ব্লার ( Mont Blanc ) পাদদেশে শামনী ( Chamonix ) নামক স্থানে ইংরেজদের একটি গীর্জা আছে। এই গীর্জার প্রাঙ্গণের একটি নিভৃত কোণে অক্সফোর্ড বেলিওল কলেজের একজন ইংরেজ শিক্ষকের একটি আড়ম্বরহীন সমাধি বর্তমান । ইনি গত শতাব্দীর প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩৬ [ ২৯শ ভাগ, ২য় খণ্ড যষ্ঠদশকে ম র জয় করিবার জন্ত যাত্রা করেন। পৰ্ব্বতাধিরোহণ কালে একটি বিপদসঙ্কুল স্থানে তাহার পদখলন হয় এবং তিনি স্বগভীর তুষার-গহবরে কোথায় তলাইয়া যান । এই তুষার-গহবর শিখরদেশ হইতে নিম্নে শামনী অধিতাকা পৰ্য্যন্ত পৌছিয়াছে। ত্রিশ বৎসর পরে, কঠিন তুষার-প্রবাহ যেখানে গলিয়া প্রচণ্ড গতিশীল জলধারায় পরিণত হইতেছে সেখানে তাহার মৃতদেহ অবিকৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তুষার-প্রবাহ বৎসরে খুব অল্পই অবতরণ করে, এই কারণে অক্সফোর্ডের এই হতভাগ্য শিক্ষকের মৃতদেহ লোকচক্ষুগোচর হইতে এত বৎসর সময় লাগিয়াছিল। যাহারা তুষার-প্রবাহের গতিবিধি সম্বন্ধে আলোচনা করেন তাহারা হিসাব করিয়া এই মৃতদেহ নামিয়া আসিবার দিন পৰ্য্যন্ত পূৰ্ব্ব হইতে নিৰ্দ্ধারণ করিয়া দিয়াছিলেন এবং মৃতের আত্মীয়-স্বজনের শামনীতে ইহার যথাযোগ্য অস্ত্যেষ্টি-সৎকারের জন্য প্রস্তুত হইয়া ছিলেন। মৃত্যুবরণ করিবার একত্রিশ বৎসর পরে এই বাণীসেবকের সমাধি হয় । এইরূপ অদ্ভুতভাবে যে এই একটিবার মাত্র মৃতদেহ আবিষ্কৃত হুইয়াছিল, তাহা নহে। আর একব্যক্তির ইতিহাস আছে, যিনি ম ক্লা শিখরের আরো কিছু উদ্ধে উঠিয়া প্রাণ হারাইয়াছিলেন। মৃত্যুর সাতষটি বৎসর পরে তাহার মৃতদেহ সমাহিত হুইবার জন্ত মানুষের দৃষ্টিপথে নামিয়া আসিয়াছিল। পিতামহের মৃতদেহের জন্ত পৌত্র বিগলিত তুষার-স্রোতের সম্মুখে প্রতীক্ষা করিয়া ছিল। এ গণনাকুযায়ী ঠিক নিৰ্দ্ধারিত সময়ে অবিকৃত মৃতদেহটি নামিয়া আসিতে দেখা যায়। র্তাহার স্বর্ণমণ্ডিত ঘষ্টিটি সম্ভবতঃ একটু স্পেসিফিক গ্র্যাভিটি বেশী বলিয়া প্রভুর আগমন-বার্তা ঘোষণা করিতে একবৎসর পূৰ্ব্বে উপনীত হয়। স্বইটুজ্যরল্যাণ্ড ও আলপস অধিকৃত ফ্রান্সই পৰ্ব্বতরোহণের জনপ্রিয় রঙ্গভূমি। আমার পত্নী ও আমি যে-সকল প্রসিদ্ধ স্থান হইতে লোকে গিরি-শিখরে উঠতে আরম্ভ করে সেই স্থানগুলির সবকয়েকটি দেখিবার স্ববিধ করিয়া উঠিতে পারি নাই। যে কয়েক স্থানে গিয়াছিলাম তন্মধ্যে শামনীর নামই সবিশেষ উল্লেখযোগ্য । ইহা