পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

や প্রবাসী— কাৰ্ত্তিক, ১৩৩৬ সময় আর মিলিবে না ভাবিয়া শিবাজী স্থির করিলেন, তিনি দেবী-প্রতিমার চরণে নিজমাথা কাটিয়া দিয়া দেহ ত্যাগ করিবেন । প্রবাদ আছে, ভগবতী স্বয়ং चांबिछुड झहेब, निवांशैब्र खेमाङ उब्रवांब्रि शब्रिग्रां ফেলিয় তাহাকে থামাইলেন এবং বলিলেন, “বংস । এই উপায়ে তোমার মোক্ষ হইবে না। একাজ করিও না। তোমার হাতে এখনও অনেক বড় বড় কর্তব্যভার রহিয়াছে।” তাহার পর দেবী অদৃশ্য হইলেন, শিবাজীও क्रांछ झट्टैटलन । এপ্রিল মাসের ৪ঠা-৫ই অনন্তপুরে ফিরিয়া শিবাজী সসৈন্ত মাদ্রাজ প্রদেশের দিকে দ্রুত চলিলেন। ভারতবিখ্যাত তিরুপতি পৰ্ব্বতের মন্দির দেখিয়া পূৰ্ব্ব-কুলের সমভূমিতে নামিলেন, এবং মে মাসের প্রথম সপ্তাহে মাত্রাজ শহরের সাত মাইল পশ্চিমে পেড ডাপোলম্ নগরে পৌছিলেন। এখান হইতে র্তাহার অগ্রগামী সৈগু-->গুচি হাজার অশ্বারোহী, দ্রুত জিঞ্জি-দুর্গে উপস্থিত হইল। তাহার মালিক নাসির মহম্মদ খ। বার্ষিক পঞ্চাশ হাজার টাকা আয়ের জাগীর এবং কিছু নগদ টাকা পাইরার প্রতিশ্রুতি লাভ করিয়া তৎক্ষণাৎ এই অজেয় দুর্গ মারাঠাদের হাতে ছাড়িয়া দিল ( ১৩ই মে)। শিবাজী শীঘ্রই সেখানে আসিয়া পৌছিলেন এবং জিঞ্জি নিজ দখলে রাখিয়া উহার দেওয়াল পরিখা বুরুজ প্রভৃতি এত দৃঢ় করিলেন যে “ইউরোপীয়গণও তাহা করিলে গৰ্ব্ব অনুভব করিত।” সেখান হইতে রওনা হইয়া শিবাজী ২৩এ মে বেলুৰ দুর্গ অবরোধ করিলেন । ইহাও জিঞ্জির মত দুর্জয় গড়। ইহার শাসনকৰ্ত্ত হাবশী আবদুল্লা খ! আদিল শাহর বিশ্বাসী কৰ্ম্মচারী ; সে মারাঠাদের সব গোলাবাজী ও আক্রমণ তুচ্ছ করিয়া মহাবিক্রমের সহিত চোদ্ধ মাস লড়িল । শেষে যখন দেপিল যে প্রভূর নিকট হইতে কোন সাহায্য আসিবে না, আর তাহার দুর্গ রক্ষী সৈন্যদের মধ্যে পদাতিকের সংখ্যা ১৮০০ হইতে দুইশত, এবং অশ্বারোহীর সংখ্যা • • • হইতে এক শততে দাড়াইয়াছে,— उथन चांदछूम्नां त्रिबांबौzरू छूर्श झांफ़िग़ा निज (२s चांगटे ১৬৭৮) । এজন্ত তাহাকে দেড় লক্ষ টাকা নগদ [ २>* उॉ१, २ग्न ४७ এবং বাধিক সেই পরিমাণ আয়ের জাগীর দিবার শর্ত झझेल । শিবাজীর সৈন্যদল দ্রুতবেগে কুচ করিয়া বস্তার মত মান্দ্রাজ প্রদেশের সমভূমি ছাইয়া ফেলিল । চারিদিকে স্বাহ পাইল গ্রাস করিল ; কেহই তাহাদের সম্মুখে দাড়ইতে সাহসী হইল না। শুধু গোটা-কয়েক দুর্গ জলবেষ্টিত दौ८°ब्र शङ किडूनिप्नब्र छछ चांशेौनखांप्य थांफ़ ब्रश्लि । প্রথমে এক হাজার মারাঠা অশ্বারোহী দুই দিনের পথ আগে আগে চলিল ; তাহার পিছনে অবশিষ্ট সৈন্ত লইয়া শিবাজী স্বয়ং আসিলেন ; আর সর্বপশ্চাতে চাকরবাকর এবং সিংহের পিছু পিছু পৃগালের পালের মত লুটের লোভে আগত স্থানীয় ছোট জমিদার, ডাকাতের সর্দার, এবং জঙ্গলী জাতের দলপতি ( “পলিগর” ) ঘুরিতে লাগিল। টাক আদায়ের জন্ত শিবাঙ্গীর কঠোর পীড়ন এবং র্তাহার সৈন্যদের বিক্রম ও নিষ্ঠুরতার সংবাদ আগে আগে চলিল। পথ হইতে বড়লোকের ষে যেখানে পারিল পলাইল, কেহ বনে কেহ বা সাহেবদের স্বরক্ষিত বন্দরে স্ত্রীপুত্র ও ধনরত্ব সহ আশ্রয় লইল । এদিকে শিবাজীর টাকার বড় দরকার । তিনি প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করিয়া, কুতুবশাহী সরকারকে জিঞ্জি না দিয়া নিজ দখলে রাখায়, গোলকুণ্ডা-রাঞ্চের নিকট হইতে দৈনিক ১৫ হাজার টাকার সাহায্য বন্ধ হুইয়। গেল। তখন শিবাজী ঐ অঞ্চলের সব বড় বড় শহরে চিঠি পাঠাইয়া দশ লক্ষ টাকা ঋণ চাহিলেন ; অবশ্য এই ঋণ পরিশোধের আশা ছিল না, আর তাহা চাহিবার মত দুঃসাহসই বা কাহার ? শিবাজী তখন ঐ দেশের ধনী লোকদের নামধাম ও তাঁহাদের ধনদৌলতের একটা তালিকা করিলেন.। র্তাহার চৌথ আদায়ের তহসিলদারগণ দেশ ছাইয়া ফেলিল । "বিশ হাজার ব্রাহ্মণ এই-সব চাকরির আশায় তাহার সঙ্গে আসিয়াছিল। তাহারা অতি নিলজভাবে লোকদের শেষ কড়িটি পৰ্য্যস্ত কড়িয়া লইল—স্তায়বিচার দয়া-মায়ার ধার ধারিল না।” (ফ্রাসোয়া মার্তার ডায়েরি ) । ইংরাজ ফরাশী ও ডচ কুঠার বণিকের বার-বার দূত ও উপহার পাঠাইয়া শিবাজীকে তুষ্ট রাখিলেন। জিঞ্জি প্রদেশের দক্ষিণে শের খ লোদীর প্রকাও