পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] শিবাজীর দক্ষিণ-বিজয় ዓ حہ بن عبrسےع سبیہ: یہے জাগীর, কাবেরী নদী পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত । তিনি যুদ্ধে একেবারেই অপারক , চতুর ভ্রাবিড় ব্রাহ্মণ মন্ত্রীদের পরামর্শে সব কাজ চালাইতেন । ইহার তাহাকে বুঝাইয়। দিল যে শিবাজীর সৈন্যবল কিছুই না, কিন্তু তাহার বন্ধু ও সহায়ক পণ্ডিচেরীর শাসনকৰ্ত্ত ফ্রাসোয় মার্তা সাহেব র্তাহাকে বলিয়াছিলেন যে এ শত্রু বড় ভীষণ। শের খ নিজ সৈন্ত ( চারি হাজার অশ্বারোহী ও তিন-চার হাজার পেয়াদা ধরণের ভীরু অকেজো পদাতিক ) লইয়া ১০ই জুন হইতে তিরুবাড়ীতে (কাডালোরের ১৩ মাইল পশ্চিমে ) মারাঠাদের পথ রোধ করিয়া বসিয়া থাকিলেন । ২৩এ মে শিবাজী জিধি হইতে বেলুরে পৌছিয়া, তখায় এক মাস থাকিয় ঐ দুর্গ অবরোধের বন্দোবস্ত করিয়া দিয়া ছয় হাজার অশ্বারোহীসহ ২৬এ জুন তিরুবাড়ীতে আসিলেন । র্তাহাকে দেখিবামাত্র শের খাঁ নিজ সৈন্যদল সাজাইয়া আক্রমণে অগ্রসর হইলেন। কিন্তু মারাঠারা নিজ স্থানে স্থির নিঃশব্দে দাড়াইয়া শক্রর অপেক্ষা করিতে লাগিল। এই দৃপ্ত দেখিয়া শের ধার হৃৎকম্প উপস্থিত হুইল ; তিনি দেখিলেন বড়ই বিপদ । আমনি নিজ সেনাদের ফিরিতে হুকুম দিলেন ! তাহার। ইহাতে আরও ভীত এবং বিশৃঙ্খল হইয়া পড়িল। ঠিক সেই স্বযোগে শিবাজী ঘোড়া ছুটাইয়া আসিয়া তাঙ্গাদের উপর পড়িলেন ; সকলে ছত্রভঙ্গ হইয়া উৰ্দ্ধশ্বাসে পলাইল । শের র্থ তিরুবাডীর ছোট দুর্গে ছুটিয়া গিয়া দরজা বন্ধ করিয়া দিলেন। কাডালোরে আশ্রয় লইবার ইচ্ছায় রাত্রে তিনি সেখান হইতে বাহির হইলেন। কিন্তু মারাঠারা টের পাইয়া তাড়া করিয়া তাহাকে অকালনায়কের জঙ্গলে তাড়াইয়া দিল। চন্দ্র অস্ত গেলে অন্ধকারের আড়ালে বন হইতে বাহির হইয়া শের খী একশত মাত্র সওয়ার লইয়া (২৭এ জুন ) বাইশ মাইল দূরে বোনগির-পটন নামক একটি ছোট দুর্গে ( ভেলার নদীর উত্তর তীরে ) ঢুকিলেন । কিন্তু উীহার পাচশত ঘোড়া, श्रेंछि शर्डौ, बिभई फेt ७वर उंबू फांक गङांक e মালের বলদ মারাঠারা কাড়িয়া লইল। ইহার পর কয়েক দিনের মধ্যেই শের খার রাজ্যের অনেক শহর ও দুর্গ । শিবাজী অবাধে দখল করিলেন। অবশেষে এই জুলাই AAAAAA SAAAAA AAAA AAAA TTeSAMMMAAA AAAAA খ। সদ্ধি করিয়া শিবাজীকে নিজের সমস্ত দেশ ছাড়িয়৷ দিলেন এবং নিজের মুক্তির জন্য এক লক্ষ টাকা দিতে প্রতিজ্ঞ করিলেন। এই টাকা না দেওয়া পৰ্য্যন্ত নিজপুত্র ইব্রাহিম খাকে জামিন-স্বরূপ শিবাজীর হাতে রাগিলেন। শিবাজী প্রতিজ্ঞা করিলেন যে শের খাকে পরিবারসহ অবাধে ঐ দুর্গ হইতে বাহির হইতে এবং কডিালোরে রক্ষিত র্তাহার সম্পত্তি লইয়া যাইতে দিবেন। * * শিবাজী এখান হইতে আরও দক্ষিণে কুচ করিয়া কোলেরুণ নদী ( অর্থাৎ কাবেরীর মুগের কাছে সৰ্ব্ব-উত্তর শাখার তীরে তিরুমল-বাড়ী নামক স্থানে ২ই জুলাই পৌছিয়া বয কাটাইবার জন্ত সৈন্তদের শিবির গাড়িলেন। ব্যক্ষাজীর রাজধানী ভাঙ্কোর শহর এখান হইতে দশ মাইল মাত্র দক্ষিণে, মধ্যে শুধু কোলেরুণ নদী। এখানে বসিয়া মাছরার রাজার নিকট হইতে কর আদায়ের চেষ্টা হইতে লাগিল, এক কোটি টাকা চাওয়া হইল, কিন্তু শেষে ত্রিশ লক্ষে রফা হইল। স্থির হইল, এট টাকা পাইলে । শিবাজী আর মাদুরা আক্রমণ করিবেন না । ইতিমধ্যে শিবাজী তাহার বৈমাত্রেয় ভ্রাতা বাক্ষাজীকে দেখা করিবার জন্য ডাকিয়া পাঠাইলেন। তাহার অনুরোধে প্রথমে ব্যঙ্কাজীর মন্ত্রীরা শিবাজীর সহিত আলোচন। করিতে আসিল, এবং শিবাজীর তিনজন মন্ত্রী ও নিমন্ত্রণপত্ৰ লইয়া তাহারা নিজ প্রভুর কাছে ফিরিয়া গেল। শিবাজীর অভয়বাণীতে আশ্বস্ত হইয়া ব্যঙ্কাজী দুই হাজার অশ্বারোহীর সহিত জুলাই মাসের মাঝামাঝি তিরুমল-বাড়ীতে পৌছিলেন । শিবাজী তাহাকে অভ্যর্থনা করিলেন, এপং কয়েক দিন ধরিয়৷ ভোজ ও উপহার বিনিময় চলিল । তাহার পর কাজের কথা উঠিল। শাহজী মৃত্যুকালে যে-সব ধনসম্পত্তি এবং কর্ণাটকে জাগীর রাপিয়া যান তাহার সমস্তই ব্যস্কাজীর হাতে পড়িয়াছিল ; পিতার জ্যেষ্ঠপুত্র হিসাবে, শিবাজী এখন তাহার বারে আন দাবি করিলেন। ব্যঙ্কাজী সিকিমাত্র লইয়া সন্তুষ্ট

  • অবশেষে ১৬৭৮ সালের এপ্রিল মাসে রাজ্যহীন নিঃসম্বল শের খ মাছৱারাজের দ্বারে জাপ্রয় লইলেন।