পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মদেশে বাঙালীর একটি কীৰ্ত্তি রেঙ্গুনের বেঙ্গল একাডেমীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস শ্ৰীমৃণালবাল দেী বেঙ্গল একাডেমী রেঙ্গুনে বাঙালীদের প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত একটি উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয় । ডাক্তার প্রসন্নকুমার মজুমদার তাহার বন্ধু শিক্ষক শ্ৰীযুক্ত শশিভূষণ চক্রবর্তী মহাশয়ের সাহায্য লইয়। ও স্বগীয় দানবীর দুর্গামোহন দাস মহাশয়ের কনিষ্ঠ পুত্র, উদারহৃদয় রেসুমের শযুক্ত মহাশয়ের পত্নী ছেলেমেয়েদের মিশ্র বিদ্যালয়, নিজেদের গৃহে প্রতিষ্ঠা করি স্নাছিলেন, কিন্তু তাহার স্থায়ী কোন ফুল হয় নাই, কারণ তখন বাঙালীর সংখ্যা অল্প ছিল, প্রচুর অর্থ ব্যয় না করিলে ব্রহ্মদেশে বাঙ্গালী শিক্ষক পাওয়া ঘাষ্টত না। যদি কেহ শিক্ষকের পদ গ্রহণ করিতেন বিখ্যাত ব্যারিষ্টার ( পরে হাইকোর্টের জজ মিষ্টার জে, আর, দাসের আর্থিক সাহায্য ৪ পৃষ্ঠপোষকতায় সালের ২৪শে নবেম্বর তারিখে আট দশজন বাঙালী বালক লষ্টয়া যে একটি ক্ষুদ্র প্রাইমারী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, গত বিশ বৎসরে তাঁহারই এতদূর উন্নতি হইয়া বৰ্ত্তমানে ইহার ছাত্র-বিভাগের জন্য প্রায় দুইলক্ষ টাকা ব্যয়ে স্থদুখ, স্ববৃহৎ, স্বন্দর, স্বরম স্কুলগৃহ নিৰ্ম্মিত হইয়াছে এবং প্রায় পাঁচশত ছাত্র ও ছাত্রী ( ছাত্রীদের জন্ত পৃথক পাক৷ বাড়ীতে সম্পূর্ণ আলাদা পড়াইবার বন্দোবস্ত আছে ) ইহাতে অধ্যয়ন করিতেছে । বাঙালী ছেলেদের শিক্ষার অত্যন্ত অস্থবিধা দেখিয়। ইতিপূৰ্ব্বে দুইবার বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চেষ্ট হইয়াছিল । একবার ঐযুক্ত কুঞ্জবিহারী বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাহার বন্ধুরা ছেলে-স্কুল, অঙ্কবার ত্রযুক্ত হারাধন মুখোপাধ্যায় So 3 দ্ধে গুন বেঙ্গল একাডেমী—পুরাতন বাড়ী তিনি অন্য ভাল চাকুরী পাইয়া প্রস্থান করিলে বিদ্যালয় উঠিয়া যাইত। ক্রমে বাঙালীর সংখ্যাবৃদ্ধিতে বাঙালী বালকবালিকার সংখ্যাও বৃদ্ধি হয়। তাহদের শিক্ষার অস্থবিধা সকলে অনুভব করেন। গবর্ণমেণ্ট স্কুলে বাঙালী ছেলেদের পড়িবার বন্দোবস্ত হয় কি না তাহার জন্থ