পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] শিবাজীর দক্ষিণ-বিজয় ১৩ مریم * خصحیح تح--- ح ماهی - بی تعجم هجی مجاجیحات = হইবে, তবে প্রথমে হিন্দুদের শীর্ষস্থানীয় মহারাপা রাজসিংহের নিকট হইতে জজিয়া আদায় করুন। তাহার श्रद्र श्रांभाव्र निकई चांनाञ्च कब्र उङ कठिन श्हेष्व न, কারণ আমি ত আপনার সেবার জন্ত সদাই প্রস্তুত আছি। কিন্তু মাছি ও পিপীলিকাকে পীড়ন করা পৌরুষ নহে। বুঝিতে পারি না কেন আপনার কৰ্ম্মচারীরা এমন অদ্ভুত প্ৰভুভক্ত যে তাহারা আপনাকে দেশের প্রকৃত অবস্থা জানায় না, কিন্তু জলন্ত আগুনকে খড় চাপা দিয়া লুকাইতে চায়। আপনার রাজহুর্ঘ্য গৌরবের গগনে দীপ্তি বিকীর্ণ করিতে থাকুক !** শিবাজীর শেষ যুদ্ধযাত্রা ১৮ই আগষ্ট ১৬৭৯, দিলির র্থ ভীমা নদী পার হইয়া বিজাপুর-রাজ্য আক্রমণ করিলেন । মাসুদ নিরুপায় হইয়া শিবাজীর নিকট হিন্দুরাও নামক দূতের হাত দিয়া এষ্ট করুণ নিবেদন পাঠাইলেন :–“এই রাজসংসারের অবস্থা আপনার নিকট গোপন নহে। আমাদের সৈন্ত নাই, টাকা নাই, খাদ্য নাই, দুৰ্গরক্ষার জন্য কোন সহায় নাই। শত্রু মুঘল প্রবল এবং সৰ্ব্বদা যুদ্ধ করিতে চায়। আপনি এই বংশের দুষ্ট পুরুষের চাকর, এই রাজাদের হাতে গৌরব সম্মান লাভ করিয়াছেন। অতএব, এই রাজবংশের জন্য অঙ্কের অপেক্ষ আপনার বেশী দুঃখ দরদ হওয়া উচিত। আপনার সাহায্য বিনা আমরা এই দেশ ও দুর্গ রক্ষা করিতে পারিব না। নিমকের সম্মান রাখুন ; আমাদের দিকে আমুন ; যাহা চান তাহাই দিব।” ইহার উত্তরে শিবাজী বিজাপুর-রক্ষার ভার লক্টলেন ; মাস্কদের সাহায্যে দশ হাজার অশ্বারোহী ও দুই হাজার বলদ-বোঝাই রসদ তথায় পাঠাইয়া দিলেন, এবং নিজ প্রজাদের হুকুম দিলেন, যে যত পারে খাদ্য ফ্রব্য বস্ত্র প্রভৃতি বিজাপুরে বিক্রয় করুক। তাহার দূত বিসাজী নীলকণ্ঠ আসিয়া মাম্বুদ্ধকে সাহস দিয়া বলিলেন, “আপনি জ্ঞ লওনের রয়েল এসিয়াটিক সোসাইটিতে রক্ষিত ফারসী दुनिनिम्न जबू शाक् । দুর্গ রক্ষা করুন, আমার প্রভূ গিয়া দিলিরকে উপযুক্ত শিক্ষা দিবেন।” ১৫ই সেপ্টেম্বর ভীমার দক্ষিণ তীরে ধূলখেড় গ্রাম হইতে রওনা হইয়া দিলির খী ৭ই অক্টোবর বিজাপুরের ছয় মাইল উত্তরে পৌছিলেন। ঐ মাসের শেষে শিবাজী নিজে দশ হাজার সৈন্য লইয়া বিজাপুরের প্রায় পঞ্চাশ মাইল পশ্চিমে সেলগুড় নামক স্থানে পৌছিলেন। পূৰ্ব্বে র্তাহার যে দশ হাজার অশ্বারোহী বিজাপুরের কাছে আসিয়াছিল, তাহারা এখানে তাহার সঙ্গে মিলিত হইল । সেলগুড় হইতে শিবাজী নিজে আট হাজার সওয়ার লইয়া সোজা উত্তর দিকে, এবং তাহার দ্বিতীয় সেনাপতি আনন্দ রাও দশ হাজার অশ্বারোহী লইয়া উত্তর-পূৰ্ব্ব দিকে মুঘলরাজা লুঠ ও ভস্ম করিয়া দিবার জন্য ছুটিলেন । তিনি ভাবিলেন যে দিলির নিজ প্রদেশ রক্ষা করিবার জন্ত শীঘ্রই বিজাপুর-রাজ্য ছাড়িয়া ভীম। পার হইয়া উত্তরে ফিরবেন । কিন্তু বিজাপুরী রাজধানী ও প্লাঞ্জাকে দখল করিবার লোভে দিলির নিজ প্রভুর রাজ্যের দুর্দশার দিকে তাকাইলেন না । - বিজাপুরের মত প্রবল এবং বুহৎ দুগ জয় কর দিলিরের কাজ নহে ; স্বয়ং জয়সিংহও এখানে বিফল হইয়াছিলেন। একমাস সময় নষ্ট করিয়া ১৪ই নবেম্বর দিলির বিজাপুর শহর হইতে সরিয়া গিয়া তাহার পশ্চিমের ধনশালী নগর ও গ্রামগুলি লুঠিতে আরম্ভ করিলেন। এই অঞ্চল যে মুঘলের আক্রমণ করিবে তাহ কেহই ভাবে নাই, কারণ মুঘলদিগের পশ্চাতে রাজধানী তখনও অপরাজিত ছিল । স্বতরাং এই দিক হইতে লোকে পলায় নাই, স্ত্রী পুত্র ধন নিরাপদ স্থানে সরায় নাই। এই অপ্রস্তুত অবস্থায় শক্রর হাতে পড়িয়া তাহাদের কঠোর দুর্দশা হইল। "হিন্দু ও মুসলমান স্ত্রীলোকগণ · বুকে ধরিয়া বাড়ীর কুয়ায় ঝাপাইয়া পড়িয়া সতীত্ব রক্ষা করিল। গ্রামকে গ্রাম লুঠে উজাড় হইল। একটি বড় গ্রামে তিন হাজার হিন্দু মুসলমান ( অনেকে নিকটবৰ্ত্তী ছোট গ্রামগুলির পলাতক আশ্রয়প্রাথী ;-দের দাসরূপে বিক্রয় করিয়া দে গুয়া হইল । এই মত অনেক স্থান ধ্বংস করিবার পর দিলির