পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা] অপরাজিত · ¢›ዓ محصمیمی প্রকাও কম্পাউণ্ডে ছেলেরা সকলেই এক ধরণের পোষাক পরিয়া ফুটবল খেলিতেছে । তখন কতদিন মনে হুইয়াছে এত বড় স্কুলে পড়িতে যাওয়া কি তাহার ঘটিবে কোনো কালে--এসব বড় লোকের ছেলেদের জন্ত, কিন্তু সে সহরে, সে হাইস্কুলে না হউকৃ অন্ত স্থানের অন্য স্কুলে একদিনে তাছার আশা তো পূর্ণ হইতে চলিল ?-- বেলা দশটার কিছু আগে বোডিং স্বপারিন্টেগুেণ্টবিধুবাবু তাহাকে ঢাকিয়া পাঠাইলেন। সে কোন ঘরে আছে, নাম কি, বাড়ী কোথায়, নানা জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া বলিলেন, সমীর ছোকৃরা ভালো, একঘরে থাকূলে বেশ পড়াশুনো হবে। এখানকার পুকুরের জলে নাইবে না কখনো-জল ভালো নয়, স্কুলের ইদারার জলে ছাড়া— আচ্ছা যাও, এদিকে আবার ঘণ্টা বাজ বার সময় হ’ল । সাড়ে দশটায় ক্লাস বসিল । প্রথম বই খাত হাতে ক্লাসরুমে ঢুকিবার সময় ডাহার বুক অগ্রহে ঔংস্থক্যে টিপ, টিপ করিতেছিল। বেশ বড় ঘর, নীচু চৌকির উপর মাষ্টারের চেয়ার পাতা—খুব বড় ব্ল্যাকবোর্ড। সব ভারী পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন, নিখুঁত ভাবে সাজানো। চেয়ার, বেঞ্চি, টেবিল, ডেস্ক সব বাক্ বক্‌ করিতেছে, কোথাও একটু ময়ল বা দাগ নাই। মাঃার ক্লাসে ঢুকিলে সকলে উঠিয়া দাড়াইল। এনিয়ম পূৰ্ব্বে সে যে সব স্কুলে পড়িত সেখানে দেখে নাই। কেহ স্কুল পরিদর্শন করিতে আপিলে উঠিয়া দাড়াইবার কথা মাষ্টার শিখাইয়া দিতেন। সত্য সত্যই এতদিন পরে সে বড় স্কুলে পড়িতেছে বটে ! -- জানাল দিয়া চাহিয়া দেখিল পাশের ক্লাসরুমে একজন কোট প্যাণ্টপরা মাষ্টার বোর্ডে কি লিখিতে দিয়া ক্লাসের এদিক ওদিক পায়চারী করিতেছেন—চোথে চশমা, আধপাকা দাড়ি বুকের উপর পড়িয়াছে, গম্ভীর চেহারা। লে পাশের ছেলেকে চুপি চুপি জিজ্ঞাসা করিল, উনি কোন মাঃার ভাই ? ছেলেটি বলিল—উনি মিঃ দত্ত, হেডমাষ্টার-ক্রিস্টান, भूद डां८ण इं★ब्रिणि छाप्नन অপূৰ্ব্ব শুনিয়া নিরাশ হুইল যে তাহাদের ক্লাসে মিঃ দত্তের কোনো ঘণ্টা নাই। থার্ড ক্লাসের নীচে কোনেী ক্লাসে তিনি নাকি নামেন না । পাশেই স্কুলের লাইব্রেরী, জ্ঞাপ খালিনের গন্ধ-ভরা পুরানো বইএর গন্ধ আসিতেছিল । তাহার মনে হুইল এধরণের ভরপুর লাইব্রেরীর গদ্ধ কখনো ছোটখাটে। স্কুলে পাওয়া যায় না,একে হাইস্কুল, তাহার উপর গবর্ণমেন্ট স্কুল না হইলে এত বই বা কোথায় থাকা সম্ভব হইত । ঢং ঢং করিয়া ক্লাস শেষ হওয়ার ঘণ্ট। পড়ে—আড়বোয়ালে স্কুলের মত একখণ্ড রেলের পাটির লোহা বাজায় না, সত্যিকার পেট ঘড়ি !...কি গম্ভীর আওয়াজটা !. টিফিনের পরের ঘণ্টায় সত্যেনবাবুর ক্লাশ । চব্বিশ পচিশ বৎসরের যুবক, বেশ বলিষ্ঠ গড়ন, ইহার মুখ দেখিয়া অপুর মনে হইল ষ্টনি ভারী বিধানূ. বুদ্ধিমানূও বটে। প্রথম দিনেই ইহার উপর কেমন একধরণের শ্রদ্ধা তাeার গড়িয়া উঠিল। সে শ্রদ্ধা আরও গভীর হইল, ইহার মুখের ইংরেজি উচ্চারণের ধরণ শুনিয়া। ছুটির পর স্কুধের মাঠে বেডিংয়ের ছেলেদের নানাধরণের খেলা স্বরু হইল । তাহাদের ক্লাসের ননী ও সমীর তাহাকে ডাকিয়া লইয়া গিয়া জন্য সকল ছেলের সহিত পরিচয় করাইয়া দিল। সে ক্রিকেট খেলা জানে না, ননী তাহার হাতে নিজের ব্যাটখানা দিয়া তাহাকে বল মারিতে বলিল ও নিজে উইকেট হইতে একটু দূরে দাড়াইয়। খেলার আইনকাগুন বুঝাইয় দিতে লাগিল । গেলার অবসানে ঘুে যাহার স্থানে চলিয় গেল। খেলার মাঠে পশ্চিম কোণে একটা বড় বাদাম গাছ, অপু গিয়া তাহার তলায় বসিল। একটু দূরে গবর্ণমেণ্টেয় দাতব্য ঔষধালয়। বৈকালেও সেখানে একদল রোগীর ভিড় হইয়াছে, তাহাদের নানা কলরবের মধ্যে একটি ছোট মেয়ের কান্নার স্বপ্ন শোনা যাইতেছে । অপুৰ্ব্ব কেমন অন্যমনস্ক হইয়া গেল। চৌদ্ধ পনেরো বৎসর বয়সের মধ্যে এই জাজ প্রথম দিন, যেদিনটি সে মায়ের निक इश्रङ पहन्ब्र, वांग्रौद्र-दकूशेन अयाट्न प्रक কাটাইতেছে । সেদিক দিয়া দেখিতে গেলে আজ. তাহার জীবনের একটি স্মরণীয় দিন। -