পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b বলে সে রমেনের দুই পায়ে মাথা রেখে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদতে লাগল। রমেন আস্তে আস্তে বসে পড়ল সেইখানে, মুখে একটিও কথা ফুটল না। ধীরে ধীরে স্থৰমার দেহ আপনার কোলের ওপর টেনে নিয়ে, সে চুপচাপ করে বসে রইল, আর দুই চোখ দিয়ে কাল রাত্রের বারি ধারারই মত অবিরল অশ্র-ধারা ব’য়ে যেতে লাগল। স্বষমা কাদতে কঁদিতে বললে,—আমাদের এই দুঃখ আজ আমাকে প্রথম সত্যিকার ব্যথা দিলে এই ভেবে যে, তুমি কোথায় নেবে যাচ্ছিলে ! তুমি-তুমি, যাকে দেখে আর সবাই শিখবে, আর সবাই জোর পাবে । রমেন কথা কইতে পারলে না, আস্তে আস্তে স্বযমার মাথা চাপড়াতে লাগলো । মনের ভেতর তার কশাহত অন্তঃকরণের যে বিপুল কান্নার বিপ্লব উঠেছিল, তাকে সে কিছুতেই চেপে রাখতে পরছিল না, মনে হচ্ছিল হা হা করে চীৎকার করে কেঁদে ওঠে, কিন্তু কিছুই করলে না, শুধু স্বযমার ডান হাতটাকে কখনও আপনার বুকের ওপর, কখনও মুখের ওপর বুলিয়ে নিজেকে সংঘত করতে লাগলো। মনে মনে বললে, স্বৰম, তোমার ভেতরকার ষে উজ্জল সত্য অামার মিথ্যাকে এমনি করে পুড়িয়ে ছাই ক’রে দিলে, তাকে কোটি কোটি প্রণাম । মনে মনে বললে, নারি, আশ্চৰ্য্য অখও নারি, তোমাকে কোটি কোটি প্রণাম | তার পর বললে,—স্বযম ওদের বিদেয় করে দিয়ে । জাসি । স্বষম তার চোখের দিকে চেয়ে দেখলে। বললে— . क्षie । - কলম জার দোয়াত ব্রজেশের দিকে এগিয়ে দিয়ে, मजिजथांना ठांब्र ग्रंॉ८ब्रहे ७कब्रकम क्ल८फ़ ८करण निtब्र, রমেন বললে,—হবে না ব্ৰজেশবাৰু। ব্ৰজেশ বললে,—তার মানে ? রমেন চেচিয়ে উঠল—মানে-টানে নেই, হবে না বলে দিলাম, বিরক্ত করো না। কাগজ-পত্ৰ গোটাতে গোটাতে ব্ৰজেশ বললে,— প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩৬ [ २>* छां★, २ब्र थ७ বউএর কথায় বুৰি-কিন্তু রমেনের চোখের দিকে চেয়ে সে সহসা থেমে গেল। দেখলে দুই চোখ দিয়ে যেন ফুলিঙ্গ বর্ষণ হচ্ছে। রমেন দরজার দিকে দেখিয়ে বললে,—খবরদার যাও बलफ्रेिं- n § দিন-পনর পরের কথা। দুঃখের তীব্রত কমেনি, কিন্তু সেইদিন থেকে এই দুই নর-নারীর সহনশীলতা যেন কতকটা বেড়েছিল। বিকাল বেল রমেন কাজের ব্যর্থ চেষ্টা ক’রে এইমাত্র ফিরেছে। এমন সময় বাইরের ঘরে পরিচিত স্বরে কে তার নাম ডাকলে শুনে রমেন চমকে উঠল,—মরেশ না ? স্বযমা বললে,—গলা ত তারই মতন, বোধ করি স্বরেশবাবুই হবেন। রমেন বাইরে গিয়ে দেখলে স্বরেশই বটে। বললে,—বহুদিন পরে মনে পড়ল যে হে, কি খবর? তার চোখের ভৎপনা-দৃষ্টি রমেন একেবারে লুকুতে পারলে না । স্বরেশ প্রসন্ন হেসে বললে,—খবর কিছু আছে বৈ কি । খবর ভালই। ব'লে পকেট থেকে একতাড়া মোট বার ক’রে রমেনের সামনে রেখে দিলে । চলার পথে সাপ দেখলে লোকে যেমন চমকে ওঠে, তেমনি চমূকে উঠল রমেন। স্বরেশ হাসলে, বললে –পাচহাজার টাকা। . রমেন মুখ কালি করে তার দিকে চেয়ে দাড়িয়ে রইল। স্বরেশ বললে,—ওটা নিতে হবে তোমাকে । রমেন জিজ্ঞাসা করলে,—কেন ? স্বরেশ হেসেই বলতে লাগলো,–ট্রামের সেই পাচ টাকা ধারের কথা মনে আছে । চমকালে যে, মনে নেই বুৰি ! তোমার সেই টাকাটা নিয়ে এবার অদৃষ্ট-দেবীকে ভারি ফাকি দিয়েছি। রেসে কতবার কতটাকাই না দিয়েছি, কিন্তু কপালের কোন জায়গায় মস্ত বড় একটা ফুটে আছে, সবগুলোই বেরিয়ে গেছে । এবার ভাবলাম তোমার আমার অদৃষ্ট মিলিয়ে দেখা যাক। তোমার পাঁচ টাকার সঙ্গে