পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Reg ●थबाजी-करून, २००७ [ ९s- उोन, २ख्न थ७ বিচারের ষে মনোজ্ঞ ব্যাখ্যা করিয়াছেন, তাহা হইতে জাচাৰ্য্য অভিনবগুপ্তের একটি উক্তি উদ্ধৃত করিতেছি, “ब्रन इहे८ड८छ् निळखब्र यांनमयग्न गचिट्ठब्र यात्रांमन-क्लश्रृं একটি ব্যাপার ।” অতএব রসস্থষ্টি যেখানে ব্যাহত হইয়াছে, রচনা সেখানে আর সাহিত্য নয় । যাহার সম্ভাবে আমরা সাহিত্যে দেশ-কালের অন্তর ভুলিয়া যাই, রস সেই বস্তু । ইহার অভাবে কোন সাহিত্যের স্থায়িত্ব থাকে না । সমসাময়িক লোকপ্রিয়তা এবং সমালোচনার জয়ধ্বনি তাহাকে রক্ষা করিতে পারে না । প্রমাণ— Southey, Tennyson, Kipling. footforw Castro কবি মনে করে, কিছুদিন পরে আর করিবে না। সাদের কবিতা লোকে ভুলিয়া গেছে। টেনিসনের আর সে আদর নাই। অথচ আর্টগত বছল ক্রটি সত্ত্বেও ব্রাউনিং আমাদের প্রিয়তর হইয়া উঠিতেছে। আধুনিক বলিলে সাহিত্যকে বড়ও করা হয় না, ছোটও করা হয় না । ইহাতে শুধু বুঝায় যে, এ সাহিত্যে যুগধৰ্ম্ম জয়ী হইয়াছে। যুগধর্শ্বের মূল্য আছে। কিন্তু রসের দিক দিয়া সাহিত্যের বিচার করিতে গেলে যুগধৰ্ম্মকে বড় করা চলে না। ‘কপালকুণ্ডলা'র কথা ধরা যাক। কপালকুণ্ডলার আখ্যানভাগে যে বৃত্তান্ত বর্ণিত হইয়াছে, সংসারে তাহ সচরাচর ঘটে না। ঘটে না বলিয়া ঘটিতে পারে না এমন নহে, ঘটিবার সম্ভাবনা অল্প । অর্থাৎ এ উপন্যাসের ঘটনাবস্তু সাধারণ নহে। পরিকল্পনা অসাধারণ বলিয়াই ‘কপালকুণ্ডলা রোমাণ্টিক। কল্পনা না হইয়া বাস্তবও উপন্যাসের উপাদান হইতে পারিত। কিন্তু উপাদান নিজে নয়, সেই উপাদান হইতে রস কতটা ফুটিয়া উঠিয়াছে তাহাই সাহিত্যের বিচারের বন্ত । জগতের চিরন্তন-পুরুষ চিরন্তন-নারীকে কামনা করিতেছে। পুরুষ যখন নারীকে অন্তরক্ষভাবে লাভ করিতে পারে, সংসার তখন সফল হয়। এই কামনার আচরিতার্থতাই জীবনের ট্র্যাজেডি। নবকুমার পুরুষ, কপালকুণ্ডলাঙ্গনারী। পুরুষ নারীকে আপনার সংসারে প্রতিষ্ঠিত করিতে চাহিতেছে । কিন্তু নারীর প্রকৃতি উদাসীন। কপালকুণ্ডল অরণ্যপালিতা, লোকসমাজ হইতে দূরে বৰ্দ্ধিতা বলিয়াই যে তাহার নারী-প্রকৃতি गश्नां८ब्रब्र च्षांझ्वांटन गांफ़ cनग्न नांहे डांश नटह, क°ाणকুগুলার বৈরাগ্য তাহার স্বভাবসিদ্ধ। এই উদাসিনী নারীকে আপনার করিবার জন্ত নৰকুমারের ব্যগ্র ব্যাকুল নিরন্তর প্রয়াসের মধ্যে জীবনের ট্র্যাজেডি ধীরে ধীরে ঘনীভূত হইয়া উঠিতেছে। সহস্ৰ চেষ্টায় নারী যখন কিছুতেই ধরা পড়িল না, পুরুষের পৌরুষ এবং কামনা একান্তভাবে ব্যর্থ করিয়া জীবনের লক্ষ্যপথ হইতে সে যখন কে-জানে-কোথায় সরিয়া গেল, কোন ছৰ্ব্বার ছলঙ্ঘ্য রহস্যময় কালস্রোতে অকস্মাৎ মিলাইয়া গেল, জীবনের চরম ট্যাজেডি তখনই সাহিত্যের মধ্যে মুৰ্ত্ত হইয়া উঠিল। এই চিরদিনের অতৃপ্ত কামনার মধ্যে ষে করুণ রসের সাক্ষাৎ পাই, তাহ অনিৰ্ব্বচনীয়। ঘটনাবস্তু কল্পনাগত হইলেও তাহার প্রয়োগ ব্যবহার ও সংস্থানে কোন বিরোধ কোন অসঙ্গতি নাই । রূপের দিক দিয়া ‘কপালকুণ্ডলা একটি নিখুত মুক্তার মত উজ্জল স্বন্দর স্থডৌল । সে মুক্ত কিন্তু অশ্রুর মুক্ত, জীবনের বেদন জমাট বাধিয়া কাব্যে পরিণত হইয়াছে। রূপের দিক দিয়া যেমন ইহার কলাগত কমনীয়তায় কোন ক্রটি নাই, রসের দিক দিয়া তেমনি ইহা পরিপূর্ণ গভীর অব্যাহত । অতএব বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম বয়সের"; রচনা হইলেও রসসাহিত্যে এই রোমাণ্টিক উপন্যাসের স্থান অনেক উচ্চে । তাই বলি, যুগধর্শের কল্যাণে বাস্তব-সাহিত্য আঞ্জ আমাদের কৌতুহলের বস্তু হইলেও রসিকের কাছে সে দিনের ভাবতান্ত্রিক সাহিত্যের গৌরব এতটুকু খৰ্ব্ব হুইবে না। মনের প্রবণতা নানা দিকে। বৈচিত্র্যের উপভোগে মনের অরুচি নাই। তথ্য এবং ঘটনা, কল্পনা এবং সম্ভবনা উভয়ই তার কাছে সমান উপভোগ্য । সকল রকম উদ্ধাম উগ্রতাই জীনের সামঞ্জস্য নষ্ট করে। রিয়ালিজমের যুগে রোমান্সের আলোচন। সাহিত্যের মধ্যে স্বসঙ্গতি আনিবে। প্রকৃত সাহিত্যের আলোচনা সৰ্ব্বপ্রকার সাহিত্যিক জাতিরেকের corrective—moottoso |