পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ8Հ প্রবাসী- ফাল্গুন, ురిలిస్ట్రా [ ২৯শ ভাগ, ২য় খণ্ড হইয়াছে ? ভারতবর্ষে ছয় কোটি অস্পৃশ্বকে কি জিজ্ঞাসা করা হইয়াছে, তাহারা ব্রাহ্মণের দয়ার উপর নির্ভর করিয়া বাচিতে চায় কি না ? -- “প্রতি-আন্দোলনের এই সকল উপায়ই আমাদের श८ङ ब्रश्च्चिाटछ् । किरू षांभब्रा यनि ऊांश कांटखहे मl লাগাইলাম তবে এ সকলের থাক। না থাকা সমান " ভারতবর্ষ সম্বন্ধে অনধিকারী, ভারতে ব্রিটিশ শাসনতন্ত্র সম্বন্ধে অনভিজ্ঞ, শার্লক হোম্সের স্রষ্ট, নব্যপ্রেততত্ত্বে আস্থাবান স্তর আর্থার কোনান ডয়েল কথাগুলি নুতন ভাবিয়াই বলিয়াছেন। তাহার এই সরলতা দেখিয়া কলিকাতার ষ্টেটুসম্যান পত্রিকার একটু হাসি পাইয়াছে। স্তর আর্থারের চাঞ্চল্য দেখিয়া ষ্টেটসম্যান যে সম্পাদকীয় মন্তব্য করিয়াছেন তাহার ভিতরে একটু মজা আছে। ষ্টেটসম্যান বলিতেছেন, “আমাদের বিবেচনায় টাইম্স্ পত্রিকায় স্বাধীনতাবাদীদের বিরুদ্ধে প্রতি-আন্দোলন করিবার সপক্ষে চেচামেচি করিতে গিয়া স্তর আর্থার কোনান ডয়েল নিরর্থক ছুশ্চিম্ভা ভোগ করিতেছেন। ‘মুসলমানরা স্থায়ী হিন্দু মেজরিটি দ্বারা পাশ করা আইন মানিতে প্রস্তুত কি-ন" একথা তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিবার কোনই প্রয়োজন নাই, কারণ মুসলমানরা নিজেরাই বার বার সে প্রশ্ন উত্থাপন করিতেছেন। ‘ভারতীয় রাজন্তবর্গ তাহাঁদের রাজ্যগুলিকে একটা স্বাধীন দেশের মধ্যে খণ্ড থও বিচ্ছিন্ন করিয়া রাখিতে প্রস্তুত কি-না একথা জিজ্ঞাসা করাও নিম্প্রয়োজন, কারণ আজ কতকদিন ধরিয়াই আমরা শুনিতেছি যে তাহারা সেরূপ করিতে প্রস্তুত নহেন। ভারতবর্ষ স্বাধীন হইলে পঞ্জাবের বিপদ হুইবে একথা বলাতেও কোনো ফল নাই । কারণ যদি ভারতবর্ষ স্বাধীনই হয় তবে পঞ্জাব হয় আত্ম-বিরোধ লইয়া এত ব্যস্ত থাকিবে যে তাহার আর আক্রমণের দিকে মনোযোগ দিবার অবকাশ হুইবে না, অথবা সে ভাল করিয়াই আত্মরক্ষা করিতে পারিবে। সত্য কথা বলিতে কি, শুর আর্থার ষে কথাটা তিনি নিজেই শুধু জানেন বলিয়া মনে করিতেছেন তাহ হিন্দু, মুসলমান, পাশী, পাঞ্জাবী, সকলেরই জানা। তিনি যে প্রতি-আন্দোলন চান সে আন্দোলন তাঁহাদের ভিতর হইতেই জালিতে আরম্ভ করিয়াছে, এবং উহা দেখিয়া তাহাদের নেতারা ও আনন্দিত ।” কিন্তু শুধু হিন্দু, মুসলমান, পার্শী, পাঞ্জাবী নয়, ইংরেজ রাজপুরুষদেরও এ কথা জানা কি-না, এবং শুধু হিন্দু, মুসলমান, পাশী, পাঞ্জাবীর নেতা নয়, ইংরেজ রাজপুরুষেরাও এই আন্দোলন দেখিয়া আনন্দিত কি-না, ষ্টেটসম্যান তাহা খুলিয় বলেন নাই—বোধ করি রসবোধের স্বক্ষতার পরিচয় দেওয়া হইবে না বলিয়া । পূর্ণস্বরাজ ও ভারতীয় রাজস্যবর্গ প্রথমে ভারতীয় রাজগুবর্গের কথাই বলিব। র্তাহাঁদের পক্ষ হইতে পূর্ণ স্বরাজকামীদিগকে সাবধান করিয়া দিবার ভার পড়িয়াছে পাটিয়ালার মহারাজার উপর। ইহাতে আমরা আশ্চর্ষ্য হুই নাই । কারণ, তাহার রাজ্যশাসনপ্রণালী কিরূপ, তদ্বিষয়ক নানা অভিযোগ নামধামসহ দীর্ঘকাল সৰ্ব্বসাধারণের সমক্ষে থাকা সত্ত্বেও পাটিয়ালারাজ ব। ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্ট তাহার কোন প্রতিবাদ এ পর্য্যস্ত করেন নাই। এবং তাহার ব্যক্তিগত জীবন ও চরিত্র সম্বন্ধে যে সকল অভিযোগ প্রকাগু ভাবে করা হইয়াছে, আর যাছার কোনও প্রতিবাদ এখনও হয় নাই, তাহ এইরূপ, ধে, সেগুলি সত্য হইলে তাঙ্গার সিংহাসনে উপবিষ্ট না থাকিয়া কারাগারে থাকিবার কথা। এই সকল অভিষোগের মধ্যে কোনও সত্য থাকিলে, ইংরেজের অনুগ্রহের উপরই তাহার রাজত্ব নির্ভর করে, এবং ইংরেজ সরকার তাহাকে দিয়া যে কথা বলাইতে চান, সেকথা বলিতে তিনি বাধ্য । যদি ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্ট তাহার বিরুদ্ধে উপস্থাপিত অভিযোগ সমূহের প্রকাশু বিচার করিয়া তাহাকে দোষমুক্ত বলেন,তাহা হইলে হয় ত তাহার কথার মূল্য কিছু থাকিতে পারে। এখনও তাহা হয় নাই। আজ ছুই বৎসর ধরিয়া ভারত গভর্ণমেণ্ট মিত্র ও করদরাজ্যগুলির তুথাকথিত স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা ও সাম্যের দাবীকে ভারতবর্ষের ঐক) ও রাজনৈতিক উন্নতির বিরুদ্ধে একটা প্রকাও যুক্তি হিসাবে খাড়া করিয়াছেন। পাটিয়ালার মহারাজার উক্তি এই সকল যুক্তিরই প্রতিধ্বনি