পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] যুগগুরু রামমোহন ৬১ ASA SSASAS SS SAAAASAASAAAS গভীরতার ও ধর্শ্বের ধ্যানে সাধনায় রামমোহন ইহাদের কাছে হার মানিতেও পারেন, কিন্তু তাহার সময় সমস্যা ষে সবদিক লইয়া। মধ্যযুগে এই সব সাধকের হিন্দু বা মুসলমান জ্ঞান ও শাস্ত্রাদি সামঞ্জস্ত সাধনার চেষ্টা মাত্র করেন নাই । কারণ উভয় দলের জ্ঞানই তখন অনেক পরিমাণে নিজেদের দলের ক্ষুত্ৰ সতোই আবদ্ধ ছিল। কিন্তু যুরোপ যখন এই যুগের প্রারম্ভে ভৌগোলিক সব ব্যবধান ভাঙিয়া ভারতে উপস্থিত হুইল पछर्थन ऊांशांब्रl cष खांन-दिखान चांनिल उठांश् श्रांद्र উপেক্ষণীয় নহে। তাহ পরাবিদ্যা না হইতে পারে, কিন্তু অপর হুইলেও তাহা সত্যই বিদ্যা। এই প্রাচ্য ও প্রতীচ্য বিদ্যার মধ্যে যোগ স্থাপন করা, প্রাচ্য প্রতীচ্যের এই বিরাট সংঘাতে রাষ্ট্রনীতি, সমাজনীতি, শিক্ষানীতি ও উভয়দিকের নানাবিধ বিশিষ্টতার সমন্বয় করা সেই যুগে রামমোহন ছাড়া আর যে কেহ এমন অসাধারণরূপে করিতে পারিতেন, তাহা ত বুঝি না। এই যুগের সেই উষায় যখন আমাদের দেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠিত হয় নাই বলিলেই হয় সেই সময় তাহার মত এমন কে ছিলেন যিনি এমন গভীর ভারতীয় ও প্রাচ্য শিক্ষাদীক্ষার দৃঢ় ভিত্তির উপর দাড়াইয়া পাশ্চাত্য জ্ঞানবিজ্ঞানকে এমনিভাবে গ্রহণ করিয়া সেই কঠিন সমস্ত এমন করিয়া সমাধান করিতে পারিতেন। তিনি কোনমতেই সেই যুগের মাপে তৈয়ারী মাস্থ্য ছিলেন না। আজি পৰ্য্যন্ত অনেকে তাহাকে ষে চিনিতে পারেন নাই তাহার অর্থ তিনি অপ্রত্যাশিতরূপে তাহার কালের অনেক পূর্বেই জন্সিয়াছিলেন । যে-সব সমস্ত আজিকার সাধকদের সমক্ষে উপস্থিত, যে সব আকাঙ্ক্ষার সব আকাঙ্ক্ষা এই সব সমস্তাকে লইয়া এই যুগকে উদ্বোধন করিয়াছেন মহা সাধক মহাপুরুষ রামমোহন । এই সব আকাঙ্ক্ষা ও সমস্যা কতক পরিমাণে যদিও ভারতের মধ্যযুগের মহাপুরুষদের মনে আসিয়াছিল ठवू ठषन जमश चांबिकांब्र भङ ७ङ छछैिण झग्न नॉईं । অবগু তাহাদের চারিদিকে প্রতিকূলতাও ছিল অপরিমেয়। ब्रांभ८भांश्टनब्र छद्म श्हेण श्वधन ७क ६बलांनिक यूरणंब्र উষাকালে যখন দেশে-বিদেশে ভৌগোলিক সৰ बादषांन पूब श्या शिग्रांटछ, ३षन यशनिङ जाडि गच्थनांब्र তাহাদের বিচিত্র শিক্ষাদীক্ষা ও সভ্যতা লইয়। পাশাপাশি দাড়াইয়াছে, যখন দুৰ্ব্বল জাতিদের দুর্বলতা প্রবল জাতিদের সর্ববিধ ক্ষুধাকে জাগ্রত করিয়া তুলিয়াছে, যখন শিক্ষা-দীক্ষা সভ্যতা উৎকর্যের নানা বিচিত্র ঘাতসংঘাত প্রতিঘাত চলিয়াছে। রামমোহনও যুগারম্ভের এত বড় বিরাট রচনার যোগ্য মনীষী ও সাধনা লইয়া কেবল হিন্দু মুসলমান নহে জগতের সকল সাধনার মিলনের মন্ত্র উচ্চারণ করিলেন, নূতন যুগের উদ্বোধন করিলেন। তখন রাজনীতি, সমাজনীতি, শিক্ষা, সাহিত্য, সকল ক্ষেত্রে তাহাকে সমানভাবে বীরের মত আসিয়া নব নব স্থষ্টিতে হাত দিতে হইল এবং সবই তিনি অসাধারণ বীরত্বের সহিত সম্পন্ন করিলেন । কোনো মহাপুরুষকেই একসঙ্গে এতগুলি কাজে হস্তক্ষেপ করিতে হয় নাই। তাহার এক একটি কাজে তাহার সমকক্ষ সাধক মিলিলেও মিলিতে পারে, কিন্তু জাতীয় জীবনের জাগরণের জন্ত একসঙ্গে এতগুলি কাজে হস্তক্ষেপ করার ‘ দৃষ্টান্ত দুলভ। তার বহুমুখী সাধনার নানা অংশ নানাভাবে পূৰ্ব্বকালে সাধিত হইলেও কখনো একত্র সাধিত হয় নাই। তাই তিনি এই মহাযুগের আলিঙ্গের শুভ-- মুহূর্তে জাতীয় জীবনকে উদ্বোধিত করিতে বিধাতার প্রেরিত মহাগুরু । এক কথায় বলিতে হইবে রামমোহন ভারতে একটি আকস্থিক সাধনার উপদ্রব নহেন—তাহার পূৰ্ব্বে যুগে যুগ যুগধর্শ্বের মন্ত্রে দীক্ষিত মহাপুরুষরা ভারতের সাধনাকাশে উদিত হইয়াছেন। সৰ্ব্বতোভাবে -বিচিত্র এই মহাযুগের প্রারম্ভে এত বড় বিরাট ও সমস্তাবহুল যুগের উদ্বোধক প্ৰবৰ্ত্তক ও যুগধৰ্ম্ম সাধনার মহাগুরু রামমোহনের মধ্যে পূর্ব পূৰ্ব্ব যুগের সাধনাগুরু সকল মহাপুরুষেরই সার্থকতা, তাহাতেই সকল পূৰ্ব্বগুরুর পরিপূর্ণত ।