পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెJ9 ബ്- AA SAMAMMAMAAA AAAASAAAA [es* छां★, २ध्न थ७ বসিয়াছিল, একটা গল্প সে আজ আরম্ভ করি বই, শেব করিতে না পারে অস্তুত: অনেকখানি লিখিবে গল্পের ছকু সে সকাল হইতে স্নানে, খাওয়ায় সকল সময় ভাবিয়া ভাবিয়া একটা খাড়া করিয়াছিল, কিন্তু লিখিতে বসিয়া তাহার মন যেন দমিয়া গেল। গল্পের বিষয়টি যদি সম্পাদকের পছন্দ না নয় তাহা হইলে ত এত পরিশ্রমই বৃথা গুইবে । অথচ মাসে গোট। কয়েক টাকা বেণা পাওয়া নিতাস্ত দরকার। সাবিত্রীর কথায় নিজের মনের অশাস্ত অবস্থাটা আবার জাকিয়া উঠিল। মুদু হাসিয়ু বলিল,—সাবিত্ৰী, আমার কি ইচ্ছ। নয় যে গল্পগুলো শেষ করি ? কিন্তু পারি না, তা কি করব ? সাবি ধী বলিল,—খুব পার । চেষ্টা করলেই পার। আগে ত কত লিখতে । আমি নিজেও তোমার কত গল্প পড়েছি । তখন পারতে কি করে ? ভারত বুঝাইতে চেষ্টা করিল, বলিল,—ঐ ত মজা । যেটাই জোর করে করতে হয় সেটাই আর হয়ে ওঠে না। আগে লিখতাম লেখার সথে নাম কেনবার লোভে । আজ লিখতে হচ্ছে রোজগারের জন্য । ন লিখলে উপায় নেই এই বে একটা ভাব মনের মধ্যে তাড়া দিচ্ছে, এইটেতেই আরও সব পেছিয়ে দেয় । মনে আসে যত রাজ্যের কথা, উৎসাহ আর থাকে नाः । সাবিত্রী অবুঝ ত ছিলষ্ট না, বরং ভারতকে সে যতদূর সম্ভব কিছু বুঝাইবার কষ্ট হইতে রেহাই দিত। সাবিত্রী আদরের স্বরে বলিল, আচ্ছা আর কথা নয়। লিখতে বলেছ লিখে যাও । থাবার আমি ঘরে এনে রেখেচি,যখন চাও ব’লো । আমি সমরের কাছে শুনলাম, তুমি তোমার কাজ কর একখানিই ঘর। সোয় বসা লেখা পডা সবই সেই ঘরে। দেওয়ালের ধারে একখানি তক্তাপোষ, সাবিত্রী যাইয়। ঘুমন্ত সমরের কাছে বসিল, শুষ্টল না। ভারত দেখিল, কি একটা সেলাই হাতে করিয়া সাবিত্ৰী কাজ আরম্ভ করিয়া দিয়াছে । ভারত হাসিয়া ফেলিল, বলিল,—এমন করে সামনে বসে মাষ্টারি করলে কি আর গল্প আসে ? গল্প লিখতে বসে : সাবিত্ৰী গম্ভীরভাবে বলিল, মাষ্টারি হতে যাবে কেন ? তুমি তোমার কাজ কর, আমি আমার কাজ করি । ভারত তবু মন দিতে পারিল না। যতটুকু লিপিয়াছিল তাহ কাটিয়া দিয়া নিরুপায়ের মত বলিল, কি নিয়ে যে লিখব ভাই ঠিক করতে পাচ্ছি না। এমন দশ-বিশটা গল্পের মুখ মাথার মধ্যে দেখা দিয়েছে, তার বেশ আর কারুর নাগাল পাচ্ছি না। এ করে কি আর গল্প লেখা হয় ? সাবিত্রী মিষ্টি হাসিয়া বলিল,—আচ্ছা, আমি তোমাকে একটা গল্পের প্লটু বলে দিচ্ছি। এতকাল ত নিজের মন থেকে লিগেছ, আজি না হয় আমার কাছ থেকে একটা প্লট নিলে । ভারত যেন অকূলে কুল পাইল । বলিল,—বেঁচে গেলাম। বল, কি তোমার প্লটু নিশ্চয় সেইটেই লিখব ; —লিখবে ? —লিখব—নিশ্চয়—লিখব । —হাসবে না ? —ন, হাসব না । তুমি শিগগাঁর বল। আমার মনে হচ্ছে তোমার প্লটুটাই উতরে যাবে। সাবিত্রী হাসিয়া বলিল,— আচ্ছা বলছি শোন । হেসে না কিন্তু । আমার কথাটা হচ্ছে, যা তুমি প্রত্যক্ষ ভাবে জেনেছ তাই নিয়ে লিখলেই তোমার লেখা সজীব হবে অর্থাৎ গল্প শেষ হবে । তোমার মনের এখন যা অবস্থা তাতে ভাবের বিলাস চলবে না। ভারত অধীরভাবে বলিল, তা ত বুঝলাম, এখন তুমি প্লটুট। বল । এ উৎসাহ আমার কেটে গেলে আর কিন্তু আমার দ্বারা লেখা হবে না ব'লে দিচ্ছি সাবিত্রী উঠিয়া আসিয়া আবার ভারতের সামনেকার চেয়ারটিতে বসিল । দুষ্ট একবার টেবিলের পায়ায় পা ঠেকাষ্টয়া চেয়ারটা দোলাইল । মুথে তাহার একটা সলজ্জ হাসি। বলি বলি করিয়াও যেন তাহার যুগ ফুটিতেছে না । ভারত অধীর হইয়া পড়িতেছিল। কহিল, আর সময় নষ্ট করে না, এবার বল। দিন তিনেকের মধ্যে লিখে পাঠাতে না পারলে আবার একমাস বসে থাকতে