পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্ৰধারা ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কল্যাণীয়ান্থ প্রথমেই ব’লে রাখি আমার সব কথা বলবার অধিকার নেই। যেখানে আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার অভাব সেখানে যুক্তিতর্ক ক’রে বোঝা ছাড়া উপায় নেই। তোমার চিঠি পড়ে বুঝতে পারি তুমি একটা অভিজ্ঞতার ভিতর দিয়ে গেছ সেটাকে আমার বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে যখন চেষ্টা করি তখন মনে সংশয় থেকে যায় । তবুও আমার দিক থেকে যেটা বলবার আছে সেটা বলা চাই । বাংলা দেশে আমরা শাক্ত কিংবা বৈষ্ণবধৰ্ম্মে মুখ্যত রস সম্ভোগ করতে চাই । হৃদয়াবেগের মধ্যে তলিয়ে ষাওয়াকেই সাধনার সার্থকতা মনে করি । একে আধ্যাত্মিক বিলাস বলা যেতে পারে । সব রকম বিলাসের মধ্যেই বিকারের সম্ভাবনা আছে । গ্রামে যখন বাস করতুম একজন বৈষ্ণব সাধকের সঙ্গে আমার প্রায় আলাপ হ’ত। আমি তাকে একদিন বললুম, ব্রাহ্মণপাড়ায় দুর্নীতি দুৰ্গতি ও দুঃখের অস্ত নেই । আপনি কেন তাদের মাঝখানে থেকে উদ্ধার করবার চেষ্টা করেন না। শুনে তিনি বিস্থিত হয়ে গেলেন— এ-সব লোকদের সহবাস দূরে পরিহার করাই তিনি সাধনার পন্থা ব’লে জানেন, এতে রসভোগ-চৰ্চায় ব্যাঘাত করে। দেবতা যদি নিতান্তই অতিমাল্লুব হন তাহলে তাকে নিয়ে কেবল হৃদয়াবেগের চর্চা কয়লেই চলে । আমাদের কৰ্ম্মে তার কোনো প্রয়োজন নেই— বুদ্ধি চাইনে, শক্তি চাহনে, চরিত্র চাইনে, কেবল নিরস্তর ভাবে ডুবুডুবু হয়ে থাকলেই হ'ল। অর্থাৎ তাকে দিয়ে হৃদয়ের সখ মেটাবার ব্যাপার। যেহেতু খেলার পুতুল সভ্যকার মানুষ নয় এইজন্তে তাকে নিয়ে বালিকা আপন হৃদয়বৃত্তিকে দৌড় করায়—আর কোনো দায়িত্ব নেই। কিন্তু সস্তানের মা’র দায় আছে, শুধু কেবল হৃদয় নেই—তাকে বুদ্ধি খাটাতে হয়, শক্তি খাটাতে হয়, সন্তানের সেবা পরিপূর্ণমাত্রায় সভ্য ক’রে না তুললে চলে না। তাকে পুতুল সাজিয়ে ফাকির নৈবেদ্য দিয়ে ভোলাবে কে ? মাহুবের মধ্যে যে-দেবতার আবির্ভাব র্তার সঙ্গে ব্যবহারে পূর্ণ মানুষ হতে হবে। মাছরার ८णदडा भान्नcरुग्नई शंi८ग्नब्र चणकांब्र श्ब्र१ क'८ब्र निरग्न মানুষের দেবতাকে বঞ্চিত করে। ঠাকুরকে এই রকম অলঙ্কার দিতে হৃদয়ের তৃপ্তি হয় মানি, কিন্তু ঠাকুরকে কেবল মাত্র হৃদয়তৃপ্তির উপলক্ষ্য করলে তাকে ছোট করা হয়, তার সঙ্গে সম্বন্ধকে অভ্যন্ত অসম্পূর্ণ করা হয়। তুমি মনে কর ঠাকুরের ভাণ্ডারে এই যে প্রভূত ধন অলঙ্কার নিষ্ফলভাবে সঞ্চিত হচ্চে এ কোনো এক সময়ে অত্যন্ত প্রয়োজনে কাজে লাগবে । কখনও না, এ পর্য্যন্ত তার কোনো দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় না। বিষয়লোকের ধনসঞ্চয়ের যে দুনিবার লালসা সেই লালসার তৃপ্তি দেবতার নামে আমরা করি—তার প্রধান কারণ দেবতার প্রতি আমাদের মানবঘায়িত্ব নেই। জগন্নাথকে পুরোহিত স্বান করায়, কাপড় পরায়, পাখার হাওয়া করে, ওষুধ খাওয়ায়—যদি তার অর্থ এই হয় যে, মামুযের মধ্যে জগন্নাথেরই স্বানের, কাপড় পরায়, ওষুধ খাওয়ার সত্যই প্রয়োজন আছে তাহ’লে এমনতর ব্যর্থভাবে নিজের দায় সেরে নিতে প্রবৃত্তি হয় ? তাহ’লে সমস্ত বুদ্ধি সমস্ত শক্তি নিয়ে মানবভগবানের অল্পবস্ত্ৰ পানীয় পথ্যের আয়োজন না ক'রে থাকা যায় না। যুগে যুগে আমরা তাতে অবহেলা করেচি থ’লেই মন্দিরের ভগবান পাও পুরুতের মধ্যেই পরিপুষ্ট হয়ে উঠচেন লোকালম্বে তার কণ্ঠার হাড় বেরিয়ে পড়ল, তার পরণে ট্যান জোটে না । দুঃখবেদনার অনুভূতি থেকে তুমি নিজেকে বাচাতে চেয়েচ । ভক্তি বা হৃদয়াবেগের নেশা দিয়ে ফল পাবে না । তোমার ভালবাসা বেখানে জ্ঞানে কৰ্ম্মে ত্যাগে তপস্তায় বোলে৷ আন পূর্ণ সেইখানেই তোমার পরিত্রাণ। যে-সেবা সৰ্ব্বাঙ্গীনভাবে সত্য এবং ফেসেবায় তোমার মন্থন্তৰ সম্পূর্ণ সত্য হতে পারে cणश्थानं चांनब्व-८ण-षनिन् छ्:थ८क शौक्षiब्र ब्र'८ब्र, তাকে এড়িয়ে নয়। মাছুষের দেবতার কাছে তুমি