পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য ও জীবন শ্রীশৈলেন্দ্রকৃষ্ণ লাহা, এম এ সাহিত্য বলিতে আমরা সাধারণতঃ রসসাহিতা বুঝি । জ্ঞানসাহিত্যে রসের বিকাশ চরম লক্ষ্য নয় । সেখানে মুখ্য উদ্দেশ্য জ্ঞানের প্রচার। প্রকাশভঙ্গী অথবা রচনাকলার ভিতর দিয়া আমরা মাঝে মাঝে রচয়িতার ব্যক্তিত্বের সাক্ষাৎ পাই বলিয় তাহাকে সাহিত্য আখ্যা দিই । প্রাচীন কালে সকল রসসাহিত্যকেই কাব্য নামে অভিহিত করা হইত। নাটকও ছিল কাব্য। এখন পদ না হইলে কাবা হয় না। উপন্যাস ছোট গল্প প্রভৃতি গদ্য রচনা । এগুলি আধুনিক স্বষ্টি, রসगाझ्ण्डिाब्र नूडन निक् । সাহিত্যের নূতন দিক বলিয়াই গল্প উপন্যাস আজ আমাদিগকে অধিকার করিয়া বসিয়াছে । ইহার নব নব রূপের প্রকাশে আমরা মুগ্ধ হই, বিস্থিত হই, ব্যাকুল হুই । এই প্রস্বন্ধে সাহিত্য কথাটি সাধারণভাবে রস সাহিত্য এবং বিশেষ ভাবে কথা-সাহিত্য সম্বন্ধে প্রযুক্ত হইয়াছে । কোথা ও কোথাও পুরাতন অর্থে কfব ওঁ কাব্য কথা-দুইটি ব্যবহার করিয়াছি। বিশ্বে যে প্রাণের চাঞ্চল প্রতি মুহূৰ্বে অনুভব করি, সাহিত্যের সম্পর্কে তাঙ্গার সবটাকে জীবন বলিয়! ধরি না । সাহিত্যে জীবনের পরিধি সঙ্কীর্ণভর । সেখানে শুধু বাচিয়া থাকাই জীবন নয়। জন্ম হইতে স্বরু করিয়া মৃত্যুর সীমা পৰ্য্যন্ত যে যাত্র। সাহিত্যের পক্ষে তাহা প্রকৃত জীবনযাত্ৰা ন হইতে পারে। সাহিত্যগত জীবন স্থখ-দুঃখ আনন্দ-বেদনা আকাঙ্ক্ষ-কামনা দিয়৷ গঠিত। জ্ঞান কৰ্ম্ম চেষ্ট। চিন্তা—সেখানে গৌণ, হৃদয়ের অন্তৰ্ভূতি ও আবেগই সাহিত্যে জীবন সঞ্চার করে । ফাউঃ অথবা প্যারাসেলসাস ধে জ্ঞান সঞ্চয় করিয়াছে, সেই জ্ঞানসম্ভার সাহিত্যের ধিবয় নয়। সাহিত্যের বিষয় তাহাদের অনুভুতিময় জীবন। বহুজীবনের বৈচিত্রাকে যখন সমগ্ৰ ভাবে উপলব্ধি করি তখন তাহাকে সংসার বলি। সংসার বিচিত্র জীবনের সমাহার। মাতুস যেখানে একা সেখানে সংসার নাই। যেখানে সে সকলের সহিত মিলিয়া এক হইয়াছে, তাহার সংসার সেইখানে । কথ! সাহিত্যে বিশেষ করিয়া সসার-কাহিনী শুনিতে পাই । সাহিত্যের এই বিভাগে নিজের সহিত পরের বৃত্তান্ত বর্ণিত হয় । এখানে ব্যক্তিগত জীবন ও সংসার এক হইয়! গেছে । মোটামুটি ধরিতে গেলে সংসার ও জীবন अश्रु५ ।। সাহিত্যের সহিত জীবনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ । ম্যাথিউ আর্ণল্ড হুইতে আরম্ভ করিয়া বহু প্রতীচ্য সমালেচোকষ্ট এ কথা বার-বার বহু প্রকারে বিবৃত করিয়াছেন। সাহিত্যে জীবনের সাড়া পাই । অর্থাং সাংসারিক জীবনে আমার ধে ইষ বেদন উদ্বেগ অনুভব করি, সাহিত্য ও আমাদের মনে সেই ধরণের অন্তৰ্ভুতির সঞ্চার করে । মানবহৃদয়ত সাহিত্যের ধৰ্ম্ম । বিজ্ঞামে দর্শনে "াহা নাই | অবচ্ছিন্ন চিষ্ঠার প্রকাশ গণিতে । হৃণয়ের অধিকার এতটুকু নাই বলিয় গণিত সাহিত্যের বিপরীতগামী। জীবনের কৌতুহল বহুবিস্তৃত—বিশ্বব্যাপী । সেই কৌতুহলের সহিত যেখানে হৃদয়ের যোগ আছে সাহিত্যের অধিকার সেইখানে । জটিল যন্ত্রের কাজ দেখিয়া অনেক সময় তাহা জীবস্ত বলিয়া মনে হয় । হৃদয়ের অভাবে তাহা নিম্প্রাণ যন্ত্র মাত্র । জীবনকে যন্ত্ররূপে কল্পনা করিয়া ধখন ডাহার ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করা হয় সে আলোচনাও उ१न 8दछानिक श्ब्र। exळे । জীবনের সাহিত সাহিত্যের যোগ দেখাইতে গিয়া আমরা ভুলিয়া যাই সাহিত্য প্রকৃতপক্ষে রসস্থষ্টি । ংসার আমাদের মনকে নানারূপে আন্দোলিত করে ।