পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] একতা স্থাপনের চেষ্টা করিয়াছিলেন ; কিন্তু তাহার কয়েক শতাব্দী পূর্ব হইতেই এ সকল মহারাষ্ট্ৰীয় ভকতগণ সমাজ ও অধ্যাত্মক্ষেত্রে একতা সংস্থাপনের চেষ্টা করিয়া আসিতেছিলেন। মহারাষ্ট্রের এই ধৰ্ম্মআন্দোলনকে নিছক ধৰ্ম্মান্দোলন বলিয়া বুঝিলে ভুল कब्र श्रब ।। এই ধৰ্ম্মোচ্ছ্বাস উৎসারিত হইয়াছিল জাতীয়তার মৰ্ম্মস্থল হইতে । রাষ্ট্রীয় জাগরণের সঙ্গে সঙ্গে ধৰ্ম্মপ্রচারকগণের ভিতরেও জাতীয়তার ভাব ক্রমশঃ স্বম্পষ্ট হইয়া উঠিভেছিল। রামদাসের মধ্যে আমরা ধৰ্ম্ম ও खाउँौबडी-बड़े उछब्रदिष चामर्न मूठ झ्हेब्रा खेलििब्राह দেখিতে পাই । তুকারাম এই জাতীয় আন্দোলনের ম্রোভে রামদাসের মত নিজকে ভাসাইয়া না দিলেও ইহার প্রতি যে র্তাহার আন্তরিক সহানুভূতি ছিল তাহার যথেষ্ট প্রমাণ আছে । শিবাজী যখন শিষ্যভাবে তাহার নিকট উপস্থিত, তিনি রামদাসের নাম করিয়৷ ফেরিওয়ালা Re ) তাহাকেই তাহার পক্ষে সৰ্ব্বোত্তম গুরুরূপে নির্দেশ করিয়া দিয়াছিলেন । এই কথাগুলি মনে করিলেই আমরা বুঝতে পাবিব এই আন্দোলনটি কেন সমন্বয়ের ভাবে অনুপ্রাণিত হইয়াছিল, কেন ব্রাহ্মণেরাই পৌরহিত্যের কাজে একাধিপত্য করিতেছিল এবং কেনই, বা আচার-অনুষ্ঠানগুলির খুটিনাটি তখনও বিশেষ গোড়ামির সহিত মানিয়া চল হইতেছিল। মহারাষ্ট্রীয় ভকতগণ যে-কাজের জন্য আত্মনিয়োগ করিয়াছিলেন তাহা হইতেছে জনসাধারণের ভিতর একটা জাগরণ আনয়ন এবং ঈশ্বরপ্রীতি ও ধৰ্ম্মপ্রীতির বনিয়াদের উপর জাতীয় একতা সংস্থাপন । র্তাহারা অদ্ভুত নিষ্ঠ ও একাগ্রতার সহিতই একাঙ্গে লাগিয়াছিলেন এবং ইহাতে সাফল্যও প্রাপ হইয়াছিলেন । জ্ঞানেশ্বর, নামদেব; তুকাবাম, একনাথ ও রামদাস প্রমুখ ভকতগণের প্রচারের ফলেই মহারাষ্ট্র প্রদেশে মুসলমান ধৰ্ম্ম শিকড় গাড়িতে পারে নাই । ফেরিওয়ালা শ্রীশৈলেন্দ্রনাথ ঘোষ গ্রীষ্মকালে জায়গায় জায়গায় যে-ইছামতী হেঁটে পার হতে হয়, বর্ষায় আবার তাকে দেখলে মনে মনে ভয় করতে থাকে । তখন আবার পেয়াঘাটে পয়সা দিয়ে পারে যেতে হয়। মানুষের যেতে এক পয়সা, আসতে এক পয়সা । কিন্তু গরু গাধা ঘোড়া প্রভূতি ছু-আনা, গরুর গাড়ী, পাল, ডুলি, আট আনা । এরই অজস্র বাকের একটার কোলে এই গ৷ খান । দোযেগুণে মামুধের মত ঝোপে জঙ্গলে খানায়ু-ডোবায় ফসলে জিইয়ে বঁাচার মত্ত কোনোক্রমে দাড়িয়ে আছে । তায় নাম শম্বুল । ভাল ক’রে অনুসন্ধান করলে বলে, কি জানি কি ছিল !—কেউ বলে, ওর নাম ছিল তামা, কেউ বলে সতীশ, সত্য, এমনি সব । ওর বয়েস হবে বিশ-একুশ, কিন্তু ও নিক্ষে বলে, পচিশ । ওর দেহখান যেম্নি লম্বা, তেমনি রোগা আর কালে । সকালবেলা গুড়-তেঁতুল আর র্কাচা লঙ্কা দিয়ে পাস্তা খেয়ে ও চাঙারী মাথায় বেরিয়ে পড়ে। কেঁচোড়ে চিড়ে বাতাস বেঁধে নেয়, ছুপুরের জলযোগের জন্তে । ওর মত,~~ভদ্ধর পাড়ার খদের কখন ভাল হয় না । কারণ তারা দরদস্তুর করে যত বেশী, জিনিষ কেনে তার চেয়ে ঢের কম । যাও বা কেনে, জোর ক’রে তার এমন দাম দেবে যে কিছু লাভ ত থাকেই না উন্টে লোকসান। তার উপর ধার! জাজ দেব, কাল দেব —তাগাদ ক’রে করে পায়ের তলা খইয়ে ফেল তৰু সেই-জাজ নয়, কাল আসিল! শুধু কি তাই, উঠোউঠি