পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Re8 অতগুলো চুলোর ঐ গনৃগনে আগুন, কি তামাকটাই খাব চৌপর দিন ! আগুনের জন্তে উঠে ওদের উচুনের কাছে গেল । তামাক লেজে নিজে দুটান দিয়ে ওদের ছকোয় কলকে পরিয়ে দিয়ে বললে, টানো দাদ। —ব’লেই ফিক করে একটুখানি হাসি । অত কাজের ভিড়ে তামাক সাজবার সময় ওদের , হয় ন, অথচ গলা গুকিয়ে আসে,—তাই হাতের কাছে সাজ তামাকটুকু পেয়ে গিয়ে ওরা শয়লার উপর ভারি খুশী হয়ে উঠল। শয়লা ভারি মিশুক, তাই ওদের সঙ্গে আলাপ জমতে বেশী দেরি হ’ল না। কিন্তু ওদের জোকানে বিক্রি ষত ভিড়ও তত,কাজেই বিশেষ কথাবার্তা হ’তে পায় না। ওদের তামাক টান| শেষ হ’লে কলকেট নিজের ইকোর মাথায় বসিয়ে ওর দোকানে ফিরে এল । তামাক পুড়ে গেলে, হাঁকে নামিয়ে রেখে, চৌকি আর কেরোসিন কাঠের বাক্স বাজিয়ে গান ধরে—“ওগো রাধারাণী, তোমার ভ-অ-অ-রে কেষ্টে-ও-ধন ক্টে-এ-এদে মরে, কেঁদে মরে—” ওগো তুমি এসো গো, মা-আআ-ন ভেঙে এ্যকবার এসে গে৷ ” গানের অর্থট। মনে মনে অনুভব ক'রে ও হেসে অস্থির হয়ে উঠল, হাসতে হাসতে একেবারে চোখমুখ লাল ক’রে ফেললে । অথচ প্রথম দুটো দিনে ওর মাত্র ছ-পয়সা বিক্রি হ’ল । তার জন্তে বিন্দুমাত্র দুঃখ ত ওর ছিলই না, স্বাভাবিক জানন্দেও ওর কোনো ভাবাস্তর লক্ষিত হ’ল না। সমান তালে গান বাজনা চালিয়ে যেতে লাগল। খাবারের দোকানের মালিকর ওর গান শুনে বেজায় খুশী । কাজের মধ্যে গানের স্বর ওদের ভারি ভাল লাগল। মাঝে মাঝে শয়লার দিকে চেয়ে ওরা ভাবে,—কিছুই বিক্রি নেই, অথচ এড ফুর্তি ওর আসে কোথা থেকে ! খাবারের দোকানে এদিকে বিক্রি ক্রমশই বাড়ছে ; ওরা নিজেরাই আর সামলে উঠতে পারছে নী—ভিড়ের মধ্যে কেউ পয়সা ন দিয়েই সরে পড়ে, কেউ বা একট। জুলানি দিয়ে বলে সিকি দিয়েছি, পয়সা ফেরৎ দাও, ভাড়াতাড়িতে পয়সা গুনতে ভুল হয়! শয়লারও বিক্রি নেই, তাই ওর সঙ্গে সর্ভ হ’ল, চিড়ে মুড়কী বাতাসা ও বিক্রি করবে, মোটারকম ৰখর মিলবে । শয়লা খুব প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৮ [ ०sं एठांशं, २ध्र शं७ রাজী । একদমে খানিকট হেসে নিয়ে দোকানের মালিককে বললে,—কিন্তু খুড়ো, আমি ভারি পেটুক মানুষ, হাতের কাছে খাবার রেখে চুপ ক’রে বসে থাকতে পারি না,-বিক্রিও করব গালেও ফেলব, তা ব’লে ब्रांशक्केि । ওর কথাবার্তায় ওরা একেবারে মজে গেছে । খুশী হয়ে অধিকারী বলে, আলবৎ, খাটুবে, খাবে बई कि ! সেদিনটা শয়লা খুব স্ফুর্ভি ক’রে বিক্রি করলে, কিন্তু আর চলল ন! I ও ভেবে দেখলে, খাবারের দোকানে কাজ করায় ওর মান থাকে না, তার চেয়ে নিজের ষা বিক্রি হয় সেই ভাল। এই মনে করে ও দোকানীকে বললে, আজ শরীরটা ভাল নেই খুড়ে । ব’লে নিজের দোকানে কেরোগিন কাঠের বাক্সে চেপে বসল। সেদিন মেলা খুব জমেছে, লোকের আনাগোনাও ষথেষ্ট বেড়েছে । তখনও বেলা চারটে হবে । খাবারের দোকানে একটাও লোক নেই। দোকানীরা খেয়ে দেয়ে জিরিয়ে নিচ্ছে, আবার সন্ধ্যা থেকে বিক্রি আরম্ভ হবে । শয়লা কাঠের বাক্সটার উপর ব’সে চারিদিকে চেয়ে দেখলে সবাইকারই কিছু-না-কিছু বিক্রি হচ্ছে, কেবল ওর বেলাতেই ফক্কী ! দেখলে, ওর দোকানের দিকে লোকই আসে না ! শয়লার এ-পাশে এক র্কাসারী দোকান পেতেছে । তার ও অবস্থা শয়লার মতন । শয়লা ওর দিকে চুপ ক’রে চেয়ে রইল। দেখলে কাসারী ছ-তিনটে ঘোড়ার পিঠে বাসন থলে ভৰ্ত্তি ক’রে এনেছে । ঘোড়াগুলোর পানে চেয়ে চেয়ে ওর মনে হ’ল, মাথায় ক'রে চ্যাঙারি ব’য়ে বেড়ানর চেয়ে অমূনি একটা ঘোড়া থাকলে ভারী স্থবিধে । মেলার ওদিকটায় ৰিক্রির জন্তে অনেক ঘোড়া এসেছে, তা শয়লা ওবেলা দেখে এসেছে । কিন্তু বিক্রি নেই যে এক পয়সাও ! শয়লা হঠাৎ উঠে বালনের দোকান থেকে একখানা কাসর তুলে নিয়ে, খাবারের দোকান থেকে ডালপুরীখেলার বেলনট। খপ করে তুলে নিলে। তারপর এই তিনখানা দোকানের সামনে লম্বী লম্বী পী ফেলে