পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] সারাদিন ও অস্তিfযলের দরজা এতটুকু ও ফাক করে না । সঙ্ক্যের অন্ধকার হ’লে তখন গিয়ে খাবার দিয়ে আসে । শুর আরবী সারারাত্রি ধরে খায়। তারপর রাত চারটের সময় শয়লা ঘুম ভেঙে উঠে ঘোড় বার ক’রে আনে । ঘোড়াটার স্বমুখের ও পিছনের পায়ের হাটুর উপর ক'রে চওড়া শক্ত ফিতে টান দিয়ে বাধে । তারপর ঘোড়ার পিঠে চড়ে তাকে কদম, বাঙলা প্রভৃতি সব চাল শেখায়। শুকনে খানার কাছে নিয়ে গিয়ে লাফ দিতে অভ্যাস করায় । ভোরের আলো ফোট বার আগেই ৪ আবার চোখ বেঁধে ওকে আস্তাবলে পুরে ফেলে । এমনি ক’রে দিন-পচিশেক কাটবার পর ঘোড়ার চেহারাও ফিরল জেজ ও সত্যি বাড়ল । তার চাটের ধায়ে যে-দিন আস্তাবলের একদিক্কার দেয়াল ভেঙে পড়ল, সে শয়লার একটা বড় আনন্দের দিন, ও সকল্পকে ডেকে ডেকে ব’লে বেড়াতে লাগল । পয়লা ওর মাথায় হাত বুলিয়ে পিঠে একটা খাবড়া মেরে বললে, আবুবী ! আরবী ওর গলার স্বর আর স্পৰ্শ খুব চিনেছে । মাটিতে পা ঠুকে. কান গাড়া করে, নাক ঝেড়ে আরবী সাড়া দিলে । আনন্দে শয়লা একেবারে দিশেহারা । তারপর শয়ল ঘোড় বার ক’রে দিনের বেলায় চড়তে স্থরু করলে । প্রথমট আরবী বেশ তেজের সঙ্গে ধতুকের মত ঘাড় বেকিয়ে খানিকট। কদমে, পানিকটা বাঙলায় চলল। কিন্তু আনন্দের মাত্ৰাধিক্যে শয়লার হন্তের চাৰুক আরবীর পিঠে পড়তেই এভদিনকার শিক্ষা সব গুলিয়ে গেল । থানা-ডোবা আঁদারপাদার লোকের উঠোন উৰ্দ্ধশ্বাসে পার হ’য়ে গিয়ে আরবী মাঠে পড়ল । মাঠ ছেড়ে ঝোপঝাড় ঠেলে তার সেই সতেজ দৌড় চলল। দড়ির লাগাম টেনে, আলগা ক’রে কিছুভেষ্ট শয়লা ওকে বাগে আনতে পারলে না । চার বাবলার জঙ্গল, ময়না কাটার ঝোপ, ফণী মনসার ঝাড় ঠেলে আরবীর সব্বাঙ্গ রক্তাক্ত হ’ল, শয়লার পা দুখান৷ দিয়ে ঝরঝর ক’রে রক্ত পড়ে পায়ের উপরেই শুকিয়ে গেল, তবুও আরবীর ক্ৰক্ষেপ নেই। হঠাৎ মোড় বেঁকতে গিয়ে শয়লা আৰবীর পিঠ থেকে ছিটকে পড়ল । কিন্তু चां★कर्षा, चांब्रयौe ड५कषा९ ८ष८भ cगज ।। *प्रशाब्र ফেরিওয়ালা ૨૦૧ কোমরে হাটুতে রীতিমত ঘা পেলে। নিজের পা ছুখান দেখেই ওর কান্না আসছিল । কোনোক্রমে উঠে ঘোড়ার দড়িটা ধরে ফেললে । তারপর একটা খেজুর ছড়ি ভেঙে বেদম প্রহার আরম্ভ ক’রলে । হঠাৎ থেচ লেগে আরীর বা চোখটায় ঘা লেগে গেল । স্থমুখের দ্ব-পা তুলে চিহুি শব্দে আরবী কঁদিতে লাগল। ওর চোখ দিয়ে ফোটা ফোট রক্ত গড়িয়ে নামতে দেখে শয়লা চীৎকার ক’রে কেঁদে উঠল ! ঘোড়ার কান্না আর থামে না । শমুলার বুকের ভিতর হুহু ক’রে উঠতে লাগল । গুর আর তথন নড়বার অবস্থা ছিল না, তবুও দড়িটা ধরে প্রাণপণে গায়ের দিকে ছোটবার চেষ্টা করলে । আরবী ওর পিছনে, মাথা নাড়ুজে নাড়তে চি-হি শব্দে কদতে কঁদতে ছুটে চলল । সন্ধর মুখে শয়ল গায়ে ঢুকল ডাক ছেড়ে কাদতে কঁদিতে । কোনক্রমে একটা ঘোড়া জোগাড় ক’রে তখুনি শয়ল পাচ ক্রোশ দূরে রেল ষ্টেশনের কাছে ঘোড়ার ডাক্তার ডাকতে ছুটল । সেই রাত্রেই শমুল। ত্রিশ টাকা পরচ ক’রে ফেললে । আর ৪ দশfবশ টাকা পরচ ক'রে ও গায়ের ওস্তাদদের কাছ থেকে গাছগাছড়া শিকড়বাকড় সংগ্রহ ক’রে আললে । অনেক সেবা যত্বের পর আরবী সেরে উঠল, কিন্তু চোথটা আর ফিরে পেলে না । সেই থেকে আপ্লবীব উপর ভালবাসাটা ওর যেন Cーびー (?iび5 I এর পর অনেক দিন কেটে গেছে । ঘোড়। নেক্ট, এখন গাধার অধম হ’য়ে দাড়িয়েছে । সারাদিন থাটে – শয়লার ব্যবসায় চ্যাঙারি বয়, ধান চাল চিড়ে মুড়কী বয়। সন্ধাবেল ছাড়া পেয়ে সারারাত কার ও ধানক্ষেত, কারও কড়াই ক্ষেত্র, এই ক'রে চরে থায় । পরের দিন সকালে পড়ায় ট’ল দিতে বেরিয়ে শয়ল ওকে ধরে নিয়ে আসে । ঘরে বসে ঘাল ছোল খড় খাওয়ার দিন গুর গেছে । এপন রাডে রাতে মানুষের ছোলা ভুট্টার ক্ষেতে গিয়ে ন৷ পড়তে পারলে, সমস্ত দিন উপোষ দিতে হবে, তবু শয়লা নিজের হাতে কিছুই জোগাড় ক’রে দেবে না ! হাটের দিন । আরবী আর সে শয়ণ চলেছে ঘোড়ায় চড়ে, অনেক