পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२०४-९ الم জিনিষপত্র কিন্‌বে। পথে দেখা নায়েব-মশায়ের সঙ্গে । তিনি চলেছেন কোন কাজে । এ অঞ্চলে নায়েবের ঘোড়া বিখ্যাত, যেমনি লম্বা, বড়, তেমনি চাল বাজ । শয়লা ভক্তিভরে নমস্কার ক’রে কুশল জিজ্ঞাসা করল । উনি পকেট থেকে একটা চুরুট শয়লাকে উপহার দিলেন। কাপড়ের খুটে সেট বেঁধে নিয়ে ট্যাকে গুজে রাখলে । ওর মত,—এই সব ভালফাল জিনিষের সেবা তোয়াজ ক'রে করতে হয়, এমন- ধোড়ার পিঠে छtफ़ कषन ट्ध्न ? শয়ল বললে,—নায়েব-মশাই আমাকে একটা জিনিষ দেবেন, আপনার তাতে বিশেষ লোকসান হবে না । কথাটা শেষ করবার সঙ্গে সঙ্গেই স্বাভাবিক হাসিতে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠল। न८ि%यु ट्रैट्रै प्लुन् ! ও বললে, আন্থন, আমরা ঘোড়া ছুটো অদল-বদল করি । আবার তেমনি হাসির বেগে চঞ্চল হ’য়ে উঠল । নায়েব হেসে প্রশ্ন করলেন,—ই। রে শয়লা ভোর ঘোড়াটা উত্তর দিকে চলছে, কিন্তু ওর মুখ আর সমস্ত দেহটা এখন পূবদিকে কাৎ করা যেন ও ঐ পাশের छत्रzणब्र बtषा श्रिtब छूट्रब, अथछ कि छेख्द्रब्रहें उ চলেচে,—কেন রে ? ওর ম্বে একট পা ল্যাংড়া আর এক চোখে দেখতে পায় না, শয়লা তার গল্প বললে । নায়েষ সহানুভূতি প্রকাশ ক'রে বললেন, যদি ল্যাংড়া না হ’ত তাহ’লে বেশ ভাল দরের ঘোড়া হ’ত রে । শয়লা বগলে, ল্যাংড়া তাতে কি নায়েব-মশাই, আপনার ঘোড়া আমার আরবীর সাথে ছটুতে পারবে নি । নায়েব ত হেসেই অস্থির। শয়ল। রীতিমত জেদ।জেদি আরম্ভ কয়লে রেস্ লড়বার জন্তে । নায়েবের রাজী না হয়ে উপায় ছিল না । নির্জন মধ্যাঙ্কের কাচা রাস্তা। ধূলোর কথা মনে ক’রে নায়েৰমশায়ের মন সঙ্কুচিত হয়ে উঠছিল, কিন্তু শয়লার তাগাদায় সে-সব বাছ-বিচার সহজ হ’ল না । প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৮ ( eън et, и че দুই ঘোড়া পাশাপাশি দাড়াল, একট। যেমনি স্থনর তেজী ও বড়, অপরটা তেমনি অঙ্গহীন ৰেতো এবং বেঁটে । নায়েব বললেন, তুই আমার চেয়ে পাচ হাত এগিয়ে থাকৃ। শয়লা গম্ভীরভাবে মাথা নেড়ে য'ললে,—ত কি इश्ध्र ! নায়েব বললেন, ভাল, কিন্তু প্রথম থেকেই খুব দৌড় করাবার দরকার নেই, একটু একটু ক’রে জোর বাড়ালেই হবে । ও মাথ৷ সেড়ে বললে,—ত কি হয় । ঘfর যেমন স্ববিধে । শয়লা একসঙ্গে ঘা-পচিশেক চাবুক আরবীর পিঠে কযে লাগিয়ে দিলে । এতদিন পরে আবার চাবুক খেয়ে আরবী তাঁরবেগে ছুটল । নায়েষ ঘোড়া নামিয়ে থানা দিয়ে নেমে চললেন । চীৎকার ক’রেও শম্বুলাকে খামান যায় না । অথচ আর অগ্রসর হওয়া একেবারে অসম্ভব, এমনি ধূলোর মেঘ সমস্ত পথটুকু আচ্ছন্ন ক'রে ফেলেছে । আরবী যখন আস্তে চলে তখন ল্যাংড়া পা খানা কোনোক্রমে সামূলে নেয়। কিন্তু ওকে যখন বেগে দৌড়তে হয় তখন ওই ল্যাংড়া পা-থানাই মাটিতে ঘষতে ঘষতে চলে। কাজেই কাচ রাস্তার ধুলো রীতিমত লাঙলের মত ঠ্যাল পেয়ে জেগে উঠে আকাশ বাতাস ছেয়ে ফেলে। নায়েবের চোখে মুখে নাকে ধুলো ঢুকে দম বন্ধ হবার জোগাড় হ’ল। চীৎকার ক’রে ডেকে কোনই ফল হ’ল না । অবশেষে সেই ধুলোর ভিতর দিয়ে নক্ষত্ৰবেগে ঘোড়া ছুটিয়ে শয়লার কাছে এসে ওকে ঘোড়। থামাতে বললেন, নিজের হার স্বীকার করলেন । হেসে শস্থল বললে,—দেখলেন ত বললুম, আমার আরবীর সঙ্গে দৌড়ে পারবে এমন ঘোড়া আমি এ তল্লাটে দেখি না। নায়েব হেসে সায় দিলেন । অনেক দিন পরে শয়ল সেদিন আবার আরবীকে ছোলা খেতে দিলে, গায়ে গোটাকতক থাবড়া মারলে । তারপর সন্ধ্যাবেল খেয়ে দেয়ে ভুষো মাখানো হারিকেনট।