পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૨8 * প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৮ es* छांग, २ग्न थल --مے سہی.ح=ہے.م.r- یہ جمہ م" করিয়াছে। বিপদে আপদে যার মেয়ে-জামাইকে অধি পয়সা দিয়া সাহায্য করিবার ক্ষমতা নাই, তাহার আবার মেয়ের বিবাহ দেওয়া কেন ? স্ত্রীকে কথা শুনাইতে সাহস হয় না বলিয় তাহার মেজাজ আর ণ্ড চড়িতে থাকে। স্ত্রীও ত বসিয়া খায় না ? তাহার মত স্বন্দরী স্বশিক্ষিতা মেয়ে, সারাদিন খাটিয়া খাটিয়া হাড় কালি করিয়েছে, একটা ঠিক। ঝি মাত্র তাহার সম্বল । অত আদরের মেয়ে বুচু, তাহার আয়-স্বল্ক বিদায় হইয়াছে। কাজেই এ অবস্থায় স্বযমকে আর কি করিয়া কথা শোনান চলে ? তাহা হইলে উত্তরে আবার একটার জায়গায় দশটা কথা শুনিবার জন্য প্রস্তুত থাকিতে হয় । কারণ মুষমার রূপ গুণ যতই থাক, রসনাটি বেশ তীক্ষ, সে যখন বচনবিন্যাস করে, তখন তাহার ভিতর ব্যাকরণ বা লজিকের ভুল বিশেষ বাহির করা যায় না। বড়মানুষ আত্মীয়স্বজন স্বপারিশ, করিয়৷ এই একশ’ পচিশ টাকার কাজটা করিয়া দিয়াছিল তাই, ন-হুইলে এতদিন বোধ হয় মন্মথকে সপরিবারে আত্মহত্যা করিতে হইত। এখন পৰ্য্যস্ত সংসারে মাত্র ভিনfট প্রাণী, তাই রক্ষা । ইহার ভিতর আবার “রিট্রেঞ্চমেণ্ট” ! আপিসের ছুটি হইবামাত্র টুপীট। টানিয়া লইয়। মন্মথ গট্ৰ গঢ় করিয়া বাহির হইয়া গেল। অন্তদিন বিশ্বনাথের জঙ্ক অপেক্ষা করে, তাহার সহিত গল্প করিতে করিতে খানিকট। দূর গিয়া তবে ট্রামে ওঠে, আজ আর তাহার মনুষ্য-জাভায় কোনো জীবের মুখ দেখিতেই ইচ্ছা করিতেfছল না। এতগুলা হত ভাগ। মাস্থ্য জগতে থাকিবারই বা কি প্রয়োজন ছিল যত লোকের জাহারের সংস্থান হয়, সেই ক’টা থাকিলেই ত পায়িত ? তাহা হইলে কথায় কথায় এত চাকরি যাওয়ার ভয়ে সবাই মূৰ্ছ ৰাইজ না। ভারতবর্ষে অন্ততঃ মাহুব কম নিতান্ত দরকার। এই বিষয়ে য়াড,ভাঙ্গে একটা প্রবন্ধ লিখিবে, তfহার জন্ত চোখ।-চোখ বাক্যবাণ মনে মনে সাজাহতে সাজাইতে মন্মথ বাড়ি আসিয়া পৌছিল । আগে ছোট একট। ফ্ল্যাট লইয়া বাল করিভ, এখন অস্তাষের তাড়নায় তাহারও অর্ধেকট ভাড়া দিতে হইয়াছে। একখানি ঘর মাত্র সম্বল, সেটাকে পার্টিশন कब्रिञ्चा cझाझे ७क प्लेकब्र बनिदाब्र घब्र रुडे श्झेब्रांप्रू, তাহাতেই কোনো মতে ভদ্রতা বজায় রাখিয়া চলা যাইতেছে। বায়ান্দা ছিল এক ফালি, সুষম তাহাতেই চিক্‌ খাটাইয়া রান্না-খাওয়া সব চালাইয়া লয়। টক্‌মিক্‌ কুকারের রাল্লা, হাঙ্গাম কম, জায়গাও জোড়ে কম । শয়নকক্ষে ঢুকিয়া মন্মথ টুপিট খাটের উপর ছড়িয়া ফেলিয়া দিল । বুচু বাপকে দেখিয়া ছোট গোল হাভখানি প্রসারিত করিয়া অগ্রসর হুইয়া আসিতেই তাহাকে এক ঠেলায় সরাইয়া দিল । মেয়ে ঠোঁট ফুলাইয়। কাদিয়া উঠিল । স্নবম বারান্দায় ষ্ট্রোভ জালিয়া চায়ের জল গরম করিতেছিল, মাখাট। আজ ধরিয়া আছে, কাজেই মেজাজ কিছু বিরক্ত । মেয়ের কাল্লার শব্দে তাড়াতাড়ি ঘরে আসিয় তাহাকে কোলে তুলিয়া লইয়া বলিল, “হ’ল কি আবার, এসেই মেয়েটার উপর বীরত্ব ফnাচ্ছ কেন ?” মন্মথ ঝ।ঝিয়া বলিল, “সারাদিন খেটে দম বন্ধ হয়ে আসছে, এথন মেয়ে নিয়ে সোহাগ করবার ক্ষমত। নেই ।” - স্বষম খলিল, “বাপ রে । চল বুচু আমরা যাই, অমন অরসিঞ্চেযু রসস্য নিবেদনে আমাদের কাজ নেই। ধেচে মান আর কেঁদে সোহাগ, শাস্ত্রে বারণ আছে।" মন্মথ থাটের উপর উঠিয়া বসিয়া বলিল, “খুব ত বচন ঝাড়ছ, এর পর বখন আর ছড়ি চড়বে না, তখন অভ বচন কোথা থেকে আসবে ** স্বযমা বলিল, “এই ভ্রমুখ থেকেই আসবে। কিন্তু হঠাৎ ছাড়ি চড়া বন্ধ হবে কেন r বাংলা দেশের ফুমেরের। fক পারমানেন্ট হরতাল করছে ?” মন্মথ বালল, “এখন ওপৰ বাঞ্জে রসিকতা রেথে একটু চা-ট। দেবে ? জামায় আবার সন্ধ্যাবেগ বেরুতে হবে কাজের খোজে ।” স্থবমা এতক্ষণে একটু দমিয়া গিয়া জিজ্ঞাসা করিল, "কেন, তোমার কাজের কি হ’ল ধে আবার জন্ত কাজের খোজ করবে !” মন্মথ মুখ উৎকট রকম গভীর করিয়া বলিল, “আর কাজ, কাজের দফায় ইতি। যা রিট্রেঞ্চমেন্টের ঘট। লেগেছে।”