পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

చిరిe পড়িতেছিল, খবরগুল নয়, কৰ্ম্ম খালির বিজ্ঞাপনগুলি । স্বামীকে দেখিয় বেশী খুশী হইল, না চটিল তাহা বলা শক্ত। জিজ্ঞাসা করিল, “হঠাৎ কি মনে ক’রে ? অন্ত সময় হইলে এমন শুষ্ক অভ্যর্থনায় মন্মথ চটিয়াই খুন হইত। কিন্তু কিছুকাল বৈষ্ণব-সংসর্গে বাস করিয়া তাহার মেজাজের বিশেব উন্নতি হুইয়াছে দেখা গেল । বলিল, “বলছি, আগে এক পেয়াল। চা দাও দেখি । মালপোয় আর পরমান্ন থেয়ে খেয়ে ভ ডিসপেপসিয়া ধরে গেল । চা না থেয়ে থেয়ে ক্রনিক মাথা-ধরার ব্যারাম দাড়িয়ে গেছে ।” সুষম চা আনিয়া দিল, বলিল, “এ সব অভিনয় করে লাভ হচ্ছে কিছু, না শুধু শুধু শরীরট। মাটি করছ ?” মন্মথ বলিল, “ভা শেষ অবধি না দেখে কি ক’রে বলি ? এতদিন কেউ বুড়োর কাছে ঘেসে নি, এখন আমার দেখাদেপি যত ভাগ্নে, ভাইপে, ভাগ্নী জামাই এসে জুটেছে। পিসে-মশাইয়ের শক্ত জান, সহজে টাস্বে ব’লে ত মনে হয় না । বাবাজীরাও শুকুনীর মত আগলে বসে আছে ।” স্ববমা বলিল, “পরের মরণ চিন্তা ন ক’রে, নিজের কাজের চিস্ত কর । আর দশ দিন পরেই ত তোমার ছুটি ফুরবে । তথন আপিস ‘জয়েন্‌ করবে না ?” মন্মথ বলিল, “দেখা যাঞ্চ, ব্যাপার কত দূর গড়ায় । হয়ত আরও ছুটি নিতে হতে পারে । এবার অবশ্য দিলে উইদাউটু পে' দেবে। তোমার একটু মুস্কিল হবে জার কি ? মাসখানেক চালিয়ে নিতে পারবে না ?” স্বষম ঝঙ্কার দিয়া বলিল, “তোমার টাকার আশায় আমি ত ইা করে আছি । আমার খেটে খাবার ক্ষমতা আছে ।” মন্মথ বলিল, “থাকা ত উচিত । তোমরা এত ইকোয়ালিটির দাবি কর, স্বামীর অপেক্ষায় থাকবেই বা কেন ?” স্বৰম বলিল, “কে আছে তোমার অপেক্ষায় ? বাড় হাত পা থাকৃলে আমার ভাবনাটা ছিল কি ? নিয়ে ষাও না তোমার মেয়ে, তারপর আমি উপার্জন করতে পারি कि नl cलटिम्न ििछु ।” প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৮ [ ०sं खं, २झ क्ष७ বেগতিক দেখিয়া মন্মথ অ্যর কথা বাড়াইল না । বলিল, “আচ্ছা, আচ্ছ, এক মাসের ত বড়-জোর মাম্লা, তার জন্তে অত কেন ? তার ভিতর কিছু হয়ে গেলে ত কথাই নেই । যাই, আমার আবার পিসে-মহাশয়ের জন্তে একটা হোমিওপ্যার্থী ওষুধ কিনে নিয়ে যেতে হবে ।” স্বষম একটু নরম হুইয়। বলিল, “খেয়ে যাও না ? ইলিশ মাছ আছে ।” মন্মথ জিব কাটিয়া বলিল, “আমার তপোভঙ্গ কোরে। ন, মুখে পেয়াজের গন্ধ পেলে লোচন বাবাজী আর রক্ষে রাখবে । ভগবান দিন দেন ত মুরগী ছাড়া একমাস আর কিছু খাবই না।” বুচকে আদর করিয়া সে চলিয়া C 1 - পিসে-মশাইয়ের অস্থখ কিছুতেই বাগ মানিতেছিল না । নিরামিষ আহার ও নিরামিষ ঔষধের গুণে রোগট। র্তাহাকে একেবারে শেষ করিয়া ফেলিবার স্থবিধা পাষ্টজেছিল না । তবে সারিয়া উঠিবেন যে, সে সম্ভাবনাও বিশেষ ছিল না, কারণ চারিদিকেই শুভাকাঙ্ক্ষীর দল । পথ্যের সঙ্গে কত কি ষে বুদ্ধের পেটে ষাইত, তাহার ঠিকানা নাই, হোমিওপ্যার্থী ঔষধ বাড়িতে অনবরত আমদানি হইত বটে, তবে তাহার পেটে যাইত শুধু জল । আত্মীয়, অনাত্মীয় সকলেই যেন মরিয়া হইয়া উঠিয়া ছিল । পিসে-মশায়ের দিদিমাকে স্মরণ করিয়া আরও তাহাদের বুক দমিয়া যাইত। পাড়ার একজন উকীলকে প্রায়ই ছুতানাতা করিয়া পিসে-মশায়ের ঘরে পাঠাইয় দেওয়া হইত, কিন্তু উইল করিতে তিনি মোটেই রাজী হইতেন না । বলিতেন, “আমাদের গুঠির পক্ষে পয়ষটি আবার একটা বয়স ? এখনও বিশ বছর আমার বাল-. গোপালের সেবা করে যাব ।” মন্মথ ঔষধ লইয়া ফিরিবার পথে মাথাটা একেবারে কামাইয়া ফেলিল। তাহার পর গঙ্গাস্বান করিয়া ফিরিয়া চলিল। ঔষধটা ফেলিয়া শিশিতে জল ভরিয়া লইল । বাড়ি পৌছিয়া দেখিল মহা হুলস্থূল ব্যাপার। পিসে-মশায় ভয়ানক উত্তেজিত হইয়া উঠিয়াছেন, কিছু খাইতেছেন না, কাহাকেও ঘরে ঢুকিতে দিতেছেন না।