পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

واeه প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৮ ৩১শ ভাগ, ২য় খণ্ড একটি মন্দির দেখিলে তাহা বেশ বুঝ। যাইবে । উল্লিখিত মন্দিরে পুরাতন রীতির সহিত নূতন রীতি একত্র মিশিয়া একটি বিfচত্র কিন্তু কদৰ্য্য বস্তুর স্বষ্টি করিয়াছে । এতক্ষণ আমরা যে রেপ ও ভদ্র-দেউলের অালোচনা করিলাম, তাহা ছাড়াও অপর একপ্রকার মন্দির নিৰ্ম্মাণের রীতি বোধ হয় মধ্য-ভারতে প্রচলিত ছিল । ওঁকারেশ্বরের মন্দিরটি তাছার প্রমাণ। ওঁকারেশ্বর ইন্দোয় হইতে কিছু দক্ষিণে নম্মদার তীরে অবস্থিত। এখানে খাটি রেখ শৈলীর অনেকগুলি পুরাতন মন্দির থাকিলেও, ওঁকারেশ্বর মহাদেবের মন্দিরটি একটি বিচিত্ৰ শৈলীতে গঠিত। বৰ্ত্তমান প্রবন্ধে ইহার বিস্তৃত আলোচনা অপ্রাসঙ্গিক হইবে । ওঁকারেশ্বর ভিন্ন উজ্জয়িনীর মহাকালের মন্দিরটিও একটি বিচিত্র ধরণের । ইহার মস্তক রেখ-দেউলের মত, কিন্তু গণ্ডীর গড়ন ভদ্রের মত, পিরামিড আকৃতি । গায়ে আবার কোথাও কোথাও গৌড়ীয় শৈলীর গবাক্ষ স্থাপিত হইয়াছে । ইহা এত মিশ্র গঠনের যে কোন খাটি মন্দির নিৰ্ম্মাণ রীতির মধ্যে ইহাকে স্থান দেওয়া কঠিন । মুসলমানগণের দ্বারা উত্তর-ভারত-বিজয়ের পরে পুনরায় যখন হিন্দুগণ স্বীয় আধিপত্য স্থাপন করিতে লাগিলেন তখন শিল্পেরু ধাৰা ছিন্নভিন্ন হইয়া গিয়াছিল বলিয়া এইরূপে বছ. মিশ্র ও শিল্পের দিক হইতে অসম্বন্ধ ও অন্বন্দর গড়নের মন্দির রচিত হয়। ওঁক(রেশ্বর ও মহাকালের মন্দিরের মত তাহার নানা অদ্ভুত ধরণের হইলেও তাহাম্বের এই বৈচিত্র্যের মধ্যে শিল্পীর স্বষ্টিশক্তির বৈচিত্রা প্রকাশ পায় না । কিন্তু মধ্য-ভারতের শিল্পধারা যখন সভাই, স্বাস্থ্যবান ও সুন্দর ছিল, তখনকার বৈচিত্র্যের মধ্যে মন সতত আরাম পায় ও প্রফুল্প হইয় উঠে। ঐক্কপ সময়ে রচিত খাজুবাহোর ঘণ্টাই দেউল দেখিলে, মন সত্যই আনন্দে ভরিয়া যায় । ঘণ্টাই-দেউল প্রচলিত রেখ, ভদ্র প্রভৃতি ফোনও শৈলীর অন্তর্গত নহে। ইহা কি জন্য, কবে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল তাহাও জানা নাই । মন্দিরের স্তম্ভগাত্রে অনেকগুলি ছোট ছোট ঘণ্টার প্রতিকৃতি আছে বলিয়া স্থানীয় লোকে ইহাকে ঘণ্টাই নাম দিয়াছে। মন্দিরটির গঠনে এমন একটি স্বচারু মনের পরিচয় পাওয়া যায় যে, ইহার রচয়িতাকে স্বতঃই অন্তর হইতে ধন্যবাদ দিতে ইচ্ছ। করে }