পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

في ، له الألة الجة هد ‘গীত Y& বুঝিলে তাহার সমস্ত কষ্টের নিবৃত্তি হইবে । এ অতি আশ্চৰ্য্য কথা । তুমি ভিক্ষুক হও, পরের দাস হও, রোগী झe, ८ङां★ौ श्रुe, धनवांन इe, षांशहे इe न ८कन, ७ब६ যে-অবস্থাতেই থাক না কেন, গীতার মৰ্ম্ম উপলব্ধি করিলে তোমাকে কোন কষ্ট স্পর্শ করিতে পারিবে না। স্বল্প উপলব্ধিতেও অনেক লাভ । সংসারে যতপ্রকার কষ্ট আছে, কোন অবস্থায় তাহাদের সকলগুলি প্রকট হয়—প্রশ্ন উঠিলে বলা যায় যে যুদ্ধ । যুদ্ধে অঙ্গহানির সম্ভাবনা ; রোগ শোক মৃত্যু ত আছেই, তাহা ছাড়াও বাহা কিছু মানুষের প্রির, সমাজের যাহা কিছু কল্যাণকর বন্ধন, সমস্তই বিপৰ্য্যস্ত হইয়া যায় । এমন কোনও কষ্টই আমরা কল্পনায় অনিতে পারি না যাহা যুদ্ধের ফলে উৎপন্ন না হইতে পারে । যে-বাক্তি যুদ্ধে লিপ্ত হয়, সে নিজে ত এই সকল কষ্টভোগ করিতেই পারে, পরন্থ অন্তকেও এই সকল দুঃখ-কষ্টের অংশীদায় করে । অতএব এক কথায় যুদ্ধের মত দুঃখের ব্যাপার আর কিছুই নাই। এমত অবস্থায় পড়িয়াও যদি দুঃখনিবৃত্তি সম্ভব হয়, তবে সৰ্ব্বাবস্থাতেই তাঙ্গ সম্ভব। এইজন্তই গীতাকার যুদ্ধের অবতারণা করিয়াছেন । মহাভারতের যুদ্ধ বহুকাল পূৰ্ব্বে হইলেও গীতার উপদেশ সৰ্ব্বব্যক্তির পক্ষে সর্বাবস্থায় প্রযোজ্য । আত্মকথা ংস্কৃত ভাযায় আমার অধিকার অল্প ; এত অল্প যে তাহার দ্বারা গীতার মূল সংস্কৃত বুঝিয়া ব্যাখ্যা করা কঠিন । সুতরাং প্রধানতঃ টাকাটিপ্পনী, ভাষ্য প্রভৃতির উপর নির্ভর করিয়াই গীতার ব্যাখ্যা লিখিতে হইয়াছে। এরূপক্ষেত্রে অনেকস্থলে ভুলভ্রাস্তি থাকা স্বাভাবিক। গীতার ব্যাখ্যার অন্ত নাই ; গদ্যে পদ্যে গীতার অসংখ্য ব্যাখ্যা দেখা যায়, তাহাদের প্রত্যেকটির মধ্যেই সাম্প্রদায়িকতা বা গোড়ামির ছাপ বৰ্ত্তমান । অর্থাৎ গীতার টীকাকার যে-মার্গের উপাসক, ব্যাখ্যায় তিনি সেই মাগকেই প্রাধান্ত দিয়া থাকেন । ভক্তিমাগের উপাসক হুইলে তিনি ভক্তিমাৰ্গকে, অথবা জ্ঞানমার্গের উপাসক হইলে জ্ঞানমার্গকেই প্রাধান্ত দিবেন। যদিও সকলেই নিজ নিজ সম্প্রদায়গত শ্রেষ্ঠত্ব স্পষ্টভাবে নিজের ব্যাখ্যাতে প্রতিপন্ন করেন না, তথাপি তাহাজের লেখার মধ্যে প্রায়ই সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ থাকিয়া যায়। যুক্তিবাদীর পক্ষে এরূপ ব্যাখ্যা বিশেষ আদরণীয় হইতে পারে না। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও সাম্প্রদায়িকতাবর্জিত ব্যাখ্যাই সত্যসন্ধিৎস্থর আদর্শ। গীতাকার ঠিক কি বলিয়াছেন, আমরা তাহাই জানিতে চাই । এই ধরণের নিরপেক্ষ ব্যাখ্যায় সৰ্ব্বপ্রথম হুস্তক্ষেপ করেন স্বর্গগত বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় । কিন্তু তাহার ব্যাখ্যার প্রথমাংশে যে উৎকর্ষ ও বিশেষত্বের পরিচয় পাওয়া যায়, শেষ পৰ্য্যস্ত তাহা রক্ষিত হয় নাই । মনোবিদ্যার দিক হইতে আমি গীতার আলোচনায় প্রবৃত্ত হই । যুক্তিবাদকে ভিত্তি করিয়া গীতার আলোচনাই আমার উদ্দেশু, সুতরাং আমার এই ব্যাখ্যা যথাসম্ভব নিরপেক্ষ ও সাম্প্রদায়িকতা দোষযৰ্জিত হইবার কথা । ধৰ্ম্মভাব-প্রণোদিত হইয়া আমি এই ব্যাখ্যায় প্রবৃত্ত হই নাই ; তবে আমার ব্যাখ্যা যে অন্য দোষে দুষ্ট নহে, একথাও বলিতে পারি না । গীতায় এমন অনেক তথ্য আছে, যাহা মনোবিদ্যার দিক হইতে অত্যন্ত মূল্যবান। গীতার সর্বত্রই একটা সঙ্গতির অবিচ্ছিন্ন ধারা দেখিতে চেষ্টা করিয়াছি। প্রত্যেক পূৰ্ব্ববর্তী ও পরবর্তী অধ্যায়ের মধ্যেও এই সঙ্গতি বিদ্যমান। এই সঙ্গতিই যেন গীতার প্রাণ । যেখানে এই সঙ্গতি উপলব্ধ হইয়াছে, সেইখানেই বুঝিতে হুইবে গীতার ব্যাখ্যা মোটামুটি নিতুল । সত্যসন্ধিৎসা লইয়া গীতার ব্যাখ্যায় হস্তক্ষেপ করিলে দেখা যায়, এমন কভকগুলি শ্লোক আছে, যাহার অর্থ বুঝা কঠিন। আপাতদৃষ্টিভে এই সকল শ্লোক কবিকল্পনা, বা অনর্থক কষ্টকল্পনা বলিয়া মনে হয় । যেমন, অগ্নির্জ্যোতিরন্থঃ শুক্লঃ ধগ্নাসা উত্তরায়ণমূ। তত্ৰ প্ৰয়াতা গচ্ছস্তি ব্ৰহ্ম ব্ৰহ্মাবিদে জনা: ॥ ৮২৪ উত্তরায়ণে মৃত্যু হইলে একরূপ গতি এবং দক্ষিণায়ণে মৃত্যু হইলে অন্তরূপ গতি কেন হইবে, আর যে-ষে ভাবে হইবে বর্ণিত হইয়াছে, তাহার কোন প্রমাণ পাই না । তিলক মহোদয় তাহার গ্রন্থে দেখাইয়াছেন যে, এই