পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬ প্রবাসী—কাত্তিক, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ২য় খণ্ড বিশ্বাস বহুকাল হইতে চলিয়া আসিতেছে । শ্লোকটির অবহু নানারূপ ব্যাখ্যা হইতে পারে। যথা :– ( ১ ) রূপক ব্যাখ্যা— "ধূমরূপ বাসনা-বিরহিত, নিশ্চল এবং জ্যোতিঃস্বরূপ যে মন, তাহাই ‘অগ্নিজ্যোতি’ নামে অভিহিত । দিবস সদৃশ প্রকাশময় যে জ্ঞানে নিরস্তর জাগৃতি, তাহাই ‘অহঃ’ শব্দদ্বারা আখ্যাত শুক্লপক্ষীয় রাত্রির নির্শ্বল ও শাস্ত চন্দ্রিকার স্কায় মনের যে অবস্থা, তাহাই এস্থলে ‘শুক্লপক্ষ । চিত্তের পূর্ণ জ্ঞানময় অবস্থা এস্থলে “ষত্মাসা উত্তরায়ণ’ শব্দের ব্যবহার দ্বারা উদ্দিষ্ট ।” এই রূপক ব্যাখ্যার বিরুদ্ধে কতকগুলি কথা বলা ঘায় । হঠাৎ গীতাকার কেন রূপকের আবরণে র্তাহার বক্তব্য ঢাকিলেন তাহা বুঝা যায় না । ইহার পূর্ববর্তী শ্লোকে “যত্রকালে---” ইত্যাদি বলা হইয়াছে । ‘কালে’র অর্থ ‘সময়’—"চিত্ত অবস্থ। নহে । সুতরাং রূপক ব্যাখ্যা সমীচীন নহে । ( ২ ) আক্ষরিক ব্যাখ্যা – এইরূপ ব্যাপ্যায়, গীতাকারের মতে উত্তরায়ণে মরিলে ব্ৰহ্মলাভ হয় মানিয়; লইতে হয় । যুক্তির দিক দিয়া একথা আমরা সহজে স্বীকার করিতে পারি না । স্বতরাং মনে হয়. ইহা কবি-কল্পনা, অথবা তৎকালীন সাধারণ বিশ্বাসের সমর্থনে কষ্টকল্পনা । ( ৩ ) অলৌকিক ব্যাখ্যা – এইরূপ মরিলে সত্যঙ্গ ব্ৰহ্মলাভ হয় । তবে তুমি আমি একথা বুঝিতে পারিব না। ধোগবলে এই সভ্য পাওয়া গিয়াছে, এবং স্বয়ং ভগবান যখন গীতায় একথা বলিয়াছেন, তখন তোমাকে একথা মানিতেই হইবে । ৰোগ-বল জন্মিলে একথার সত্যত উপলব্ধি করিতে পারিবে । (৪) শ্লোকটি কষ্টকল্পনা বা কবিকল্পনী—এরূপ মানিয়া লইতেও বাধা আছে । যিনি গীতায় অসামান্ত প্রতিভার পরিচয় দিয়াছেন, সেই গীতাকার যে হঠাৎ একটা গাঁজাখুরি কথা বলিবেন, একথা বিশ্বাস করা দুরূহ। অবশু একদিকে অলৌকিক জ্ঞান, অপরদিকে প্রাস্ত কুসংস্কারের একত্র সমাবেশ যে একেবারে অসম্ভব, তাহাও নহে । উপরের কথাগুলি মনে রাখিয়া যুক্তিবাদীর পক্ষে “শ্লোকটির অর্থ বুঝিতে পারিলাম না” বলাই সঙ্গত। যেখানে আমি যুক্তিবিচারের সহিত অর্থসঙ্গতি করিতে পারি নাই, সেখানেই আমি এরূপ মন্তব্য করিব । আশা করি, ভবিষ্যতে কেহ শ্লোকগুলির সঙ্গত ব্যাখ্যা দিতে পারিবেন। ব্যাথা শুধু কথার মানে নহে। কেন কথাটি বলা হইল, পূৰ্ব্ব বা পরের শ্লোকের সহিত ইহার সঙ্গতিই বা কি, বিষয়টি যুক্তিসহ কি না, এই সমস্ত আলোচনাই ব্যাখ্যার বিষয়ীভূত । গীতার অলৌকিক অংশ বাদ দিলেও গীতাকারের উপদেশ বুঝিতে কিছু অন্ধবিধা হয় না। গীতায় কোন কোন শ্লোক বা অংশ আমি ভালরূপ বুঝিতে পারি নাই। তাহা বুঝিতে হয়ত অধিকতর পাণ্ডিত্যের প্রয়োজন, অথবা তাহাদের অর্থ ধোগবল ভিন্ন উপলব্ধ হয় না। এরূপ ক্ষেত্রে আমি কোন ব্যাখ্যাই প্রদান করিব না । ব্যাথ্যাকালে আমি নিম্নলিখিত পদ্ধতি বিশেষ ভাবে অনুসরণ করিয়াছি :– (ক) যেখানে কোন শ্লোকের একাধিক ব্যাথ। সম্ভব, সেখানে অপেক্ষণকৃত সহজ ও সাধারণের বোধগম্য ব্যাখ্যাই গ্রহণ করিয়াছি, কারণ আমার বিশ্বাস, গত জনসাধারণের জন্তই লিথিত হইয়াছে, এবং গীতাকারের সাধারণের উপযোগ করিয়া লিখিবার যোগ্যতার অভাব ছিল না । (খ) যেখানে কোন শ্লোকের ব্যাখ্যা অন্তান্ত শ্লোকের বিরোধী মনে হইয়াছে, আমি সেক্ষেত্রে ব্যাখ্যা ভ্রান্ত বলিয়া বজ্জন করিয়াছি । (গ) বে ব্যাখ্যাতে সঙ্গতির অভাব লক্ষ্য করিয়াছি, তাহা বর্জন করিয়াছি । (ঘ) কোনও অলৌকিক ব্যাখ্যা গ্রহণ করি নাই।*

  • বাংলা গদ্য অম্বুবাদ নানাস্থান হইতে সংগ্ৰছ করিয়াছি ; কতক আমার পূজ্যপাদ খুল্লতাত ৮শরদিন্দু মিত্র মহাশয়ের ছুশ্ৰাগ্য 'किानन्मा गैंड।' इश्८छ श्रृंशोछ : किङ्क चाभाग्न णिङ्घरक्ष vsञ्चप्लषब्र दशग्न, किडू कविवब्र नदीनाथ cनप्नब्र, वॉकी जात्राब्र निप्छब्र । cझारकब्र बोक्रब्रिक भश्चाष्ट्रवाष जामाब्र अअब चैयूरु রাজশেখর বস্ব কৃত। মূল শ্লোকের যতপ্রকার ব্যাখ্যা হওয়া সম্ভব, अत्रूबारमब्र७ ठठवकीब्र बTाथn कब्र जखव,-दॆशई बांब* ॥ অবগু এ আদর্শ সব লোকে অক্ষুধ আছে,-এরূপ বলিতে পারি না।