পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] TTAAA SAAAA SASAASAASAASAAAS কি ভাবে নকল দিতে হবে । নিজের স্বাধীন ইচ্ছে খাটাতে গেলেই গলদ । চোখে পড়লে আমাদের ধমকে ধমকে শুধরে দিতে হবে। - বেশ ত আজকের এই দুটো ব্যাপারই এখন টাটকা রয়েচে,—এই দুটো নিয়েই আরম্ভ করা যাক্‌ ” বাদল মার কাছে ঘেষিয়া দাড়াইয়া, মুখে চারিটি আঙুল পুরিয়া দিয়া অপরাধীর মত নিজের কীৰ্ত্তিকাহিনী শুনিতেছিল, আমি হাতটা ধরিয়া সামনে দাড় করাইয়া চোথ মুখ কুঞ্চিত করিয়া বলিলাম—“বাদল ।” আজ ঝে কিটা বড় বেশী পড়িয়াছে, বাদলের ঠোট দুটি ঈষৎ কঁাপিয়া উঠিল। কিন্তু সামলাইয়া লইয়া মার ভাবগতিকটা লক্ষ্য করিবার জন্য র্তাহার মুখের দিকে চাহিল। বিষন্ন মুখ, সামলাইয়া-লঙয়া-কান্নার দুটি বিন্দু অশ্র চক্ষে ঠেলিয়া আসিয়াছে। আস্তে আস্তে ডাকিল “নিন্নি ?” ব্যস, মা গলিয়া গেলেন । তাড়াতাড়ি কোলে তুলিয়া লইয়া, আদরে চুম্বনে যতক্ষণ না মুখটাতে হাসি ফুটাইতে পারিলেন ততক্ষণ নিরস্ত হইলেন না। আমি নিরাশ হইয়া বলিলাম—“ঐ, স—ব মাটি করলে –কি, না একটু “গিল্পী’ বলে ডেকেচে । মনের ওপর নিজের দোষের জ্ঞানটি দিব্যি জমে আসছিল—তুমি সব ভেস্তে দিলে । ঐ জিনিষটি হচ্চে অতুজ্ঞাপের অঙ্কর । তোমরা নষ্ট ক’রচ ওকে—তুমি আর দাদা মিলে.” মা ধমক দিয়া উঠিলেন—“ক্ষ্যাম দে বাপু, ঐটুকু ছেলের না-কি আবার অন্যতাপ, প্রাক্ষিত্তির-অমুস্কুলে কথা শোন একবার। করে নিক যত দুষ্টুমি করবে ও—শেষ পৰ্য্যস্ত একটা মহাপুরুষ হবেই ব’লে দিচ্ছি । --তোরা সব লক্ষণ চিনিস না...” এই অবস্থা। চুপ করিয়া ভাবিতে থাকি ; দুঃখ হয় –এর বিজ্ঞানের দিক্ দিয়া ঘেষেন না, মেথড, বোঝেন न-हेनि च्षांब्र नाना ।। ५-विषाञ्च शालांब्र शांफ्जिठि আরও মারাত্মক, কেন-ন, তিনি আবার বিচার এবং শাসনের অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সেটা প্রকাশ করেন । করতে হবে -আমাদেরই বেছে দেখিয়ে বাদল ર কোর্ট থেকে আসার সঙ্গে সঙ্গে দাদার ঘরে তাহার দৈনন্দিন ঘরোয় কোর্ট বসিয়া গিয়াছে। এক পাল বাদী —রাণু, আভা, ভোম্বল, রেখা—আরও সব। ফরিয়াদী মাত্র একটি,—বাদল। সে বিচার-পদ্ধতির সনাতন ধারা লঙ্ঘন করিয়া জজের কোলে বসিয়া লেবেঞ্চুস খাইতেছে এবং অবসর-মত মাথ! সঞ্চালন করিয়া কি একটা স্বর ভাজিতেছে । নানা রকম ছোট বড় নালিসের চোটে ঘরের মধ্যে হট্টগোল পড়িয়া গিয়াছে। রাণুর হাতে দাতের ছাপ, আভার মাথা-ভাঙা কাচের পুতুল, রেখার ছেড়া বই —ভোম্বলের ছেড়া চুল—এক প্রলয় কাও ! চৌকাঠের বাহিরে লুলীও তাহার-পাচটি নিরীহ, বিপন্ন, অত্যাচারগ্রস্ত শাবক পাশে লষ্টয়া দীন নয়নে বিচারাসনের দিকে চাহিয়া আছে । দেখিলে এক একবার মনে হয় বটে তাহার সপরিবারে ঐ লেবেঞ্চলটির দিকে লোভ ; কিন্তু সে বেচারি ছাপোষা, সে বাদলের অত্যাচারে উদ্ধান্তু হইয়া স্কায়ের দ্বারস্থ হইয়াছে, এ অনুমানেও কোন বাধা দেখি না । এমন জবরদস্ত মোকদ্দমা দাদা ছ-কখয়ে শেষ কারয়া দিলেন। পকেট হইতে কাগজে মোড়া খানচার-পাচ বিস্কুট বাহির করিয়া ফরিয়াদীকে প্রশ্ন করিলেন, —“এগুলো সমস্ত পেলে আর দুইমি করবে না, বাদল ?” আমি হাসিয়া বলিলাম—“মন্দ বিচার নয় । আমারও একটু দুষ্টুমি করবার লোভ হচ্ছে। কাল আবার ছঃমি করলে জরিমানার পরিমাণ ডবল হয়ে যাবে ত ?” দাদা বলিলেন,-“ও, এই-সব করেচে ব’লে বিশ্বাস হয় ?—ওর চোখ দু’টো দেখ, দিঙ্কিন।” বেটে, চওড়া চওড়া গড়ন, একটু ঘাড়ে-গৰ্দ্দানে ; — আর এই রকম ধড়ের উপর প্রকাগু একটা মাখা,— এগুলো সবাই বাদলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়। কিন্তু বড় বড় ভাসা ভাল চোখ দুটি সত্যই একটু গোল বাধায় বটে—যদি বাদলের সঙ্গে অষ্টপ্রহর পরিচয় না থাকে। আর সে রকম পরিচয় দাদার বড় একটা নাই-ও।