পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩৮ [ ०sं खं, २ंश्च, श्७ দাদা জামায় কি একটা বলিতে যাইতেছিলেন ; অন্যমনস্কভাবে উত্তর করিলেন—“হ্যা, লুসী, আমি যতদুর দেখচি, শৈলেন--” বাদল স্বাধ-খাওয়া বিস্কুটট লুসীর দিকে বাড়াইয়। ডাকিল—“আঃ আঃ * লুস আপনার বাচ্চাগুলিকে ঘাড়পিঠ হইতে ঝাড়িয়া দিয়া লেজ নাড়িতে নাড়িতে উপস্থিত হইল । দাদা বলিয়া যাইতেছিলেন—“এক্ট ত গ্রামে নিজেদের মধ্যে সম্ভাব-দল পাকাতে পেলে সব ছেড়ে তাক্টতে মেতে উঠে—কতটা দুঃখের বিষয় বল ভ. তুই হাসচিস যে ?” আমার দৃষ্টি অনুসরণ করিয়া তিনিও সজোরে কাসিয়া উঠিলেন। বাদল তাছার বিচারের ক্ৰটিটুকু পূরণ করিয়া দু-হাতে ছটি কান ধরিয়া লুসীর সামনের থাবা দুটির উপর মাথা দিয়া পড়িয়া আছে এবং লুসী তাহার দীর্ঘ জিহবা দিয়া পরম ক্ষমাভরে তাহার মাথা পিঠ চাটিয়া চাটিয়া একশা করিয়া দিতেছে--- দাদার বিচারের সদ্য সদ্য আলোচনা করিবার এমন চমৎকার সুযোগটা আমি নষ্ট হইতে দিলাম না । হাসিতে হাসিতেই বলিলাম – “তোমার বিচারের ফাসটি ঘেটুকু অসম্পূর্ণ ছিল, বাদল নিখুঁতভাবে সেট। পূরিয়ে দিলে, দ্বাদ ।” ఛి _ পরের দিন সকালে দাদার ঘরে বাদলের কথা হইতেছিল। মা বলিতেছিলেন—“ওর ত সৰ্ব্বজীবে সমান ব্যবহার হবেই—ও সর লক্ষণই আলাদা স্থির হয়ে এক এক সময় যখন ব’সে থাকে ঠিক পরমহংসদেবের মত মুখের ভাবটি হয় দেখিস না ?--তিনিও নিশ্চয় ছেলেবেলায় ঠিক আমনটি ছিলেন । আর তা ছাড়া আমন একটা বড় তীর্থে জন্মেচে–ও একটা মহাপুরুষ না হয়ে যায় না,—তোরা সব-২” • * , এমন সময় বারাঙ্গায় চটাল করিয়া একটা প্রচও চড়ের আওয়াজ হইল, জার সঙ্গে সঙ্গে বাদলের ভূকরাইয় -কাদিয়া উঠিবার আওয়াজ । * = মা তাড়াতাড়ি বাহিরে গিয়া ধমকাইয়া উঠিলেন— “ও কি বউমা, ছেলের গায়ে হাত ?—আর ঐ রকম . হাত ! দিন-দিন ষে কষাই হয়ে উঠছ ..”. বৌমার চাপা গলায় ক্রুদ্ধ স্বর শোনা যাইতে লাগিল— “আমি ত আর এই ডানপিটে চোরকে নিয়ে পারি না মা ; দেখবে চল, রান্নাঘরে কি কাগুটী করেচে হতচ্ছাড়া ছেলে * - দৃশ্নটি নিশ্চয় খুবই মনোজ্ঞ, সবাই উৎস্ককভাবে উঠিয়া গেলাম।—সরেজমিনে বাদল মুখের মধো চারিটি আঙল দিয়া দাড়াইয়া আছে—দুই হাতের কল্পই পৰ্য্যস্ত ঝোলে সবুজ হইয়া গিয়াছে—বাম হাতের মুঠোর মধ্যে একমুঠো মাছ। কান্না থামিয়া গিয়াছে ; কিন্তু তখনও তাহার মাকে অতিক্রম করিয়া এদিকে আসিয়া পডিবার মত সাহস জোগাইয়া ওঠে নাই । দাদা একেবারে হো-হো করিয়া হাসিয়া উঠিলেন— "ঙম, তোমার সাধুপুরুষের সর্বজীবে সমভাবের আর একটা নমুনা দেখ—এইখানে এস-ঐ জলের টরটার আড়ালে ?” সেখানটা হঠাৎ কাহারও দৃষ্টি যায় না, আর বাদল কিংবা লুসী ভিন্ন কেহ প্রয়োগ করিতেও পারে না । সেই অন্ধকার কোণে ঝকৃঝকে একখানি ব্লেকাবীতে আধ সের পরিমাণ মাছের মুড়া একটা—রেকবীর এধারে ওধারে কাটাকুট দু-একটা পড়িয়া আছে —লুলী আরম্ভ করিয়াছিল—এখন সভয়ে গুটিস্কটি মারিয়া দীন নয়নে আমাদের মুখেয় দিকে চাহিয়া আছে। দাদা হাসিতে হাসিতে রাঙা হইয়া উঠিয়াছিলেন, বলিলেন—“আবার মাজা রেকারীতে তোম্বাজ ক’রে - ও বাদল, ওটি আমাদের নাত-বে। নাকি ?” দার্শনিক হিসাবে বাদল একজন স্ববিধাবাদী। বুঝিল আর দেরি করা নয়। যেন মন্ত একটা ইয়ারকি চলিতেছে—যাহার মর্শ্ব স্বধু দাদা আর সে বোঝে—এই ভাবে দাদার পানে চাহিয়া—“নাত-বো ।” বলিয়া খুব বড় করিয়া একগাল হাসিয়া পা বাড়াইল, কিন্তু আবার गर्न शाक्हे उाशब्र भाब्र cघ्राप्थच्न निप्क, नबढ़ भग्नाब থমকিয় মুখে চারিটি জাঙল পূরিয়া দাড়াইয়া পড়িল।