পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] SATAeMMAMMAMAAA AAAASAAASAAA MMMAMAAA AAAA SAAAAAMAMAAA AAAA AAAA AAAA S S --- -م - یہ م ---- ... আমি এটিকে নিছক একটি দৈব সুযোগ বলিয়। খরিয়া লইলাম। অপরাধটি একেবারে নূতন, কেন-ন, বাবা কখনও নল বাfহরে ছাড়িয়া যান না,—কেমন ভূল হষ্টয়া গিয়াছে —দামী রবারের নল, এপানে পাওয়৷ যায় না ; তাহার অত্যন্ত হেফাজতের জিনিষ । এই অপরাধটিকে ভিত্ত্বি করিয়া শিক্ষা আরম্ভ করিয়া দেওয়া যাক । এখন থেকেই অপরাধের গুরুত্বটি মাথার মধ্যে এমন করিয়া সাদ করাইয়া দিতে হক্টবে যেন এ জাতীয় অপরাধ সমস্ত জীবনে আর না করে--- নিজের ঘরে লইয়। আসিয়া বাদলকে একখানি মাদ্বরে বসাইলাম এবং সামনে একটি টুলের উপর নলক্ষদ্ধ গড়গড়াটি বসাইয়। রাখিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম —“ঐ দেখ, আর মুখ দিবি ওটাতে ?” এ নূতন ধরণের অভিজ্ঞতায় বাদল একেবারে হুকৃচকিয়া গিয়াছিল ; আস্তে আস্তে ধাড় নাড়িল । “ঠিক ঐ ভাবে বসে থাক,—বজ্জং কোথাকার”— বলিয়। আমি শেলফ হইতে একটা বই টানিয়া লইয়া বিছানায় শুষ্টয়া পড়িতে লাগিলাম । একটু পরে আবার ফিরিয়া তাকাইলাম,—বাদল জড়ভরতের মত ঠায় সেই ভাবে বসিয়া আছে । জিজ্ঞাসা করিলাম—"দিবি আর মুখ ওটাতে "...পেরেকের মাথায় একটি একটি করিয়া ঘা দেওয়া হইতেছে--- সেইরকম মাথা নাড়িল—“না ।” “বসে থাকু ঠিক ঐভাবে,—ঐদিকে চেয়ে---” বইয়ে ঠিক এই ধরণের চিকিৎসার কথা লিপিতেছে ; সেইখানটা খুলিয়া পড়িতে লাগিলাম।—বলিতেছে—সাজা কড়া হুইবার কোন দরকার নাই ; একটি গাম্ভীর্য্যের আবহাওয়া হষ্টি করিয়া দোবের গুরুত্বটা মাথার মধ্যে অল্পে অল্পে প্রবেশ করাইয়া দিতে হইবে । বার্লিনের পাচটি ছশ্চিকিৎস্য শিশুর কেস দেওয়া আছে ; রীতিমত রেকর্ড রাখিয়া দেখা গিয়াছে সাত বৎসরের মধ্যে তাহার সে দোব আর করে নাই—অথচ সব জাৰ্ম্মাণ বাচ্ছ। ! বিবৃতিটি এতই চিত্তাকর্ষক ধে, চোখ ফেরান যায় ন । পড়িতে পড়িতেই থাকিয়৷ থাকিয়া তিন চার বার প্রশ্ন করিলাম—“জার দিবি মুখ ওতে ?” दोङ्गल २6 উত্তর নাই,—বুঝিডেছি সেই রকম ভাবে মাথা নাড়িতেছে । খানিক পরে সমস্ত অধ্যায়টি শেষ করিয়া বইট মুড়িয়া রাখিলাম। নিজের পরীক্ষার এই আশু সফলতায় মনে মনে তৃপ্তিবোধ হইতেছিল । বেশ নিশ্চিস্তভাবে— “আর এটাতে দিবি ন৷ তো মুখ, জ্যা ?”—বলিয়া ফিরিয়া উঠিয়া বসিলাম । কোথায় বাদল ?—মাছুর শূন্য-টুলের ওপর খালি গড়গড়,—সটকা নাই ! ইাকিলাম—“বাদল !” ও বারান্দা হইতে উত্তর আসিল—"গ্যেন !”—ওর বাবার শেখান ভদ্রতা,—বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বাদল ব্যবহার করে । উঠিয়া গিয়া ব্যাপার যা দেখিলাম তাহাডে ত চক্ষস্থির ! রবারের নলের আধখান লইয়া লুসীর বাচ্ছার খেলা করিতেছে, আধখান ঘোড়ার লাগামের আকারে লুসীর মুখে,—বাদলের হাতে তাহার খুঁট ছুটে –মুখে হাটু— হাট’ শব্দ চলিতেছে ! লুসী মাংসভ্রমে পরম পরিতোষ সহকারে চিবাইয়া যাইতেছে—এটারও দুখান হুইয়া যাইতেছে আর দেরি নাই।---বাবার সথের নল,—সমস্ত রাধাবাজার উজাড় করিয়া বাছিয়া কেনা ৷ একটুখানির মধ্যেই বাড়িতে হুলুস্কুল পড়িয়া গেল— বাবা আসিয়া সটকার খোজ করিতেই। বৌমার নির্দয় প্রহারে বাদলের বাড়ি ফাটান কান্না-মার বৌমাকে বকুনি,—আর সমস্তটাই এমন দ্ব্যর্থক যে, প্রত্যেকটি কথা আমার ওপর একটু বক্রভাব খাটে ; লুসীর চীৎকার করিতে করিডে গৃহভাগ এবং তাহার বাচ্ছাদের গৃহের মধ্যে থাকিয়া অসহায় ভাবে চীৎকার .-- দাদা ক্রমাগত্তই বলিতেছেন—“যলচি ওকে একটা ঘোড়া কিনে দে—সেদিন পই পই ক'রে বুঝিয়ে বললাম---” বাবা ‘ন ভূতে ন ভবিস্তুতি তিরস্কার লাগাইয়াছেন, —তাহার মধ্যে সে-কাল এ-কালের তুলনামূলক ব্যাখ্যান