পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] দক্ষিণ বাগানের পুকুরে, মাঝে মাঝে গলি থেকে পান্ধী বেহারার হাইছাই শঙ্ক আস্ত কানে, আর বড় রাস্ত থেকে সহিসের হেইও ইfক, সন্ধ্যাবেলায় জলত তেলের প্রদীপ, তারই ক্ষীণ আলোয় মাদুর পেতে বুড়ী দাসীর কাছে শুনতুম রূপকথা। এই নিস্তব্ধপ্রায় জগতের মধ্যে আমি ছিলুম এক কোণের মাস্থ্য, লাজুক, নীরব, নিশ্চঞ্চল । আরও একটা কারণে আমাকে খাপছাড়া করেছিল । আমি ইস্কুল-পালানো ছেলে, পরীক্ষা দিইনি, পাস করিনি, মাষ্টার আমার ভাবী কালের সম্বন্ধে হুতাশ্বাস । ইস্কুল ঘরের বাইরে ষে অবকাশটা বাধাহীন সেইখানে আমার মন হা-ধরেদের মত বেরিয়ে পড়েছিল । ইতিপূৰ্ব্বেই কোন একটা ভরসা পেরে হঠাৎ আবিষ্কার করেছিলুম, লোকে যাকে বলে কবিতা সেই ছন্দ-মেলানো মিল-করা ছড়াগুলো সাধারণ কলম দিয়েই সাধারণ লোকে লিখে থাকে। তখন দিনও এমন ছিল ছড়া স্বারা বানাতে পারত তাদের দেখে লোক বিস্মিত হ’ত । এখন যারা না পারে তারাই অসাধারণ বলে গণ্য । পয়ার ত্রিপদী মহলে আপন অবাধ অধিকার-বোধের অক্লাস্ত উৎসাহে লেখায় মাতলুম । আট অক্ষর, ছয় অক্ষর, দশ অক্ষরের চৌকো-চেকো কত রকম শব্দ ভাগ নিয়ে চলল ঘরের কোণে আমার ছন্দ ভাঙাগড়ার খেলা । ক্রমে প্রকাশ পেল দশক্ষনের गांग्रुन । এই লেখাগুলি যেমনি হোকৃ এর পিছনে একটি ভূমিকা আছে—সে হচ্চে একটি বালক, সে কুণে, সে একলা, সে একঘরে, তার খেলা নিজের মনে । সে ছিল সমাজের শাসনের অতীত, ইস্কুলের শাসনের বাইরে। বাড়ির শাসনও তার হালকা ৷ পিতৃদেব ছিলেন হিমালয়ে, বাড়িতে দাদার ছিলেন কর্তৃপক্ষ । জ্যোডিঙ্গাদা, ধাকে আমি সকলের চেয়ে মানতুম, বাইরে থেকে তিনি আমাকে কোনো বাধন পরাননি । তার সঙ্গে তর্ক করেচি, নানা বিষয়ে জালোচনা করেচি বয়স্তের मङ । डिनिं बाणकरक७ थका कड्रड जनिटडन ! *iभीब्र चांनन यांनब्र चोरीौनडांब्र बांब्राहे डिनि चाशांब्र রবীন্দ্র-জয়ন্তী 6:23 চিত্ত-বিকাশের সহায়তা করেচেন। তিনি আমার পরে কৰুত্ব করবার ঔংস্থক্যে যদি দৌরাত্ম্য করতেন তাহ’লে ভেঙেচুরে তেড়েবেঁকে ধা-হয় একটা কিছু হুতুম, সেটা হয়ত ভদ্রসমাজের সম্ভোব্যঞ্জনকও হ’ত, কিন্তু আমার মত একেবারেক্ট হ’ত ন । স্বরু হ’ল আমার ভাণ্ডাছনে টুকুরো কাব্যের পালা, উস্কাবৃষ্টির মত ; বালকের যা'-ত ভাবের এলোমেলে৷ কাচা গাথুনি । এই রীতিভঙ্গের ঝোকটা ছিল সেই একধরে ছেলের মজাগত । এতে যথেষ্ট বিপদের শঙ্ক। ছিল। কিন্ধ এখানেও অপঘাত থেকে রক্ষা পেয়ে গেছি। তার কারণ আমার ভাগ্য কমে সেকালে বাংলা সাহিত্যে থ্যাতির হাটে ভিড় ছিল অতি সামান্ত প্রতিযোগিতার উত্তেজনা উত্তপ্ত হ’য়ে ওঠেনি। বিচারকের দও থেকে অপ্রশংসার অপ্রিয় আঘাও মামৃত, কিন্তু কটুক্তি ও কুৎসাম উণ্ডে ব্লন তখনও সাহিত্যে ঝাঝিয়ে કd&fમ । সেদিনকার অল্পসংখ্যক সাহিত্যিকের মধ্যে আমি ছিলেম বয়সে সব চেয়ে ছোট, iশক্ষায় সব চেয়ে কাচা । আমার ছনগুলি লাগাম-ছেড়া, লেখবার বিষয় ছিল অক্ষুট উক্তিতে ঝাপসা, ভাষার ও ভাবের অপরিণতি পদে পদে । তখনকার সাহিত্যিকের মুখের কথায় বা লেখায় প্রায়ই আমাকে প্রশ্রয় দেননি,—আধ-জাধ বাধো বাধে কথা নিয়ে. বেশ একটু হেসেছিলেন । সে হাসি বিদুষকের নয়, সেটা বিদূষণব্যবসায়ের অঙ্গ ছিল না। তাদের লেখায় শাসন ছিল, অসৌজন্ত ছিল না লেশমাত্র । বিমুখত যেখানে প্রকাশ পেয়েছে সেখানেও বিদ্বেষ দেখা দেয়নি। তাই প্রশ্রয়ের অভাবসত্ত্বেও বিরুদ্ধরীতির মধ্য দিয়েও আপন লেখা আপন মতে গড়ে তুলেছিলেম। সেদিনকার খ্যাতিহীনভার স্নিগ্ধ প্রথম প্রহর কেটে গেল। প্রকৃতির শুশ্ৰুষা ও আত্মীয়দের স্নেহের ঘনচ্ছায়ায় ছিলেম ব"সে । কখনও কাটিয়েছি তেতালার ছাদের প্রান্তে কৰ্ম্মহীন অবকাশে মনে মনে আকাশ-কুঙ্কমের মালা গেখে, কখনও গাজিপুরের বৃদ্ধ নিমগাছের তলায় ব’লে ইজারার জলে বাগান সেচ দেবার করুশধ্বনি শুনতে শুনতে অদুর গঙ্গার লোতে কল্পনাকে অহৈতুক