পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Go Be নিকটবর্তী হইতে লাগিল। ডয়ে স্বযমায় কণ্ঠরোধ হইল। সমস্ত নিরীক্ষণ-শক্তি দুই চক্ষে পুঞ্জিত করিয়া অন্ধকারের মধ্যে সে দেখিতে লাগিল। বোধ হইল ঐ জালোকের প্রতিটির পিছনে এক একটি স্ববিপুল নিকষ-কৃষ্ণ দেহ রহিয়াছে, সারবন্দী আলেয়ার তাহাকেই লক্ষ্য করিয়া গুটি-গুটি চলিয়া আসিতেছে। কঁাপিতে কঁাপিতে প্রাণের আতঙ্কে দিগ্বিদিক জ্ঞান হারাইয়া স্বষম; দৌড়াইতে লাগিল চাষ আরম্ভের আর দেরি নাই, তাই ক্ষেত সাফ করিতে চাষার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরিবার মুখে ধানের শুকনা গোড়ায় আগুন ধরাইয়া দিয়া যায়। ছুটিতে ছুটিতে সেই পোয়ালপোড়া ছাই উড়িয়া স্থষমার মুখে চোখে পড়িতে লাগিল। একটা ক্ষেতে তখনও ভাল করিয়া আগুন নিবে নাই। এক ঝাপটা বাতাস আসিল আর অমনি একসঙ্গে বিশ পঞ্চাশ জায়গায় দাউ-দাউ করিয়া জলিয়া উঠিল। পিছনে তাকাইয় দেখে সেদিকের প্রবাসী—মাখ, ১৩৩৮ [ es* छांनं, २घ्र वै७ আলোগুলি এখনও পিছন ছাড়ে নাই, ধরিয়া ফেলিল আর কি ! চোখ বুজিয়া সে সেইখানে বলিয়া পড়িল । অল্পভব করিতে লাগিল, তাহাকে ঘিরিয়া ডাহিনে বামে সম্মুখে পিছনে সংখ্যাতীত আগুনের গোলা লাফালাফি করিয়া বেড়াইতেছে। সেইখানে সে লুটাইয়া পড়িল । বিলুপ্তাবশেষ চেতনার মধ্যে স্থষমা শুনিতে লাগিল, অনেক দূরের এক একটা ডাক—খুকী-খুকী “কাহারা যেন কথা কহিতেছে...অনেকগুলি লোক-চীৎকার কোলাহল, ব্যস্ততা । সে চোখ মেলিতে পারিল না, সাড়া দিতে পারিল না। কিন্তু চোখ না মেলিয়া দেখিতে লাগিল, বড় বড় কালে মেটের মত আলেয়ার দল মুখ মেলিয় দ্রুতবেগে গড়াইয় গড়াইয়া অাপিতেছে, আগুন লাগিয়া সমস্ত বিল জলিতেছে ; সেই আলোকে অস্পষ্ট যেন দেখা যাইতে লাগিল, বিলপারের লাল ভেরেগুার বেড়া, গোল সিড়ির একটুখানি, চিলেকোঠা... Tool নিম্প্রাণ ঐসুকুমার সরকার যৌবন বিশ্বত মোর ; আধর হাসিতে নাহি জানে কণ্ঠে নাহি গান ! মনের বাসর-গেছ কারও কোনো গোপন আহবানে নাহি দেয় কান ! ভুলিয়াছি ধরণীরে ভুলিয়াছি তার রূপ-রেখ কে দিল ভুলায়ে ! আমার মানস-বধূ স্বপ্নে মোর নাহি দেয় দেখা মালিকা দুলায়ে! ধরায় চিন্ময়পাত্র হয়ে গেছে আজিকে মুগ্ময় নাই স্বধা নাই ! বিচ্ছেদের ব্যথা আছে ; মিলনের মোহন বিস্ময় কোথা গেলে পাই | বেদন উতল হ’ল ; ভাবি মনে গেল কোথ! সব কোন কল্প-পুরে ! নারীর নীলাভ দৃষ্টি চরণের চঞ্চল উৎসব पूांब सङ नूव । কে মোরে এনেছে হেথা, স্বপ্নহীন নিদ্রাহীন রাত নামে ধীরে ধীরে ! আপনারে চিনি নাকে ; কত দূরে পুরানো প্রভাত যৌবনের তীরে ! আকাশে নীলিমা আছে ; নাই তার আনন্দ তরুণ বাতাসে বাতাসে ; পূরবীর রিক্ততায় ওঠে মৃদ্ধ সঙ্গীত করুণ মোর চারি পাশে ! ধরণীর শ্যাম তন্থ ধূলি-রুক্ষ বর্ণ ছন্দ হীন নিমেষে নিমেষে কুম্বমের ফুটে উঠে সাজে নাকে সে চির-নবীন কাননের কেশে ! মৃত্যু তার মায়া-জন্ধে জীবনের বসন্তু ব্যাকুল গ্রাস করিয়াছে ! স্বন্দরের খেলা-ঘরে স্বাক্টর এ পারিজাত ফুল ধীরে ঝরিয়াছে।