পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] বিহারে নিয়ে যেতে চায়—ম, মা, অন্ত চিন্তা এখন তোমার পুত্রের পক্ষে অসম্ভব ।” এই সময় মাধবসেনা কুমারের অস্ত্র ও বর্শ লইয়া ফিরিল । ক্ষিপ্রহস্তে বৰ্ম্ম পরিয়া শিরস্ত্রাণ বাধিতে বাধিতে চন্দ্রগুপ্ত মাধবলেনাকে বলিলেন, “কোনোদিন তোমায় ভুলতে পারব না, মাধবী। আবার আসব, উপস্থিত একবার রুচিপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ ক’রে আসি । চল মা ।” মাত-পুত্র কক্ষ পরিত্যাগ করিবার সময়ে দেখিলেন, মাধবসেন। বর্ষাবৃভ, তাহার কটবন্ধে ক্ষুদ্র অসি । বিস্মিত চন্দ্রগুপ্ত জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি কোথায় ঘাচ্ছ, মাধবী ?” মাধবসেন৷ চন্দ্রগুপ্তের সম্মুখে নতজাঙ্গু হইয়া বসিয়৷ তাহার চরণতলে মাখ রাখিয়া বলিল, “যদি অনুমতি কর প্রচু, সহসা আজ এ গৃহ শুপ্ত হয়ে গেল, যুবরাজ, আমি যে ভোমার কুঙ্কুরী—” পায়ের উপর তপ্ত অশ্রুপাতে চন্দ্রগুপ্তের চেতনা ফিরিয়া আসিল, তিনি হাত ধরিয়া মাধবসেনাকে উঠাইয়া বলিলেন, "ছি মাধবী, এ দুৰ্ব্বলতা তোমার শোভা পায় না। আমি রুচিপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছি, তার অর্থ কি জান মাধবী ?” "জানি প্রভু, তার অর্থ যুদ্ধ, রক্তপাত, নরহত্যা । किङ अङ्ग, अङ्क बथन भ्रूणबाब बाब पूछ्यौ कि उथन श्रृप्श् বসে থাকে ?” সম্মিভবদনে চন্দ্রগুপ্ত বলিলেন, "তবে এস " বৰ্ম্মাবৃত কুমার চন্দ্রগুপ্ত এবং অবগুণ্ঠনমুক্ত মহাদেবী দত্তদেবীকে দেখিয়। নটাবীথির পথের উপর সহস্ৰ সহস্ৰ নাগরিক তীব্র কণ্ঠে জয়ধ্বনি করিয়া উঠিল । দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ দত্তদেবীর প্রত্যাবর্তন দীর্ঘকালব্যাপী মহোৎসবের পরে পাটলিপুত্রের রাজপ্রাসাদ সহসা নীরব ও নিরানন্দ হইয়া উঠিয়াছে । সকলে ভীত, রাজকৰ্ম্মচারীরা অনুচ্চস্বরে কথা কহিতেছে । পরিচারক ও রক্ষীরা অতি ধীরে পথ চলিতেছে। সকলেই মনে করিড়েছে একট। আকস্মিক বিপদ উপস্থিত, অথচ তাহার কারণ কেহই জানে না। দত্তদেবী ও কুমার ধ্রুবা (8ළු চন্দ্রগুপ্ত ঘেদিন মাধবসেনার গৃহ পরিত্যাগ করেন, সেই দিন দিবসের দ্বিতীয় প্রহরের কিঞ্চিৎপূৰ্ব্বে প্রাসাদের সমুদ্র-গৃহের নিকটে মন্ত্রগুহে তিনজন মানুষ বসিয়া ছিল। গৃহটি অতি ক্ষুদ্র এবং তাহার চারিদিকে চারিটি দুম্বার। কক্ষের চারিদিকে একটি প্রশস্ত অলিন্দ এবং তাহার চারিদিকে চারিটি দীঘ কক্ষ। বিশেষ গোপনে মন্ত্ৰণ করি 1ার জন্ত বুদ্ধ সম্রাট সমুদ্র গুপ এই মন্ত্রণাগৃহ নিৰ্ম্মাণ করাষ্টয়াছিলেন । অলিনের বffহয়ে চারিটি কক্ষে অসংখ্য সশস্ত্র রক্ষী শ্রেণী বদ্ধ হইয়া দাড়াইয়াছিল, সম্রাট রামগুপ্তের অনুমতি ব্যতীত কেহই আর মন্ত্রগুঙ্গের দিকে আদিতে পারিতেছিল না। অলিম্ব জনশূন্ত, কেবল মন্ত্রগুপ্তের চারটি স্বারে চারজন মূক দ গুধর দাড়াষ্টয়া マ河tび5 I 瞳 আজ কিন্তু মন্ত্রগুপ্তির জন্য এত সাবধানভার প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু রক্ষী ও দণ্ডধরগণ সম্রাটকে মন্ত্রগুহে বসিতে দেখিয়া, অভ্যাসমত যথানিযুক্ত স্থানে আলিয়া দাড়াইয়াছিল। মন্ত্রগুঙ্গের মধ্যস্থলে একখান ক্ষুদ্র হস্তিচর্শ্ব নির্মিত স্বথালনে রামগুপ্ত উপবিষ্ট, অদূরে মুগচৰ্ম্ম আচ্ছাদিত দ্বিতীয় স্বথালনে নূতন মহামন্ত্রী রুচিপতি, এবং আরও কিঞ্চিৎ দূরে নূতন মহাসেনাপতি ভক্রিল দণ্ডায়মান । রামগুপ্ত বিমর্ষ, রুচিপতি চিন্তাকুল এবং ভঞ্জিল . ভয়ে বিবর্ণ। সম্রাট রামগুপ্ত হঠাৎ বলিয়া উঠিলেন, “সীমান্ত রক্ষার কি ব্যবস্থা ছিল ?” ভজিল ত্ৰস্ত ভাবে উত্তর দিল, “কোনো ব্যবস্থাষ্ট ত করা হয়নি, মহারাজ ।”

  • কেন হয়নি ? তুমি ন মহাসেনাপতি ?” তখন রুচিপতি সাহসে ভর করিয়া,বলিয়া ফেলিল, “ভঞ্জিল ছেলেমানুষ, ওকি অভ কথার উত্তর দিতে পারে । মহারাজ, এতদিন ধরে ত কেবল আপনার অভিযেকের উৎসবই চলছে, রাজ্যশাসনের কোনো ব্যবস্থাই করা হয়নি ।”

বিস্মিত হইয়। রামগুপ্ত বলিয়া উঠিলেন, “বল কি রুচিপতি শকের মধুর ছেড়ে এসে কৌশাৰী অধিকার করলে, প্রয়াগ পৰ্য্যন্ত তাদের হস্তগত, আর