পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] তৃতীয়া 8ළු এক সময় সে জিজ্ঞাসা করিল,—তুমি খেয়েছ সুললিতা ? সুললিতা তাহার এ কথার জবাব দিল না, বঁ-হাত বাড়াইয় অন্যদিকে মুখ ফিরাইয়া কেবল কহিল,—খাবার ঢাকা আছে ও-কোণে, থেও ৷ আর কেহ কোনো কথা কহিল না । শুধু টেবিলের উপর টাইম্পিস ঘড়িটা টিক টিক্‌ করিয়া শব্দ করিতে লাগিল । একখানি বষ্ট মুগের কাছে খুলিয়া প্ৰণবেশ কি করিতেছে তাহা সে নিজেই জানে না । হয়ত বষ্টয়ের অক্ষরগুলির দিকে তাকাইয়া সে ভাবিতেছিল এমনি করিরাই তাহার প্রত্যেকটি দিন প্রত্যেকটি রাত কাটিবে । আলো জলিতেই লাগিল, কিন্তু বই হইতে সে মুখ তুলিল না, হাক্ত প। নাড়িল না, চোখের পলক ফেলিল না : সুললিতা একটু নড়িয়া চড়িয়া উঠিল, তারপর কহিল, —ও বাড়ির মেজবোঁটা আজ এসেছিল আমার কাছে--- ছড়ির কি অংখার গো, ও সব সাপের দ্বাচি আমি চিনতে পারি.আ মর! দিলাম আচ্ছা ক’রে শুনিয়ে । আমি কারও তস্ক। রাখিনে । প্ৰণবেশ একবার মুখ তুলিয়া চাহিল, কিন্তু কিছু বলিল না। শুধু তাহার সভ্যবাদী মন বলিয়া উঠিল, এ মেয়েটির অন্তরে আভিজাত্যও নাই, ঐশ্বধ্যও নাই ! স্বামীর নিকট হইতে কোনো উত্তর এবং সমর্থন না পাইয়া মুললিতা একবার ভ্ৰকুঞ্চন করিল, তারপর গুছাইয় পাশ ফিরিয়া চোখ বুজিল । অনেকক্ষণ পরে প্রণবেশ উঠিল। ঘরের এক কোণে খাবার ঢাকা ছিল, সরিয়া গিয়া খাবারের ঢাকা খুলিল, কিন্তু কি জানি, আহার করিবার তাহার রুচি ছিল না— সে আবার উঠিয়া বাহিরে চলিয়া গেল। অভিমান সে করিতে পারে কিন্তু করিবে কাহার উপর ? বাহুিরে অনেকক্ষণ পায়চারি করিয়া সে আবার আসিয়া ঘরে ঢুকিল। আলোতে বোধ করি তেল ছিল ন, ধীরে ধীরে নিবিয়া আসিতেছে। জানালার বাহির হইতে চাদের জালো স্পষ্ট হইয়া বিছানার উপর জাসিয়া शनिबांदह । थाहकैब्र कांद्वइ जिब्रा ●थनtवल मैंॉफ़ाहेण । স্থললিতা এবার সত্যই ঘুমাইয়া পড়িয়াছে। প্ৰণবেশের মনে হইল ঘুমাইলে তাহার মনের মালিন্য মুখের উপর ফুটিয়া উঠে না। মুখ তাহার সত্যই স্কন্ধর । জানালাটা প্ৰণবেশ সবখানি খুলিয়। দিল । বাতাস আসিতেছিল না, হাত-পাখাখানি লইয়া সে স্কুললিতার মাথার কাছে বাতাস করিতে লাগিল। অনেক দুঃখ ও অনেক গ্লানির ভিতর দিয়া এই মেয়েটিকে সে বিবাহ করিয়া আনিয়াছে, ইহার উপর কোনোদিন কোনো মুহূৰ্ত্তেই অভিমান করা চলিতে পারে না । ভালবাসিয়। সে দুঃখ পাইয়াছে, এই মেয়েটিকে সে त्रांब्र छालबानिएब नl। ८थभ उाशांब्र छौवप्न यूङ्काब्र পর মৃত্যু আনিয়াছে, অভিশাপ আনিয়াছে, কাঙালের মত তাঙ্কাকে পথে পথে ঘুরাইয়াছে-স্ত্রী তাহার বঁচে না বলিয়া আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের কঠোর ইঞ্জিত সে সহ করিয়াছে,—ভাল আর সে বালিবে না । স্ত্রীর সহিত তাহার এবারের সম্পর্ক হইবে প্রেমের নয়— মমতা, দাক্ষিণ্য ও সহানুভূতির । অনেকক্ষণ ধরিয়া বাতাস করিয়া প্রশবেশ খাটের নিকট হইতে সরিয়া গিয়া মেঝের উপর শুইয়া পড়িল । জালোটা ইতিমধ্যে নিবিয়া গিয়াছে। সংসারের কিছু কাজ না করিয়া স্থললিতার উপায় নাই, নিতান্ত চুপ করিয়া বসিয়া থাকিলে চলে না। অথচ তাহাকে ছুটিয়া হাটিয়া চঞ্চল হইয়া বেড়াইতে দেখিলে প্ৰণবেশ সন্ত্রস্ত হইয়া উঠে। সতর্ক পাহারায় সমস্ত আঘাত হইতে সে তাহার স্ত্রীকে সাবধান করিয়া রাখিতে 5ांद्वश् । —কিন্তু তুমি উচুনের কাছে গিয়ে যেন বসে না মুললিতা । --८कन ? —দরকার কি ? ৰে চঞ্চল তুমি, কোন সময় যদি আঁচল ধরে যায় ? স্থললিত হাসিতে লাগিল, তারপর কহিল,—এ যে জেলের শান্তি । উকুনের কাছে যাব না পাছে জাচল ধরে যায়, কুটুনে কুটুতে বসৰো না পাছে হাত কাটে,