পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬১৮ প্রবাসী - ফাঙ্কন, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ২য় খণ্ড হয়, এই সাদৃশ্য স্বতন্ত্র কেন্দ্রে স্বতন্ত্রভাবে আবিষ্কারের ফল। এইরূপ ধারণার বশবৰ্ত্তী হইয়া উনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধের নৃতত্ত্ববিদগণ মনে করিতেন মূলতঃ সকল মানুষের মন একই রকম ; সকল মহিষের মনে একই রকম মতিগতির বীজ বিদ্যমান আছে । সুতরাং বাহ অবস্থার মধ্যে মৃদঙ্গ থাকিলে, বার-বার একষ্ট রূপ বস্থর আবিষ্কার অবশ্য ঘটবে। মীনল সভ্যতা নুতন নুতন আবিষ্কারের পরিপোষক বাহ অবস্থার সৃষ্টি । এই মতের প্রতিবাদ প্রথম আরম্ভ করেন জৰ্ম্মান পণ্ডিত রটিজেল ( Ratzel ) ১৮৮৬ সালে। তিনি বলেন, মাশ্লষ জড়পদার্থের বা ইতর প্রাণীর মত কেবল নৈসর্গিক নিয়মের হাতের খেলনা নহে, অসভ্য মানব-সমাজের ৪ ইচ্চারুত একটা ইতিহাস আছে। সুতরাং মrচষের সভ্যতার উৎপত্তি উন্নতি কিরূপে হইয়াছে তাহ নিরূপণ করিতে ইষ্টলে কেবল নৈসর্গিক নিয়মের এবং বাস অবস্থার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া হিসাব করিলে যথেষ্ট হইবে না, বিভিন্ন মানব-গোষ্ঠীর ইতিষ্ঠাস, বিশেষতঃ দলবদ্ধ হইয়৷ নানাস্থানে বিচরণের বৃত্তান্তও, খুজিতে হইবে । বিভিন্ন কেন্দ্রে বিভিন্ন জাতির ব্যবহৃত কোন হাতিয়ারের আকারগত সাদৃশ্ব দেখিলে রাষ্ট্ৰজেল বিচার করিতেন, এই সাদৃশ্ব ঐ হাতিয়ারের স্বাভাবিক লক্ষণমূলক কি-না (যেমন তীরের সরু অগ্রভাগ ), অথবা যে উপাদানে ঐ হাতিয়ার ভৈয়ারী করা হইয়াছে সেই উপাদানের স্বাভাবিক লক্ষণমূলক কি-না ( যেমন বঁাশের গিঁট ) । যদি তিনি দেখিতেন যে, একাধিক জাতির ব্যবহৃত হাতিয়ার-বিশেষের আকারগত সাদৃশ্ব স্বাভাবিক নহে,—কত্রিম, তবে সিদ্ধান্ত করিতেন, এইরূপ হাতিয়ার ব্যবহারকারী জাতিগুলি এখন পরম্পরের অজানাভাবে দূরে দূরে বাস করিলেও এক সময় তাহারা একত্র বাস করিত, অথবা অন্য কোন উপায়ে এক সময়ে তাহাদের মধ্যে বিদ্যার দেনা-পাওনা চলিত। আফ্রিকার নানা স্থানে ব্যবহৃত ধল্পকের ইতিহাসের অনুসন্ধান করিতে গিয়া রাষ্ট্ৰজেল প্রথম এই রীতির সার্থকতা বুঝিতে পারিয়াছিলেন।*

  • ..W. Sឍ The Origin and Growth Religion. . translated__ into Englislu hy H. J.

Iaomdon, 1931, pp. 220-221. এবং of ić, বিংশ শতাব্দীর গোড়ায় কয়েকজন জৰ্ম্মান নৃতত্ত্ববিং * রাষ্ট্ৰজেলের প্রবর্ধিত রীতিতে আদিম সভ্যতার ইতিহাস অনুশীলন করিয়া . ইহার উপযোগিতা দেখাইয়া দেওয়ায় ইউরোপের এবং আমেরিকার নৃতত্ত্ববিখ-সমাজে প্রায় সৰ্ব্বত্র এই রীতি এখন অল্পাধিক পরিমাণে গৃহীত হইয়াছে। এই রীতির নামকরণ হইয়াছে ঐতিহাসিক রীতি (historical method ), এবং এই রীতি অনুসারে বিচার করিলে সভ্যতার উন্নতির নিদান সম্বন্ধে যে মত সিদ্ধ হয় তাহার . as façfooto ( theory of disfusion ) offs সভ্যতার এক একটি উপকরণ এক এক কেন্দ্রে আবিষ্কৃত হইয়া বিভিন্ন কেন্দ্রে বিস্তৃত হইয়াছে, এবং এইরূপে বিস্তৃত বিভিন্ন উপাদান লইয়া বিভিন্ন দেশে উচ্চ হইতে উচ্চতর সভ্যতা গঠিত হইয়াছে। নৃতত্ত্ববিদগণের মধ্যে afwtawta gotw orstwatât ( extreme environmentalists ধে একেবারে না আছেন এমন নহে | 4 কিন্তু প্রায় সকল নৃতত্ত্ববিংই এখন সভ্যতার গঠনে, বিস্তুতির কার্য্যকারিত স্বীকার করেন । তবে ইহাদের মধ্যেও দুই দল আছে। এক দল একান্ত বিস্তৃতিবাদী । র্তাহার বলেন, সভ্যতার ছোট-বড় কোন উপাদান ব। কোন উপাঙ্গই একবারের বেশী আবিষ্কৃত হইতে পারে না । সেই একবারের আবিষ্কারে বাহ অবস্থার প্রভাব থাকিলেও তারপর নিরবচ্ছিন্ন বিস্তুতি চলিতে থাকে। আর এক দল নৃতত্ত্ববিং বাহাবস্থার প্রভাবে স্বতন্ত্র আবিষ্কারের, এবং একবার মাত্র আবিষ্কৃত পদার্থ বিশেষের বহু বিস্তৃতি, এই দুই স্বীকার করেন। এই প্রকার মতাবলম্বী, আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ঃ নৃতত্ত্বের অধ্যাপক ডিক্সন "সভ্যতা নিৰ্ম্মাণ” ( The Building of Culture ) at No oil পুস্তকে সভ্যতার - এই বিয়ে কেসকল প্ৰবন্ধ নিবন্ধ গ্রকাশিত হইয়াছে এব: যে বাদামুবাদ চলিয়াছে তাহার বিবরণের জঙ্ক, Schmidt, Th Origin and Growth of Religion. Chapter XIV. &R R. R. Dixon, The Building of Culture (New York, 1928). Chapter VII of - t Wissler. C. The Relation of Nature to Alan in A original America. Now York, 1926 & x8: Twittitats on Dixon, The Building of Cullor chapter I of