পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২৮

    • -*-----. ----- سی-عہ--عے-ع----۔-م----۔ --------- ما---------

এবং অবিলম্বে র্তাহার উপদেশ পালনের স্বজন্ত কোমল অল্পজ্ঞা প্রকাশ করিয়া চলিয়া গেলেন । দরজার আড়ালে দাড়াইয়া মল্পিকাণ্ড সব শুনিল । ডাক্তার চলিয়া গেলে কহিল, "অস্থখ কি খুব কঠিন ? ভয়ের কিছু নেই?"

  • হ’তে কতক্ষণ ?” কথাটা অন্যমনস্কের মত বলিয়া ফেলিয়াই তাহার মুখের দিকে তাকাইয়া দেখি, তাহা পাণ্ড। আঘাতটা মৰ্ম্মমূলেই লাগিয়াছে! সাৱনার স্বরে কহিলাম, “এখন থেকেই ওষুদ-পত্তর দেওয়া দরকার, তাই ডাক্তারবাবু আমন ক’রে বললেন, ভেব না।”
  • - - -----------or

কিন্তু ভাবনা-ভারে আমার সারা মন তখন ইয়া পড়িয়াছে—টাকা ? মল্লিকাও এ কথাটি ভাবিতেছিল, মুগে না বলিলেও অস্তরে তাহার স্পর্শ অঙ্গভব করিতে লাগিলাম। কহিলাম, “তুমি ওদের কাছেই থেকে । আমি একবার আমার ছাত্রের দাদামশায়ের কাছ থেকে ঘুরে আসছি। . কিছু টাকা আগাম বা ধার –“ বলিতে বলিতে বাহির হইয়া পড়িলাম । পথেই আপিসের বড়বাবুর বাড়ি । কয়েক ঘণ্টা ছুটিরও দরকার। র্তাহার দ্বারস্থ হইলাম। অপেক্ষ করিতে হইল না, দেখি বহিরাঙ্গণে একটি জলচৌকীর উপর তিনি বসিয়া, ভূত্য র্তাহার বিপুল দেহে তৈলমৰ্দ্দন করিতেছে । আজ্জিখানি পেশ করিয়া জোড়করে দাড়াইয়া রহিলাম। তিনি স্বভাবস্থলভ মধুমাখা কণ্ঠে কহিলেন, “বারমাসই ত তোমার ঐ সব লেগে অাছে হে । এ রকম করলে চাকরি করা চলে না বাপু । এত যদি, তবে ছেলেপূলে নিয়ে ঘরে বসে থাকলেই পার। আপিসে যাবার দরকার কি ? ওদিকে বড়সাহেব ত তোমার ওপর থাপ্পা হয়ে আছেন।” কহিলাম, “আপনার স্নেহ থেকে কোনদিন বঞ্চিত হইনি, আমার সেই এক পরম ভরসা—” - “খাম হে খাম। যত ঝঞ্জাট সবই কি আমার ঘাড়ে ? সব হতভাগাগুলোই কি এই আপিসে জুটেছে ? যাও ন—দাত বার ক’রে দাড়িয়ে রইলে কেন ?” -- সেখান হইতে দ্বিতীয় মনিবের কাছে একরূপ ছুটিয়াই প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩৮ MA SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS - কথাগুলি [ ৩১শ ভাগ, ২য় খণ্ড উপস্থিত হইলাম। তিনি বিষয়ী লোক । আমার মনোযোগ ...দিয়া শুনিলেন। তাহার লোল ওষ্ঠকোণে ঈষৎ হাসি ফুটল। ধীরে কহিলেন, “স্থ-ভূ টাকা। টাকারই ত অভাব। আমার অবস্থাটাও যদি বলি, এ বুড়োর ওপর আপনার দয়া হবে। আয় কমে গেছে বিস্তর, অথচ বায় আছে ঠিক সেই । যারা গরিব, তারাই দেখছি আমাদের চেয়ে ভাল আছে। নেহাৎ মুখ খু হয়ে থাকবে, তাই নাতিটাকে পড়ানো। তাও বেশী দিন যে পারব, মনে হয় না। পাঠশালার পণ্ডিত হ’লেই চলত—তবে কিনা—“ ছাত্রের অধীত ছত্রট মনে পড়িল—“Strike the mail hard." কহিলাম, “আজি মাসের পচিশে, দশট টাকা যদি আগম পেতাম, ছেলেমেয়েগুলো বাঁচত।" “তা ত বুঝলাম। কিন্তু এখন একটি টাকাও যে হাতে নেই। তা ছাড়া আপনি তো পূরে৷ মাইনে পাবেন না। আমার নাতির সাত দিন অনুপ হয়েছিল, সে পড়েনি—” “কি স্তু—“ “স্থা, বুঝতে পেরেছি। কিন্তু অস্থখট ত আমি তার শরীরে ঢুকিয়ে দিই নি, আর সেও কিছু অস্থখটাকে নিজের থেকে ডেকে আনে নি।” সময় অল্প ; কলহেও প্রবৃত্তি ছিল না। কহিলাম, “যা বিচারে হয় করবেন , কিন্তু এখনকার মত—দোহাই আপনার—বড় বিপন্ন আমি।” Strike, strike, strike, hard. কৰ্ত্ত হাকিলেন, “রামবিরিজ, সরকার বাবুকে পেরেক বসিয়াছে : উৎফুল্প হইয়া উঠিলাম । কৃতজ্ঞতায় সারা অন্তর ভরিয়া গেল । বুদ্ধের দেহ শুষ্ক, কিন্তু হৃদয় আজও দয়া ও মমতায় সরস । সরকারবাবু আসিয়া দাড়াইলেন ; চোখে কৌতুহল কিন্তু সারা দেহ বিনয়ে নত হইয়া পড়িয়াছে। কর্তা কহিলেন, “একে আঠারো দিনের মাইনে ফেলে দাও। খোকাবাবুর জন্তে