পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSASAS AAA AAAA AAAA AAAASASAS SSAS SSAS SSAAAASA SAAAAA AAAA AAAASASASS বাসনে একটি ক্ষুদ্র বালকের স্বন্ধে চাপাইয়া লইয়া চলিলাম। বালকটি পরদিনের খাবার দিয়া যাইবে ও বাসন লইয় আসিবে বলিয়া জায়গা চিনিতে আমাদের সঙ্গে আসিল । পরদিন সকালে ওয়েটিং-রুমের প্রকাগু উষ্ণৗষধারী দরোয়ানের সাহায্যে চায়ের সন্ধান করা গেল । এখানেও একটি ক্ষুদ্র সাত আট বৎসরের বালক’আমাদের জন্য চাদানে মাপা দুই পেয়ালা চা ও বারকোশে চারটি বিস্কুট,কিছু চিনি ও দুধ লইয়া আসিল । বালককে জিজ্ঞাসা করিলাম, “এত কম চ কেন ?" সে বলিল, “দুধ চিনি ঠিক হয় ।” বালক বোধ হয় ভাবিল একপোয় দুধ ও একপোয় চিনি থাকা সত্বেও সামান্ত জলটার জন্য এরা এত ব্যস্ত কেন ! স্বানের জন্য ষ্টেশনেই গরম জল পাইলাম, তবে বাগানের মালির ঝারিতে জলটা আসিল এবং সঙ্গে ছোট মগ কি ঘটী কিছুই ছিল না। টাঙ্গাওয়ালা বালকটি আসিয়া সরু গলায় চেচাইতে লাগিল, “বাবুজী, আট বজ গিয়া, জলী, জলদী।” আমরা আবার ভ্রমণে বাহির হইলাম। কাল টাঙ্গার পিছনে বসায় গড়াইয়া পড়িবার উপক্রম হইয়াছিল, আজ তাই চালক শিশুর পাশে সম্মুখের দিকে বসা ঠিক করিলাম । সারদ মিউজিয়মে খবর পাইলাম কয়েক মাইল দূরে মান্দোরে এখানকার কয়েকটি দ্রষ্টব্য মন্দির আছে। টাঙ্গায় সেই দিকে যাত্রা করা গেল। এদিকে ঘরবাড়ি কম। রাস্তাগুলি বড়, দুই ধারে গাছ। মাঝে মাঝে বড় বাড়ি আধুনিক বিলাতী প্রথায় তৈয়ারী, যোধপুরের ফ্যাশনেবল বড়লোকের এই দিকে ধাকেন দেখিয়া মনে হইল। যোধপুরের মহারাজা পোলো খেলার জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন এক সময়। পথে দেখিলাম তাহার প্রকাগু পোলো খেলার জমিতে পাইপ দি জল ছড়াইয়া ঘাসের যত্ব হইতেছে। জমির পাশে অল্প ফুলের বাগান এবং একেবারে শেষ প্রান্তে লাল পাহাড়ের কোলে একটি লাল বাংল, বোধ হয় অতিথিদের জন্ত । এদেশে এতবড় ঘাসের জমি আর ফুলের কেয়ারী তৃষিত চাতকের কাছে মেঘের রূপের মত इब्ाङ्ग लांग्ं । আমাদের পথখরচ ফুরাইয়া গিয়াছিল, সঙ্গে ছিল কয়েকটি ভ্রমণকারীর চেক্‌। ইস্পীরিয়াল ব্যাঙ্ক ছাড়া সে

  • *- ."م.

চেক ভাঙানো যায় না। যোধপুরে ইস্পীরিয়াল ব্যাঙ্ক নাই দেখিলাম ব্যাঙ্কের তালিকা খুলিয়া। এক জায়গায় দেখি সারি সারি তিন চারটি লালবাড়ির সম্মুখে বন্দুককাধে সুদীর্ঘ রাজপুত প্রহরী ঘুরিতেছে। টাঙ্গাচালক বলিল, ‘খাজাঞ্চিখানা, অফিস আদালত । হঠাৎ চোখে পড়িল একটা দরজার গায়ে ছোট একটি পিতলের ফলকের উপর লেখা "Imperial Bank" ইস্পীরিয়্যাল ব্যাঙ্ক"। পথে আটক পড়িবার ভয়টা কাটিল তাহলে। নিতান্ত অসহায় অবস্থা দেখিয়া যেন দেবতা কৃপা করিলেন। এমন ধূলার । দেশেও এই বাড়িগুলি আশ্চৰ্য্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও সযত্নরক্ষিত। গেটের সামনে বড় বড় কয়েকটি গাছ ও ভিতরে ছোট ছোট ফুল ও ক্রোটনের বাগান। দেশী রাজ্যের আপিস আদালতের কাছে ব্রিটিশ-রাজ্যের আপিস আদালত অত্যন্ত শ্ৰীহীন মনে হইল। মন্দিরের কাছটা ক্রমেই নির্জন হইয়া আসিয়াছে । মান্দোর একেবারে লাল পাহাড়ের কোলে। চারিদিকে পরিখাবেষ্টিত ধ্বংসস্তুপের মধ্যে সারি সারি গুট পাচ ছয় লাল মন্দির। পাহাড়ে মাটি একেবারে দেখা যায় না, কিন্তু তাহারই ভিতর মনপ৷ গাছ জন্মাইয়াছে। সকলের চেয়ে বড় মন্দিরটি সকলের চেয়ে আধুনিক, মাত্র ১৫০ বৎসর আগের। যেটি যত পুরানো সেট তত ছোট। প্রাচীনতমটি ৩৪০ বৎসর আগের। সব কয়টি মন্দিরই পরিত্যক্ত, কিন্তু মন্দিরের গায়ে শ্বেত পাথরে প্রতিষ্ঠাতা রাজাদের নাম, জন্ম ও মৃত্যুর সময় লিখিত আছে। সব কয়জন রাজাই “মরুধরাধিপতি।". অনেক ধাপ সিড়ির পর মন্দিরগুলির ভিতর একটি করিয়া বিগ্রহের ঘর ও তাহার সাম্নে দর্শক ও উপাসকদের জন্ত চতুষ্কোণ একটি দালান। বড় মন্দিরটির দুই দিকে থাম ও ছাদ দিয়া আরও খানিকটা জায়গা বাড়ানো। মন্দিরের চুড়া পশ্চিমের প্রাচীন শিবমন্দিরের ধরণের ক্রমশঃ স্বস্থাগ্র। মন্দিরগাত্রে অসংখ্য প্রস্তর মূৰ্ত্তি বিচিত্র ভঙ্গীতে দাড়াইয়া ও বসিয়া। অনেকগুলি মূৰ্ত্তি দেখিয়া মন্দির অপেক্ষা প্রাচীন বলিয়া মনে হয়। বিগ্রহের দরজার , দুই পাশে ছোট ছোট দ্বাদশটি মূৰ্ত্তি। কোনো মন্দিরেই দেবমূৰ্ত্তি নাই, ভিতরটা অপরিচ্ছন্ন পড়িয়া আছে। পূজা বেদীর দুই পাশে প্রতি মন্দিরেই মেঝেতে লতার ভিতর