পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

õŒ e পরে রামগুপ্তকে অভিবাদন করিয়া “বিদায় মহারাজ।” সকলে মন্ত্ৰগৃহ পরিত্যাগ করিলে ধ্রুবদেবী বলিলেন, “ম, আমার উপর স্বামীর আদেশ গুনেছ ? মহাশ্মশানে তোমার ভিক্ষালব্ধ অল্পের এক কণা দিও, দাসীর পক্ষে তাই যথেষ্ট ।” সন্ধ্যায় প্রখর রবিরশ্মিপাত মন্দ্রীভূত হুইলে সমুদ্রগুপ্তের লুপ্ত গৌরব আসন্ন অন্ধকারের মানছায়ায় পাটলিপুত্র নগর পরিত্যাগ করিল। ভাস্কর অস্তমিত হইয়া আবার "আদিত্যরূপে উদিত হইলেন, কিন্তু সে রামগুপ্তের রাজত্বের অবসানের পরে । তৃতীয় প্রকরণ প্রথম পরিচ্ছেদ কালিন্দীর কালো জলে বিধৌত চরণতল ভীষণদর্শন রক্তাশ্মনিৰ্ম্মিত কুষাণ-বংশীয় সম্রাটগণেরপ্রাসাদে আজ মহাসমারোহ । সম্রাট প্রথম কনিষ্ক শতাব্দীত্রয় পূৰ্ব্বে যখন চীনবাহিনী বিধ্বংস করিয়া মথুরায় ফিরিতেছিলেন, তখনও এত সমারোহ দেখা যায় নাই। কারণ ধ্রুবদেবী আসিতেছেন। যে গুপ্তসম্রাটের অঙ্গুলিহেলনে বাহীধাহাতুষাহী দেবপুত্র শকরাজ কম্পিত হইতেন, সেই সমুদ্রগুপ্তের পুত্র আজ শকরাজের ভয়ে বিবাহিত পট্টমহাদেবী ধ্রুবদেবীকে মথুরায় পাঠাইয়া দিয়াছেন। এতদিনে শকজাতির চিরলুপ্ত গৌরব আবার ফিরিয়া আসিয়াছে। মধুরায় এমন মহা

  • মহোৎসব অতিবুদ্ধেরও স্মরণাতীত।

পথে শত শত শক-ললনা মুসজ্জিত হইয়া লাজপত্র হন্তে শ্রেণী বাধিয়া দাড়াইয়া আছেন, শক-বালকগণ খেলার ধচুঃশর লইয়া গুপ্ত-সম্রাট রামগুপ্তকে ক্রীড়াচ্ছলে বধ করিতেছে। কিন্তু ম4রার হিন্দু অধিবাসীদের মুখে কালিমার দীর্ঘরেখা পড়িয়াছে। কারণ ধ্রুবদেবীর মথুরায় আগমন আৰ্য্যাৰপ্তে হিন্দুজাতির অপমানের সূচনা। ধ্রুবদেবী গুপ্ত-বংশের কঙ্কা নহেন যে,শকরাজ তাহার পাণিপীড়ন করিবেন। গুপ্তবংশের সম্রাট রামগুপ্ত র্তাহার পরিণীত পত্নীও পট্টমহিষীকে শকরাজের ভয়ে তাহার পদসেবা করিতে মথুরায় -পাঠাইয়াছেন। বলিলেন, প্রবাসী—ফাঙ্কন, سونيسيا وج [ ৩১শ ভাগ, ২য় খণ্ড অতি প্রত্যুষে মহারাজাধিরাজ দেবপুত্র, কুষাণপুত্ৰ । যাহি সপ্তম বান্ধদেব বিস্তৃত সভামণ্ডপে ধ্রুবদেবীর অপেক্ষায় আসন গ্রহণ করিয়াছেন । মালব ও সৌরাষ্ট্র হইতে অগণিত শকরাঙ্গা ও শকসেনানীগণ মাগধ যুদ্ধের প্রারম্ভে মথুরায় আসিয়াছিলেন, তাহারা সকলেই সমুদ্রগুপ্তের বংশের এই দারুণ অপমান দেখিবার জন্ত সভামণ্ডপে সমবেত হইয়াছেন। সৌরাষ্ট্রের রাজা মহাক্ষাত্র পৌরস্বামী রুদ্রসিংহ, উজ্জয়িনীর রাজা স্বামী ক্ষত্রপ জয়দাম প্রভূতি, স্বাধীন রাজারা শকজাতির লুপ্ত গৌরব উদ্ধার করিবার জন্য বহুকাল পরে শক-সাম্রাজ্যের রাজধানী মথুরায় আসিয়াছিলেন, আজ র্তাহার একজন বাস্থদেবের সিংহাসনের বামপাশ্বে অপরজন দক্ষিণ পাশ্বে উপবেশন করিয়া আছেন। বিস্তৃত সভামণ্ডপে অসংখ্য স্বখাসনে পঞ্চনদ, সৌরসেন, আনৰ্ত্ত, কুকুর, অশ্মক, অপরাস্ত, মালব প্রভৃতি দেশের শক-সামন্তমণ্ডলী উপবিষ্ট। সকলেই বুৰিয়াছেন যে, সমুদ্রগুপ্ত কর্তৃক অপহৃত শক-রাজলক্ষ্মী আজ আবাৰু শকরাজপুরে ফিরিয়া আসিতেছেন। সেইজন্য তোরণে তোরণে মঙ্গলবাদ্য, মণ্ডপের পথ গন্ধবারিসিক্ত ও পুপাচ্ছন্ন ; এই মহোৎসবের মধ্যে কেবল ভারতবর্ষীয় কৰ্ম্মচারী ও অনুচরের লজ্জায় অধোবদন হুইয়া আছে। সহসা একজন শক-সৈনিক সিংহাসনের কাছে আসিয়: অভিবাদন করিয়া বলিল, “মহারাজ রাজাধিরাজের জয় ! পরমেশ্বরী পরমভট্টারিকা মগধের পটুমহাদেবী ধ্রুবদেবী পাচ শত কুলমহিলা সঙ্গে লইয়া সম্ভামণ্ডপের দুয়া:ে উপস্থিত।” 歌 বাস্কদেব । সমূদ্রগুপ্তের পুত্র যে এত সহজে অধীনঃ স্বীকার করবে, তা স্বপ্নেও ভাবি নি। স্বামী রুদ্রসিংহ। মগধের গুপ্ত-বংশ যে দুৰ্ব্বল হয় পড়েছে, সে বিষয়ে কোনই সন্দেহ নেই। জয়দাম। রামগুপ্ত যে এতদূর কাপুরুষ, তা কেউ বুঝতে পারে নি। সে নিৰ্ব্বোধ, নিজের পট্টমহিষীপে পাঠিয়ে প্রয়াগ আর কৌশাৰী ফিরে চেয়ে পাঠিয়েছে। দামসেন। মহারাজ, যুদ্ধের সমস্ত আয়োজন প্রশ্বস্ত হিমালয় থেকে সৌরাষ্ট্র পৰ্যন্ত সমস্ত শৰপ্ৰধান মহারাষ্ট্রে