পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V&$. সঙ্গে সঙ্গে স্বামী রুদ্রসিংহ বলিয়া উঠিলেন, “রামগুপ্তের স্ত্রী দাসীবৃত্তি করতে মথুরায় এসেছে, মথুরায় দাসীরা রাজসন্মান পায় না ।” - মগধের দণ্ডধর অত্যন্ত বিনয়ের সহিত প্ৰণাম করিয়া জয়দামের সহিত বাহিপ্নে চলিয়া গেল । তপন বামুদেব বলিলেন, “শুনছি রামগুপ্তের স্ত্রী পাচ শত কুলমহিলা নিয়ে এসেছেন, সকলকে ত এখানে ধরবে না ?” স্বামী রুদ্রসিংহ বলিলেন, “কতকগুলো আক্ষক না ?” এই সময়ে জয়দাম ও মগধের দণ্ডধরের সহিত স্ত্রীবেশী চন্দ্রগুপ্ত, দেবগুপ্ত রবিগুপ্ত প্রমুখ শতাধিক পুরুষ ও মাধবসেন। সভামণ্ডপে প্রবেশ করিলেন, সবার সম্মুগেই চন্দ্রগুপ্ত ও মাধবসেন। চন্দ্রগুপ্তকে দেখিয়া বাস্থদেব জিজ্ঞাসা করিলেন, “এর মধ্যে ধ্রুবদেবী কে ?” - তপন চন্দ্রগুপ্ত অগ্রসর হইয় প্রণাম করিলেন। জয়দাম একটা কুৎসিত পরিহাস করিয়া বলিয়া উঠিল, “মহারাজ, গ্ৰীলোকটি বড় স্থূলকায় ।” রুদ্রসিংহ বলিলেন, “রামগুপ্ত কি অন্ধ ? দেখে শুনে এমন কুৎসিং স্ত্রীলোককে কি ব’লে পটমহিষী করলে ?” দামসেন । মহারাজ, রাজাধিরাক্তের আদেশ ? বাসুদেব । এই স্কুলাঙ্গী কুৎসিত স্ত্রীলোকটিকে কিছুতেই অন্তঃপুরে স্থান দিতে পারা যায় না । বৎস দাম, মগধের পদমভিৰ্নীকে দাসগৃহে নিয়ে যাও। বংসদাম । মহারাজ, এই দাসীটাকে শুঙ্খলাবদ্ধ করব কি ? এই সময়ে মাপবসেন বলিয়া উঠিল, “মহারাজ রাজধিরাজের জয় ! পরমেশ্বরী, পরমভট্টারিক, পরমবৈষ্ণবী, পটুমঙ্গদেবী প্রবদেবী কিঞ্চিং স্থূলকায়া বটেন, তথাপি তিনি মগধের পট্টমহাদেবী । দাসগুঙ্গ কি তার যোগ্য স্থান ?” - রুদ্র । মহারাজ, রামগুপ্ত যতগুলি পাঠিয়েছে তার মধ্যে এইটিই প্রাসাদে স্থান পাবার যোগ্য। অবশিষ্টগুলিকে প্রাসাদ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হোক । মাধবসেনা বলিল, “মহারাজ, ধ্রুবদেবী রাজচরণে কিছু L ৩১শ ভাগ, ২য় খণ্ড নিবেদন করতে চান। কি বলবে, এগিয়ে এসে বল না ঠাকরুণ ?” চন্দ্রগুপ্ত অগ্রসর হইয়া বলিলেন, “মহারাজ, আমি কুলকন্য, সমুদ্রগুপ্তের পুত্রবধূ, মগধের পটমহাদেবী, স্বামীর আদেশে আপনার চরণসেবা করতে এসেছি।” বৎসদাম । বাছার যেমন রূপ, তেমনি গল ! দাম । মগধের নারীকণ্ঠের মত অলঙ্কার শিখন কি মধুর ! তপন প্রত্যেক অবগুণ্ঠনের মধ্যে আসি ৪ বৰ্ম্ম বাজিয়৷ উঠিয়াছে। বাস্থ । আর শুনতে চাই না। দামসেন এই কুৎসিত। নারীর কর্কশ কণ্ঠস্বর আমার অসহ, তুমি এপনষ্ট এদের প্রাসাদ থেকে দূর করে দাও। - - চন্দ্রগুপ্ত । মগধকুলমহিলা কখনও এ অপমান সঙ্গ করবে না । মুহূৰ্ত্তমধ্যে সকল মাগধ-বীর অবগুণ্ঠন পরিভাগ করিম অসি গ্রহণ করিল। বৃদ্ধ সপ্তম বাসুদেব ভয়ে ঝাপিস্ট্রে কঁাপিতে বলিয়া উঠিলেন, “বিশ্বাসঘাতকতা, বিশ্বাস ঘাতকতা, কে আছ ?” রুঞ্জসিংহ চীৎকার করিয়৷ প্ৰতীহারদের ডাকিতে আর : করিলেন, কিন্তু ভয়ে জয়দাম, বংশদাম প্রমুখ শকপ্রধানrে মুখ শুকাইয়া গেল। তপন চন্দ্রগুপ্ত অবগুণ্ঠন পরিস্তা করিয়া, বৃদ্ধ সপ্তম বাস্থদেবকে বলিলেন, “সে ঞ্চি ৫থ প্ৰাণেশ্বর ? আমাকে প্রাসাদ থেকে দূর করে দেবে তোমার বিশাল হৃদয় আলিঙ্গন করবার জন্তে আমার অf যে নৃত্য করছে ?” রবিগুপ্ত। পট্টমহাদেবী ধ্রুবদেবীকে পেয়েছ মহার। বান্ধদেব ? বাস্থদেব । এ যে মহাবলাধিকৃত রবিগুপ্ত ! রুদ্রসিংহ। আর আমাদের গুপ্তচরেরা বললে কি যে সমুদ্রগুপ্তের পুরাতন কৰ্ম্মচারীরা সকলেই পাটলিপ পরিত্যাগ করেছে । দেবগুপ্ত বলিলেন, “কি বন্ধু, কেমন আছ ? যমুন যুদ্ধ এত শীঘ্র ভুলে গেছ ?”