পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] রুদ্রসিংহ । সৰ্ব্বনাশ ! বৃদ্ধ শৃগাল দেবগুপ্ত ! মহানায়ক দেবগুপ্ত, এই কি ক্ষত্রিয়ের আচরণ ? রবিগুপ্ত। যুদ্ধ ঘোষণা না করে গুপ্ত সাম্রাজ্য আক্রমণ, প্রয়াগ অধিকার, প্রতিষ্ঠান অবরোধ, মহাক্ষত্রপ রুদ্ৰসিংহ, এ সমস্তই ক্ষত্রিয়ের আচরণ ! বাস্থদেব। ক্ষান্ত হও, রুদ্রসিংহ। তোমরা কোন সাহসে সভামণ্ডপে প্রবেশ করেছ ? , চন্দ্রগুপ্ত। বে-সাহসে শক-কুকুর গুপ্ত সাম্রাদ্বোর পটুমহাদেবীকে প্রার্থনা করেছিল। যে-কুকুর বার-বার লেলিহান জিহাদ্বারা সমুদ্রগুপ্তের পদলেহন করে আত্মরক্ষা করেছিল, তার মূপে এ কথা শোভা পায় না। ওরে শক কুলাঙ্গার, তুই ভেবেছিলি যে মগধের অবল নারী, অসহায় দাসী পরিবৃত হয়ে তোর চরণসেবা করতে আসছে । বামুদেব । তুমি কে তা জানি না। যদি ক্ষত্রিয় ২৪, ৯ক্ষত্ৰিয়াচার রক্ষা কর। চন্দ্রগুপ্ত। বাসুদেব, আমি পট্টমহাদেবী দত্তদেবীর ভঙ্গাত সমুদ্রগুপ্তের পুত্র। আমি তোমাকে গুপ্ত ভূভf করতে আসিনি, দ্বন্দ্ব যুদ্ধ করতে এসেছি। জীবন-নাট্য ৬৫৩ তাহার পর কথা শেষ হইয়া গেল। যখন অসির কাধাও শেষ হইল, তখন শক-প্রধানের ধূলিশয্যায়। বৃদ্ধ দেবগুপ্ত প্রস্তাব করিলেন যে, এইবার ফিরিয়া যাওয়া উচিত। তপন চন্দ্রগুপ্ত র্তাহার চরণধারণ করিয়া বলিলেন, “তাত, যপন পাটলিপুত্র ছেড়ে এসেছিলে, তখন কি ভেবেছিলে আবার ফিরে যেতে পারবে ? আমরা সকলেই বৈষ্ণব, এ মথুরা ভগবানের পুণ্য লীলাগোত্র। মথুরামণ্ডলে এখনও সহস্ৰ সহস্ৰ বৈষ্ণব আছে, তারা বহু শত বৎসর ধরে বর্বর শকের পদতলে পড়ে আছে । তাত, চল একবার মথুরার রাজপথে দাড়াই, ভগবান বাস্থদেবের নাম ক’রে দেখি, সৈন্য সংগ্রহ হয় কি না। যদি না হয়, তাহ’লে এই কৃষ্ণচরণরেণুপুত মথুরায় এ দেহ পাত ক’রে যাব।” অশ্রুসিক্তনয়নে বুদ্ধ বুলিগুপ্ত বলিয়া উঠিল, “ভগবান তোমাকে ত্রর্তী করেছেন, সুতরাং আমাদের পরামর্শ নেবার প্রয়োজন নেই। এ দেবকাষা, পুত্র, এ ব্রতে তুমি পুরোহিত।” প্রাসাদের তোরণে দাড়াইয়। মাধবসেন। ধগন মধুকৈটভারি রুষ্ণের স্তুতি আরম্ভ করিল, তাহার দশ দণ্ডের মধ্যেই মপুর মুক্ত হইল । छौबन-नॉल्ले ঐশৌরীন্দ্রনাথ ভট্টাচাৰ্য্য হাসিতে হাসিতে হায় আসে ওরে মিলন-বাসর, একটি নিশার শেষে কেঁদে কেঁদে মাগেরে বিদায় ; হাসিতে হাসিতে ওরে আসে হেথা মধুর যৌবন, পূর্ণিমার স্বপ্ন সম অন্ধকারে পুনঃ মিশে যায়। বসন্ত নিমেষে আসি কুঞ্জে কুঞ্জে করে তোলপাড়, কোকিল পাপিয়া ভূজ গাহে সেথা মিলনের গান ; নিদাঘ দুৰ্ব্বাস সম পিছে আসে চোখ রাঙাইয়া, বৈশাপের তপ্ত-শ্বাসে ঝরে যায় আনন্দের প্রাণ । কবি যবে কাব্য-স্বপ্নে রহে ওরে সংসার চুলিয়া, দারিদ্র্য পিছন থেকে শাসাইয়া ছাড়ে হুহুঙ্কার ; হুখের পিছনে দুঃখ হাসে হায় আসেরে লুকায়ে, আলোক-সৈকত চুমি গৰ্জ্জিতেছে অনন্ত স্বাধার! এ দেহের কাস্তি-তলে জরা সে গোপনে ওঠে কাদি, জীবনের পদ্মকোষে মৃত্যু হয় আছে বাস বাধি !