পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ყ\Noe [ ৩১শ ভাগ, ২য় খণ্ড হাত হইয়া যাইত, এবং এরূপ পড়া দিনের মধ্যে কম-সেকম দুই তিনবার করিয়া হইতই বলিয়া সেই প্রসারিত বক্ষ কখনই নিজের স্বাভাবিক উনত্রিশ ইঞ্চির অবস্থায় আসিয়া পড়িবার অবসর পাইত না । হায়, তখন কি জানিতাম যে হাউইয়ের এই উন্মত্ত গতি দ্রুত নির্বাণেরই পূৰ্ব্বস্বচন, এবং বক্ষেরও সেই গল্পকথিত মণ্ডুক প্রসারের পর শতধা বিদীর্ণ হইয়া যাওয়াই স্বাভাবিক ? আর একটি প্লটের জন্য চেষ্টা করিতেছি ।--আপনাদের মধ্যে যাহারা সাহিত্যসেবী, অর্থাৎ নভেল লেখেন, তাহারা দয়া করিয়া মার্জনা করিবেন—ওরকম আরাম-কেদারায় হেলান দিয়া গল্পস্থষ্টি হয় না। বাংলা-সাহিত্যের উপযোগী কত বাছ বাছা প্লট যে কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রট, বউবাজার ষ্ট্রট, বীডন ষ্ট্রীট প্রভূতি রাজপথে নিত্য মারা যাইতেছে এবং কত ভাল ভাল 'চরিত্র যে গোলদীঘিতে, হেদোয়, বিডন পার্কে ধরা দিবার জন্ত ঘূরিয়৷ বেড়াইতেছে সে-সন্ধান যদি রাখিতেন ত আয়েসের নেশা ছুটিরা যাইত, এবং যুগ-সাহিত্যের সমস্ত ধশটা যে একজনই একচেটে করিয়া লইবার উপক্রম করিতেছে এর জন্য অত ঈর্ষারও প্রয়োজন থাকিত না । পকেটে নোটবহি ও হাতে একটি পেন্সিল লইয়া হারিসন রোড ও কলেজ ষ্ট্রীটের চৌমাথায় দাড়াইয়াছিলাম। ...ওপারের ফুটপাথে উনি তসরের পাঞ্জাবী গায়ে ফিটফাট হইয়া অমন উদাসভাবে দাড়াইয়া যে বড় –ও উদাস ভাব যে আমি খুব চিনি। ওঁর ওই পরম শাস্তির অন্তরালে প্রতীক্ষার যে তীব্র উদ্বেগ, আর সেই উদ্বেগের মূলে যে সেই চিরন্তনী ক্ষুধার দাহ তাহ কি আমার দৃষ্টিকেও বঞ্চিত করিবে ?...আজ ওভারটুন হলে বক্তৃতা— মেয়ে পুরুষে দলে দলে প্রবেশ করিতেছে, ওঁর ওই উদাসীনতা ভেদ করিয়া ষে তীব্র অথচ সতর্ক দৃষ্টি মাঝে মাঝে চঞ্চল হইয়া উঠিতেছে সে যেন কাহাকে খোজে--- একটি দীর্ঘ সিডানবডি মোটর আসিয়া দাড়াইল । আমার নায়কের মুখে সেই স্থপরিচিত—‘এই ষে পেয়েচি' ভাব দেখিয়া আমি রাস্তার ওপারে গিয়া কিছু দূরে একটা ८णांशद्र थां८धब्र बांप्लांटल नैiफ़ाईलांश । ग्रांएँौ cर्षक नiभिजन शक्बन कूष्, श्रुचन भांक्ष-बझर्गैौ शौरजांबं, প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩৮ .সম্ভবত র্তাহার স্ত্রী, একটি যুবতী, একটি ছোট মেয়ে আর S SAAAS AAAAAT SAS S S AAAA SSASAS SSAS SSAS একটি ১৬১৭ বছরের ছোৱা। যুবতীট নামিয়াই একবার এদিক ওদিক চাহিয়া দেখিল—যেন কাহার সঙ্গে দেখা হইবার কথা।--আমি মনে মনে হাসিয়া বলিলাম— “স্থিরা ভব, অধীন হাজির ।” দলটি গিয়া ভিড়ে মিশিল । নটবরও গতিবান ইইলেন —অৰ্দ্ধেক প্লট ত জমিয়া উঠিয়াছে। ওভারটুন হলে বসিয়া Bz0 EGGGHiaaa S ADD SAAA AAAA StA ACC C পিছনে পিছনে অগ্রসর হইলাম। লিখিতেও লজ্জা করে —লোকটা একটা গাটকাট । সিড়ির মোড়ে শেষ ধখন দেখিলাম তখন বুদ্ধের পকেটের মধ্যে সমস্ত হাতটি চালাইয়া দিয়াছে। বিরক্তিতে আর দারুণ নিরাশয় সেইখান হইতেই ফিরিলাম। আজ গোড়াতেই এই রকম বাধা পাইয়া মনটা একেবারে তিক্ত হইয়া উঠিল। নোটবই পেন্সিল পকেটে ফেলিয়া কৃষ্ণদাস পালের মূৰ্ত্তিটির পাশে গিয়া দাড়াইলাম। মেয়া সাহেব পুরান পুস্তকের দোকানটা খুলিবার উপক্রম করিতেছে। আমি পুরাতন খরিদ্ধার, গিয়া প্রশ্ন করিলাম —“কি গো, নূতন কিছু এনেছ ?” “হ্যা, অনেকগুলো নূতন আমদানী আছে কৰ্ত্ত, দ্যাখেন।” বলিয়া সামনে কতকগুলা বই ধরিয়া দিল। এক-শ বার এই বইগুলা দেখাইয়াছে , প্রত্যেক বারেই বলে নুতন আমদানী ! - ও ফুটপাথে প্রেসিডেন্সী কলেজের রেলিঙের পাশে যে লোকটা বসে সেও নিজের সমন্ত বই সাজাইয়া তৈয়ার। ও লোকটার সঙ্গে আমার তেমন বনে না।--রেলিঙের নীচে একটার পর একটা করিয়া প্রায় বিশ-পচিশ গজ পৰ্য্যস্ত বই সারবন্দী করিয়া কোথায় একপ্রান্তে নির্লিপ্তভাবে বসিয়া থাকে। একটা বই পছন্দ করিয়া যদি তাহাকে খুজিয়া বাহির করিয়া দাম জিজ্ঞাসা করিলাম ত প্রায়ই এমন অসম্ভব রকমের একটা দাম বলিয়া বসিবে যাহা অনেক সময় নূতন অবস্থার দামকেও টপকাইয়া যায়! এইখানেই শেষ নয়—ঐ রকম গোছের একটা দাম স্থাকিয়া আমার মনটাকে ধৈর্ধ্যের শেষ সীমানায় ঠেলিয়া দিয়া