পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫আ লংখji ] ৩২৫-২৬ “অবিদ্বানগণ যেমন আসক্তিবশে কৰ্ম্ম করে বিদ্বান সেইরূপ লোকসংগ্রহার্থে অনাসক্ত হইয়া কৰ্ম্ম করিবেন । বিশ্বানগণ যেরূপ আচরণ করেন সাধারেণ ও তাহাই করে, অতএব বিছানগণের এমন কোন কাজ করা উচিত নহে যাহাতে লোকশিক্ষার আদর্শ ক্ষুণ্ণ হয়। যাহাদের কৰ্ম্মে আসক্তি আছে তাহাদের ‘পাপপুণ্য সমান', স্থিত প্রজ্ঞের কোন কৰ্ত্তব্য নাই", ইত্যাদি বলিয়া বুদ্ধি বিচলিত করিতে নাই,কারণ আসক্তিবশে তাহারা মন্দ কার্ধ্য করিবে ও তাহাতে সামাজিক অনিষ্ট সম্ভাবনা । বিজ্ঞান লোকসংগ্রহের জন্য নিজে অনাসক্তভাবে কৰ্ম্ম করিবেন ও ও পরকে করাইবেন । শ্ৰীকৃষ্ণ অৰ্জুনের প্রশ্নের ( কি করা উচিত ? লাভালাভ যগন সমান বলিতেছ তখন যুদ্ধে কেন প্রবৃত্ত করিতেছ ?) ঘে উত্তর এই অধ্যায়ে দিয়াছেন এবার তাহার বিচারকরিব । কেন কৰ্ম্ম করিতে হুইবে শ্ৰীকৃষ্ণ তাহার এই-সকল কারণ দেপাইলেন— ( ১ ) ইচ্ছা করিয়া কৰ্ম্ম না করিলেই যে কৰ্ম্ম বন্ধ হয় তাহা নহে । { ২ ) কৰ্ম্ম না করিলেই যে সিদ্ধি হয় তাহাও নহে । ( ৩ ) ক্ষণমাত্রও কেহ কৰ্ম্ম না করিয়া থাকিতে পারে না, প্রকৃতি তাহাকে কৰ্ম্ম করাইবেই। ( ৪ ) জোর করিয়া কৰ্ম্ম বন্ধ করিলেও মন বিষয়চিন্তা করিবে । এ অবস্থায় কৰ্ম্ম বন্ধ করা মিথ্যাচার মাত্র । ( e ) যখন কৰ্ম্ম করিতেই হইল ও যখন কৰ্ম্ম না করিলে বাচিয়া থাকাও সম্ভব নহে, অথচ কৰ্ম্মই যখন বন্ধনের কারণ; তখন ইহার একমাত্র উপায় অসঙ্গচিত্তে কৰ্ম্ম করা। (৬) যুদ্ধবিগ্ৰহাদি ক্রুর কৰ্ম্ম করিব না, কেবল স্থষ্টিচক্র প্রবর্তিত রাখিবার জন্ত যজ্ঞ করিব ও তছুৎপন্ন ফলমাত্র ভোগ করিব এইরূপ মনে করাও ভুল। যজ্ঞ, কৰ্ম্মসভূত এবং বন্ধনের কারণ। যজ্ঞসংক্রান্তও পাপপুণ্য আছে। ( ) তোমাকে যদি যজ্ঞ করিতেই হয় তবে অসদচিত্তে তাহা কর। আর আমি যাহা বলিতেছি যদি সেই অবস্থায় পৌছিতে পার তবে যজ্ঞ প্রভৃতি কোনও কার্ব্যেরই আবিস্তকতা থাকিবে না । সঙ্গঃ কৰ্ম্মণাৰিৰাংসে বৰ কুৰ্ব্বতি ভারত। কুর্ঘ্যাধিৰাং ভৰালঙ্কশ্চিীমূলক সংগ্ৰহৰ ॥২৫ গীতা । ৬৭৩ (৮) অতএব যুক্তসঙ্গ হইয়া সমস্ত কাৰ্য্য কর । এইরূপে কার্য্য করিয়াই জনকাদি সিন্ধিলাভ করিয়াছিলেন । ( ৯ ) অসঙ্গচিত্ত হইলে কোনও কার্ষ্যে বা আকার্ষ্যে যখন দোষ থাকে না তখন কাৰ্য্য না-হয় নাই করিলাম ,এবং ইচ্ছামত যদি কুকাৰ্য্যই করি, তাছাতেই বা কি ?—এরূপ মনে করা ভূল। কারণ শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি যেরূপ আচরণ করেন সাধারণে র্তাহারই দৃষ্টাস্থে চলে । অতএব এমন কোন আচরণ উচিত নন্তে যাঙ্গতে লোক উচ্চ স্থল হইতে পারে বা যাহাতে সমাজ-বন্ধন শিথিল হয়। সাধারণের কাছে এমন কোন কথা বলিবে না বা এমন কোন কাজ করিবে না ধাহাতে তাহাদের ধৰ্ম্মবুদ্ধি বা সামাজিক আদর্শ ক্ষুণ্ণ হয়। ( ১০ । ইহাও জানিবে যে বাস্তবিক তুমি কৰ্ম্ম করিতেছ, না প্ররতিষ্ট কৰ্ম্ম করিতেছে । তোমার আত্মা নিলিপ্তই আছে । ১১ ) প্রকৃতি যখন তোমাকে ডোমার স্বভাবাজুযায়ী কৰ্ম্ম করাইবেই তখন নিজের সামাজিক আদর্শ অনুসারে অর্থাৎ স্বধর্শ্বে থাকিয়া কধ্যেই শ্ৰেয় । তোমার যুদ্ধই কৰ্ত্তব্য। শ্ৰীকৃষ্ণের উত্তরগুলিতে একটু গোল বাধিল । শ্ৰীকৃষ্ণ সকলকেই ও সকল অবস্থাতেই সামাজিক আদর্শ মানিয়া কাৰ্য্য করিতে উপদেশ দিলেন। শ্ৰীক্লঞ্চের আদর্শ স্থিতপ্রঞ্জ হওয়া অর্থাৎ যে-অবস্থায় কোনও কামনা নাই । মানুষ নিজে নিজেতেই তৃপ্ত হয়। এই অবস্থায় পৌছিলে সমাজ বজায় থাকুক এমন ইচ্ছাই হইবে কেন ? ও এইরূপ ইচ্ছার মূলাই বা কি ? স্থিতপ্রজ্ঞের কেনই বা লোকসংগ্রহের অর্থাৎ লোকশিক্ষার আগ্রহ থাকিবে । এইরূপ আগ্রহ থাকা মানেই যে সমাজরক্ষাকৰ্ম্মে স্থিতপ্রজ্ঞের সঙ্গদোষ যায় নাই। সমাজরক্ষা করিতে গিয়া স্থিতপ্রজ্ঞত্ব রহিল না। আর যদি সমাজরক্ষায় স্থিতপ্রজ্ঞ অনাসক্ত হন তবে সমাজ থাকিলেই বা কি, যাইলেই বা কি ? প্রকৃতির বশে স্থিতপ্রজ্ঞের যাহা খুলী ব্যবহার হউক না কেন, তাহাতে র্তাহার কি আসে যায় ? শ্ৰীকৃষ্ণ নিজে স্থিতপ্রজ্ঞ। বলিলেন আমার কোন কৰ্ত্তব্যই নাই, অথচ সমাজরক্ষাকেই বা কৰ্ত্তব্য মনে করিতেছেন কেন ? न ख्रिस्खद् िबनवाचनां बंगलिनीम् । যোজয়েৎসৰ্ব্বকৰ্ম্মাণি বিধানযুক্তঃ সমাচরন। ২৬