পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

やが、b" প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩৮ 3אא אלא גויושי ו"כטא 1 যমুনা বেগবতী। নদীবক্ষে পুণ্যকামীর নৌকা চলিয়াছে সারি সারি। আমরাও সেই পরিমধ্যে শ্রেণী রচনা করিয়া চলিলাম । সঙ্গমস্থলে গঙ্গা যমুনার দুটি ধারা স্পষ্ট দেখা যায়। সরস্বতী লুপ্ত। বিস্তীর্ণ বালুতীরে পাণ্ডাদের বিবিধ বর্ণের পতাকাশোভিত অসংখ্য অস্থায়ী কুটার। নৌকা তীরে লাগিতেই মোটা মোটা খাতা লইয়া বিশাল দেহ প্রয়াগী পাণ্ডারা ছুটিয়া আসিল । আমাদের কয়টির পক্ষে একে ত তাহাদের বিশাল দেহই যথেষ্ট, তদুপরি চোখে ভ্ৰকুটিময় হাসি,হাতে লাঠি ও অসংখ্য পত্রসমষ্টিতে পরিপূর্ণ বৃহদাকার খাতা। ঐ একখানা খাতা ছুড়িয়া মারিলেই ভবপারের তরণী সম্মুখে আসিয়। তবু তবু করিয়া নাচিতে থাকিবে— মুক্তি-আলোও ফুটিয়া উঠিবো! কিন্তু পাণ্ডারা অকরুণ নহেন ! খাতা খুলিয়া সারি দিয়া বলিলেন ও আমরা ত তুচ্ছ, আমাদের চতুর্দশ পুরুষের নামধাম লইয়া টানাটানি করিতে লাগিলেন । পাকা দুটি ঘণ্টা কাটিয়া গেল—স্বৰ্গগতদের কোন সন্ধানই মিলিল না। উপরের রৌদ্র হইয়া উঠিল খরতর এবং মাথার মধ্যে সেই অগ্নিকণার স্পর্শ অত্যন্ত সুশীতল বলিয়া বোধ হইল না। রাঙামামী বলিলেন, “ওরে বাছ, ক্ষ্যাম দে– ক্ষ্যাম দে ।” কাসর বলিলেন, “আ-মরণ ! মিন্সেদের রকম দেখ না।” “মিন্সেরা কিন্তু অত সহজে দমিবার পাত্র নহে । আরও কয়েক ঘণ্টা নাড়াচাড়া করিয়া স্কুৎপিপাসাতুর আমাদের পরিত্যাগ করিয়া নূতন শিকারের অন্বেষণে ধাবিত হইল। একটি পেটমোটা পাগু মধুর বচনে আমাদের পরিতৃপ্ত করিয়া কহিলেন, “বিশোয়াস করিয়ে৷ না বাবু-ওরা সব ভাল আদমী না আছে। হামির সাথে আস, তীরথ করম সব করিয়ে দেবে।” প্রাস্তিতে সৰ্ব্বদেহ ভাঙিয়া পড়িতেছিল। পাণ্ডাজীর ভাঙা বাংলা বুলি নেহাৎ মন্দ লাগিল না। তাহারই সঙ্গে চলিলাম । নাপিত আসিল মাথা মুড়াইতে, শীর্ণকায় ব্রাহ্মণ আসিলেন মন্ত্র পড়াইতে, ফুল লইয়া দেখা দিল এক ব্যক্তি,–পাণ্ডারই অক্ষচর বোধ হয়। ফুলের মধ্যে একটা ছোট শুষ্ক • নারিকেল ছিল যাহা ইতিমধ্যেই প্রত্নতাত্ত্বিকের গবেষণার বিষয়ীভূত হইয়াছে। মাথা মুড়াইয়া আবক্ষ গঙ্গাজলে প্রোথিত হইয়া অতি কষ্ট্রে মন্ত্র পাঠ করিতেছি (প্রোথিত বলিলাম এইজন্য যে, যেখানে স্নানার্থ নামিয়াছিলাম সেখানে জলের চেয়ে কাদাই বেশী ) এমন সময় তীরে ঢং ঢং করিয়া কাসর ( আমাদের সহযাত্ৰিণী নহেন ) ও ডুম ডুম্‌ করিয়া বাজন। বাজিয়া উঠিল। ব্যাপার কি ? অতি শীর্ণকায় একটি গরু, গলায় তার মোটা দড়া, দেখিলে বোধ হয় আহ, বৃথাই উহাকে দড়া দিয়া বাধিয়া রাখিয়া ভবপারের শস্যশ্যামল প্রাস্তরের মোহ হইতে শাসন করিয়া রাপা হইতেছে—একটু সময় ও সুযোগের অপেক্ষামাত্র ও উৰ্দ্ধপুচ্ছ হইয়া সেইদিক পানেই দৌড়াইবে, করুণ নয়নে আমাদের পানে চাহিয়া আছে। গরুদান—মূল্য এক টাকা মাত্র। রাঙামামী বলিলেন, “চার আনায় হয় না ?” বিন্দুদি বলিলেন, “আমি গরিব মানুষ, দেখ যদি छ्-बानांश्च श्ब ।।” পাণ্ডার বোধ করি এক পয়সায়ও আপত্তি ছিল না । গোদানে পুণ্যসঞ্চয়ের নেশা সকলকেই পাইয়া বসিল । তীরে উঠিয়া বৃত্তাকারে বসিয়া সকলেই চারি, দুই, বা এক আনায় গো-দান করিয়া কয়েক সেকেণ্ডের মধ্যে অক্ষয় পুণ্যের অধিকারিণী হইলেন । আমার মনে হইল, পুণ্য নহে—প্রকাগু একটা চড়—ঝড়ের মত ইহাদের গালগুলির উপর দিয়া বহিয়া গেল । গো-দান শেষে বাদ্য বাজিয়া উঠিল এবং শীর্ণকায় গাভী সমস্ত শক্তি একত্র করিয়া দড়াতে একটা হেঁচক টান দিল। লোকটার হাত হইতে দড়া খুলিয়া গেল,—গাভীও উৰ্দ্ধলাজুল হইল। তারপর আরম্ভ হইল ছুটাছুটি । এদিকে দক্ষিণাস্ত করিবার সময় পাণ্ডার নিমীলিত চক্ষু ক্রমেই ৰিস্ফারিত হইতে লাগিল। তৰ্পণ, দক্ষিণ, চরণপূজা, স্বফল ইত্যাদির দাবিতে পাণ্ডা ঠাকুরের মুখখানি ক্রমশই ঘনীভূত হইয়া আসিল । মেয়ের সাটাজে সেই